প্রথম পাতা
খেজুরের দাম বেড়ে দ্বিগুণ
স্টাফ রিপোর্টার
৭ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবারপবিত্র রমজান এলে বাজারে খেজুরের চাহিদা বাড়ে। ইফতারে সবাই চেষ্টা করেন খেজুর রাখার। বাজারে জাত ও মানভেদে নির্ধারণ হয় খেজুরের দাম। তবে এবার সব ধরনের খেজুরই চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। তুলনামূলক কম দামের কারণে সাধারণ মানুষের পছন্দের তালিকায় ছিল বরই, জাহিদি ও দাবাস জাতের খেজুর। তবে গত বছরের চেয়ে এ বছর এসব খেজুরের দামও ৬০ শতাংশ থেকে দ্বিগুণ পর্যন্ত বেড়েছে। এ ছাড়া ভালোমানের খেজুরের দামও বেড়েছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। রাজধানীর খুচরা বাজারের খেজুরের দোকানগুলোতে দামের এই চিত্র দেখা যায়।
বাজারে সবচেয়ে কম দামি খেজুর জাহিদি জাতের। খেজুরটি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছর ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। অর্থাৎ এই জাতের খেজুরের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
আজওয়া, মাবরুম, মরিয়ম জাতের খেজুরের চাহিদাও রয়েছে বাজারে অনেক। এক বছরে এসব খেজুরের দামও অনেক বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি আজওয়া খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকা, যা গত বছর ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। মাবরুম বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা। মরিয়ম বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা। মেডজুল বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা, যা গত বছর বিক্রি হয়েছিল ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। আলজেরিয়া বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৪০০ টাকা। কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর খেজুর আমদানিতে অগ্রিম আয়কর ও অগ্রিম কর মিলিয়ে ১০ শতাংশ শুল্কহার ছিল। অর্থাৎ ১০০ টাকার খেজুর আমদানি করলে শুল্ককর দিতে হতো ১০ টাকা। চলতি অর্থবছরে সেই শুল্কহার বেড়েছে। বর্তমানে খেজুরে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ। এ ছাড়া ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ও ৫ শতাংশ অগ্রিম কর রয়েছে।
খিলগাঁও বাজারের জাকির অ্যান্ড ব্রাদার্সের কামাল হোসেন বলেন, গতবার ৬৫০ টাকায় আজওয়া বিক্রি করেছিলাম, এবার ৯০০ টাকার বেশি। আমাদের বেশি দামেই এবার খেজুর কিনতে হয়েছে। রমজানের পণ্য নিয়ে কোনো লুকোচুরি করি না, সীমিত লাভ করে বিক্রি করি। খিলগাঁও বাজারের আল আমিন নামের একজন বিক্রেতা বলেন, খেজুরের দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। আমাদের বিক্রিও এবার কম হচ্ছে। অনেকেই দুই কেজির জায়গায় এক কেজি কিনছে। কেউ কেউ দামি খেজুরের জায়গায় কম দামি খেজুর কিনছে।
এদিকে খেজুরের দাম প্রসঙ্গে বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, খেজুরের দাম কমানো হবে কোথাও বলা হয়নি। বলা হয়েছে, যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা হবে। আমরা রমজানের আগে আমদানি শুল্ক কমানোর কথা বলেছি। ট্যারিফ কমিশন বিষয়টি দেখছে। তিনি বলেন, সব সময়ই এক দল লোক থাকবে যারা ব্যবসায়িক সুযোগ নিয়ে মানুষের কষ্ট বাড়াবে। তারা প্রকৃত ব্যবসায়ী না। কারণ, দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসা করতে হলে মানুষকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য দিতে হবে। তাহলেই কিন্তু মানুষ তাদের কাছে বারবার আসবে।
একটু আগে যুগান্তর পত্রিকার অনলাইনে দেখলাম ইসুপগুলের ভূসী কেজিতে বেড়েছে ৫০০৳।
বাজারে আজওয়া খেজুর 1400 টাকা করে দোকানদাররা হাকাচ্ছেন ।
কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর খেজুর আমদানিতে সব কর মিলিয়ে ১০ শতাংশ শুল্কহার ছিল। অর্থাৎ ১০০ টাকার খেজুর আমদানি করলে শুল্ককর দিতে হতো ১০ টাকা। চলতি অর্থবছরে খেজুরে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ও ৫ শতাংশ অগ্রিম কর মোট ৫৩ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। বর্তমানে ১০০ টাকার খেজুর আমদানি করলে শুল্ককর দিতে হয় ৬২ টাকা।অথচ দাম বৃদ্ধির দোষ চাপানো হয় ব্যবসায়ীদের উপর এটা কতটুকু সত্য ?
