বাংলারজমিন
দু’টি কিডনিই অকেজো, বাঁচতে চান আব্দুল কুদ্দুস
ভাঙ্গুড়া (পাবনা) সংবাদদাতা
১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবারভ্যান চালিয়ে কোনোমতে চলছিল পাবনার ভাঙ্গুড়ার দরিদ্র আব্দুল কুদ্দুস (৩৫)-এর সংসার। দুই বছর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাকে নেয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানান, তার দু’টি কিডনিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেই থেকে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ সেবন করছিলেন তিনি।
সপ্তাহ খানেক আগে খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত ঢাকায় যেতে পরামর্শ দেন। এরপর গত ২৩শে মার্চ ঢাকার সিকেডি অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আব্দুল কুদ্দুসকে। সেখানকার চিকিৎসক জানান, তার দু’টি কিডনিই অকেজো হয়ে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে অনন্ত একটি কিডনি প্রতিপ্রস্থাপন করা প্রয়োজন। আর এ জন্য দরকার কিডনি ও অপারেশন খরচ তিন লাখ টাকা।
আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ি উপজেলার ভাঙ্গুড়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম আফাজ উদ্দিন। স্ত্রী ও দু’টি সন্তান নিয়ে আব্দুল কুদ্দুসের চার সদস্যের সংসার। এদিকে অভাবের সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম এই মানুষটি অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকায় দুশ্চিন্তায় দিশাহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি। অসুস্থ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, চিকিৎসক জানিয়েছেন বাঁচতে হলে অনন্ত একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা জরুরি। এর জন্য কিডনি ও প্রায় তিন লাখ টাকার দরকার। কিন্তু এসব জোগান দেয়া তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে প্রতিসপ্তাহে তার ৪ হাজার টাকার ওষুধ লাগছে। চিকিৎসাবাবদ এ পর্যন্ত ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। এখন নিজের চিকিৎসা খরচ ও সংসার চালানোর অর্থ জোগান দিতে পারছেন না তিনি। তাই সমাজের বিত্তশালী ও দানশীল মানুষের নিকট সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
কিডনি প্রতিস্থাপন মধ্যবিত্ত অনেকের স্বপ্নের অতীত। ডায়ালাইসিস করলেই হয়, সপ্তাহে 4হাজার টাকার ওষুধ কিনতেছে, ডায়ালাইসিস করুক, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডায়ালাইসিস ইউনিটে ভর্তি হোক, মাসে আটটি করে ডায়ালাইসিস করলেও যে খরচ হবে তা এখনকার চেয়ে কম ।