বাংলারজমিন
খুলনায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন নেতার হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবারখুলনা মহনগরীর আড়ংঘাটা থানার গাইকুর গ্রামে ইউশাহ (১৭) নামে হাত-পা বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তিনি আড়ংঘাটা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের খায়রুজ্জামান ববির ছেলে। এ ব্যাপারে আড়ংঘাটা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। আড়ংঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. হাসান আল মামুন বলেন, ঘটনাটি সোমবার বিকালের। ওই দিন ছেলেটির বাবাসহ তার স্বজনরা ছেলেটির গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমরাও হাসপাতালে যায়। তার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করি। এ ব্যাপারে সোমবার রাতেই আড়ংঘাটা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পোস্টমর্টেমের জন্য মৃতদেহ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পোস্টমর্টেম শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তারপরও আমাদের তদন্ত কার্যক্রম থেমে নেই। অব্যাহত রয়েছে। জানা যায়, নিহত ইউশাহ’র বাবা মা ঘটনার দিন দুপুর ২টার দিকে দাওয়াত খাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। যাওয়ার সময় ছেলেকে বলে যায় তুই মুরগীর খাবার দিস। আমরা দাওয়াত খেয়ে আসি। বিকাল সাড়ে পাঁচটায় তার বাবা মা দাওয়াত খেয়ে বাড়ির সামনে এসে দেখতে পান বাড়ির গেটের দরজা বন্ধ। অনেক চেষ্টা করে গেট খুলে ভিতরে ঢোকার পর ছেলেকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। ডাকাডাকিতে ছেলের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তার বাবা পিছনের জানালা দিয়ে পিছনে হাত-বাঁধা, চোখে গামছা, পেছন বাঁশের আড়ার সাথে ছেলেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তাকে নামিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার বাবা খায়রুজ্জামান ববির অভিযোগ, আমার ছেলে সুইসাইড করেনি। কে বা কারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলছে। এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, নিহত ইউশাহ খুবই ভদ্র এবং নম্র প্রকৃতির ছিলো। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতো। এলাকায় তার কোন শত্রু ছিল না। সে একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলো এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের আড়ংঘাটা থানার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।