বাংলারজমিন
দেশ থেকে নির্বাচন নির্বাসনে চলে গেছে: নাসের রহমান
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে
১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবারআমাদের দেশ থেকে নির্বাচন নির্বাসনে চলে গেছে। নির্বাচন নামটার জায়গায় এখন নির্বাচন না বলে নির্বাসন কথাটা বলাই ভালো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান। গতকাল বিকালে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাহারমর্দানে নিজ বাড়িতে জেলা বিএনপি’র আয়োজিত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। নাসের রহমান বলেন বিএনপি’র পক্ষে দেশের জনগণের নব্বই পারসেন্ট ভোট থাকলেও কোনো লাভ নেই। গেল সংসদ নির্বাচনে আমার নিজ নির্বাচনী এলাকায় মৌলভীবাজার ও রাজনগরের মানুষ ভোটই দিতে যায়নি। অথচ একেকটা ইউনিয়নে দেখি ২১ থেকে ২৫ হাজার ভোট দেখানো হয়েছে। কি সুন্দরভাবে সাজিয়ে কমবেশি করে রাজনগরের ৮টি ইউনিয়নে ২১ থেকে ২৫ হাজারের ভেতরে ভোট দেখানো হয়েছে। অথচ ভোটের দিন সব ভোট সেন্টার খালি ছিল। সাধারণ ভোটারের উপস্থিতি ছিলই না। এ চিত্র শুধু মৌলভীবাজার আর রাজনগরের নয়।
একদলীয় প্রহসনের ভোট দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নীরবে অত্যন্ত ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তবুও তারা তাদের দলদাস নির্বাচন কমিশন দিয়ে অবৈধ এমপি বানিয়ে অবৈধ দখলদার সরকার গঠন করে দেশ শাসন করে যাচ্ছে। এইভাবে আমাদের দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাটা পুরোপুরি আওয়ামী লীগ বিনষ্ট করে দিয়েছে। নাসের রহমান বলেন, বিএনপি’র নেতাকর্মীরা গাড়ি পোড়ায়নি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করেছে। আর যানবাহনে গাড়ি আওয়ামী লীগ পুড়িয়ে বিএনপি’র ওপর দোষ চাপিয়েছে। নাসের রহমান বলেন, শেখ হাসিনা ইন্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে ইলেকশন করে একটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো রাষ্ট্রের ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রেখেছে। এ সরকার সম্পূর্ণ অবৈধ। ২০১৪ সালেও বিনা ভোটের নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছিল। সে নির্বাচনে বিএনপিসহ রাজপথের কোনো বিরোধীদল কেউই নির্বাচনে যায়নি।
একই ঘটনা এই ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে পুনরাবৃত্তি হয়েছে। দেশে গণতন্ত্রের নামে পুরোপুরি একটা গুণ্ডাতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। এদেরকে মিছিল-মিটিং করে সরানো যাবে না। গুণ্ডায় গণতন্ত্র বোঝে না। ডাণ্ডা বুঝে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনে বিপ্লবী হতে হবে। তবে বিএনপি তো বিপ্লবী দল নয় একটা উদার গণতান্ত্রিক দল। ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, সহ-সভাপতি আশিক মোশাররফ, মো. হেলু মিয়া ও শওকতুল ইসলাম শকু। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি বদরুল আলম, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কৃষক দলের সভাপতি শামীম আহমেদ, জেলা বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক মো. ইদ্রিছ আলী, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রসিক, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান, জেলা সদর ও বিভিন্ন উপজেলার বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দল, কৃষক দল, জাসাস, মহিলা দল, ওলামা দলের নেতাকর্মীরা।