রাজনীতি
দিল্লির অধীনস্থ হওয়ার জন্য যুদ্ধ করি নাই: মেজর হাফিজ
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ২৩ মার্চ ২০২৪, শনিবার, ২:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:২৯ পূর্বাহ্ন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবক্রিম বলেছেন, দিল্লির অধীনস্থ হওয়ার জন্য কি আমরা এই যুদ্ধ (মুক্তিযুদ্ধ) করেছি। কখনোই না। বাংলাদেশের স্বাধীনচেতা মানুষ কখনো এধরণের গোলামি মেনে নেবে না।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে ‘অরক্ষিত স্বাধীনতা, মানবাধিকার, গণতন্ত্রবিহীন ও বিপন্ন বাংলাদেশ এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকে একটি রাষ্ট্রে কাছে নতজানু যে পররাষ্ট্র নীতি এবং প্রতিটি বিষয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকা। এটা বর্তমান শাসক দলের অভ্যাস। বাংলাদেশকে একটি নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ। সব সময় বিদেশি শক্তির দিকে তাকিয়ে থাকে তারা। জনগণের প্রতি সরকারের কোন দায়বদ্ধতা নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনগণের আজ নাভিশ্বাস অবস্থা। কিন্তু এটা নিয়ে সরকারের কোন মাথা ব্যথাই নেই।
তিনি বলেন, এখানে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা বলেছেন যে, আমরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করে সঠিক কাজ করেছি- নাকি ভুল করেছি। প্রত্যেকটি মুক্তিযোদ্ধাদের মনে এই প্রশ্ন আজকে জাগরূপ হয়েছে।
মেজর হাফিজ বলেন, ক্ষমতাসীনরা বলার চেষ্টা করে যে, বিএনপির আন্দোলন তো ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপির আন্দোলন যদি ব্যর্থ হয় তাহলে দেশের সাধারণ নাগরিকদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে। বিএনপি তো সংগ্রাম করছে দেশবাসীর ভোটাধিকার অর্জনের জন্য এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। এই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করা দেশের প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব। কিন্তু তারা যদি না আসে এর দায় তো বিএনপির না। সেটা জনগণের ব্যাপার। কিন্তু রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি তার দায়িত্ব পালন করেছে।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশের মানুষের উচিত ভারতের পণ্য বর্জন করার
কেমতে কি করে আমরা দিল্লির গোলাম হয়ে গেলাম, টের পাইনি!
বিএনপির আজকের সরাসরি ভারতবিরোধী অবস্থান বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ নিয়ে আসবে আশা করি। বিএনপির এই প্রকাশ্য ভারত বিরোধী অবস্থানের কারনে আওয়ামী লীগকেও সরাসরি ভারতে পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ যতোই ভারতের পক্ষে কথা বলবে ততোই তাদের জনসমর্থন কমতে থাকবে। আমার ধারনা বাংলাদেশের আগামীর রাজনৈতিক পরিস্থিতির কোন পরিবর্তনের মূল ইস্যু হবে ভারত।
কেজরিওয়ালের বিচার নিয়ে জার্মানির বক্তব্যকে নগ্ন হস্তক্ষেপ বলছে ভারত