রাজনীতি
ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন, হত্যাকাণ্ড
বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় হেফাজত
স্টাফ রিপোর্টার
(৭ মাস আগে) ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় মন্দিরে আগুনের ঘটনার পর পিটুনিতে দুই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, আমরা হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনায় যারপরনাই ব্যথিত ও হতবাক হয়েছি। সরকার যদি এক্ষেত্রে দ্রুত যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়, আর এর ফলে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়, তাহলে সরকারকেই তার দায়ভার বহন করতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দেশ বাংলাদেশ। এ দেশের অধিবাসীদের ধর্মীয় বিশ্বাসে বৈচিত্র থাকলেও আবহমানকাল থেকেই নিজেদের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান আছে। কিন্ত গত বৃহস্পতিবার ফরিদপুর জেলাধীন মধুখালীর এক মন্দিরে আগুনের ঘটনায় নিছক সন্দেহের বশে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় কর্তৃক নৃশংসভাবে দুইজন মুসলিম শ্রমিককে হত্যা ও পাঁচজনকে আহত করার জঘন্যতম ঘটনায় আমরা বাকরুদ্ধ। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন, ফরিদপুরের মধুখালী থানার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগুন লাগে। কিন্তু কীভাবে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত জানা যায়নি। এদিন সন্ধ্যায় মন্দিরে প্রদীপ জ্বালানোর প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই সেখানে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। তখন মন্দিরের পাশে নির্মাণাধীন বিদ্যালয়ে শুধুমাত্র সাতজন মুসলিম শ্রমিক ছিলেন। কিন্তু তাদেরকে কেউ আগুন দিতে দেখেনি বা তাদের আগুন দেয়ার হীন উদ্দেশ্য থাকতে পারে এমন-সন্দেহ করার কোনো যৌক্তিক কারণ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপরও শুধুমাত্র সন্দেহের বশে স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের ওপর এই নিষ্ঠুর হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনা স্পষ্টতর সাম্প্রদায়িক উস্কানির শামিল।
কাক কাকের মাংস খাও না আর সব ই তো অভিশপ্ত
ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহকরা করবে তদন্ত তাও আবার সুষ্ঠু হবে প্রত্যাশা করেন?!
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কি ঘটনার আসল বিষয় জাতিকে জানাতে পারবে। এই পর্যন্ত কয়টি তদন্ত সঠিকভাবে হয়েছে।
হেফাজত নেতাদের আরো ভালো হতো যদি উনারা আগে যেসব মন্দির এ নাশকতা, ভাঙচুর এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে হত্যা বা নির্যাতন করা হয়েছে সেটারও বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাইতেন, শুধু এই ঘটনা কোনো?