সেই হারুনের সঙ্গে নিপুণের আপস

নানা আলোচনা-সমালোচনায় ছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গত মেয়াদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। জায়েদ-নিপুণের দ্বন্দ্বের শুরুটাও এই নির্বাচন ঘিরে। সে নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন পীরজাদা হারুন। নির্বাচনে নিপুণ আক্তার পরাজয়ের পর চুমু দিতে চাওয়ার অভিযোগ করেন হারুনের বিরুদ্ধে। যদিও হারুন তা অস্বীকার করেছিলেন৷ বিষয়টি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। অবাক করার বিষয় হলো এবারের নির্বাচনে সেই নিপুণের প্যানেল থেকেই নির্বাচন করছেন হারুন। তিনি কোন পদে প্রার্থী হচ্ছেন তা এখনো জানা যায়নি। মঙ্গলবার নিপুণের প্যানেলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিতে এফডিসিতে এসেছিলেন তিনি। এ সময় হারুন বলেন, গতবার আমার বিরুদ্ধে নিপুণ যে অভিযোগ করেছিলেন সেটি কিন্তু অন্যের কথা শুনে। তিনি নিজের কানে শোনেননি। সুতরাং সেটি ছিল একদম ভিত্তিহীন একটি অভিযোগ। এমন কোনো কথাই হয়নি। এটা সম্পূর্ণ একটি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। দীর্ঘদিনের অর্থ মন্ত্রণালয়ে কাজের সূত্র ধরে আমি অভিজ্ঞতা থেকে শিল্পীদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করবো। গতবার নির্বাচনে পরাজয়ের পর জাতীয় প্রেস ক্লাবে পীরজাদা হারুনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ। সে সময় এ নায়িকা বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন ভোটের দিন সকালে আমার কাছে দুইটা চুমু চেয়েছিলেন। সেখানে আমাদের প্যানেলের জেসমিন ছিল। হারুনের ওই কথার জন্য তাকে থাপড়ানো উচিত। কিন্তু নির্বাচনের জন্য তাকে কোনো কিছু বলিনি। তাকে সিনেমা-নাটকে কোনোদিন নেয়া উচিত নয়। জানা গেছে, পীরজাদা হারুন মিশা-ডিপজলের প্যানেল থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। এই প্যানেল থেকে ফিরিয়ে দেয়ায় তিনি নিপুণের প্যানেলে নির্বাচন করছেন।