আহাম্মক শিল্প মন্ত্রীর সিন্ডিকেট দায়ী.......ভালো করে সঠিকভাবে তদন্ত করলেই এর সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যাবে। না হলে হটাত কেনো এই আহাম্মক মন্ত্রী খেজুরের বদলে বড়ুই দিতে ইফতার করতে বললেন ?? ওনার পূর্ব পুরুষরা মনে হয় বরুই দিয়ে ইফতারি করতেন ??
''আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় গেলে মানুষ কিছু পায়''
অবসরের তিনদিন পূর্বে রাষ্ট্রীয় খরচে কোন সরকারি কর্মকর্তা কে বিদেশে আনন্দ ভ্রমন করতে পাঠালে রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষকে খেজুর তো চড়া দাম দিয়ে কিনতেই হবে।
এই হল মুসলিম প্রধান বাংলাদেশ! যেখানে রমজানের মত একটি পবিত্র মাসে সরকার ভুর্তুকী দেয়াতো দুরের কথা উল্টো মুসলিমদের ইফতারের সবচেয়ে প্রিয় খেজুরের মত খাদ্য পণ্যে আমদামী করসহ সব কর বাড়িয়ে দিয়েছে। আসলে এমন একটি বিচিত্র সংস্কৃতির দেশ নিয়ে কি গর্ব করব নাকি লজ্জিত হব?
যত কিছুই আমরা বলি না কেন সব কথার এক কথা হচ্ছে দেশের উপর চেপে বসা ডাকাত সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন জনগণ ডাকাতির শিকার হতেই থাকবে।
Joybangla.
এসময় খেজুর না খেলাম, সেটা কোন বিষয় না মূল বিষয় হলো দেশের মানুষের কাছে যদি খেজুর বা অন্য কোন পণ্য ক্রয় সাধ্যে না থাকে তাহলে সেটা আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ করা হোক ! চোখের সামনে দেখে আমাদের লোভ জাগবে না আর অসাধু ব্যবসায়ী আর সিন্ডিকেটকেও কিছুটা হলেও শিক্ষা দেয়া হবে !
সরকার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটকে দায়ী করে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারই দায়ী। গলাকাটা শুল্ক হার বসিয়ে জিনিসপত্রের দাম মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে নিয়ে গেছে।
খেজুর না খেলে কি হয়? প্রয়োজনে আমরা কেন খাদ্যাভ্যাস বদলাতে পারি না।
শেষ পর্যন্ত উন্নয়নের ধাক্কা লাগলো খেজুরের উপরে। তাই হয় তো দাম বাড়ছে।
বর্তমান সরকারের এক কথা "তারা কথা দিয়ে কথা রাখে না"। তারা যে কোন মুল্যে ক্ষমতা দখলে রাখতে চায়। জিনিস পত্রের দাম নিয়ে তাদের কিচ্ছু জায় আসে না। এক কোটি মানুষ দেশ ছেড়ে ভেগে গিয়ে প্রবাসী হয়েছে। তারা এখন সোনার হাস। প্রয়োজনে আরও দুই কোটি মানুষকে দেশ ছাড়া করে হলেও তাদের পাওয়ায় চাই।
৫৩% “উন্নয়ন” সরকারে নিচ্ছে!
খেজুরের দাম বাড়ুক সমস্যা নাই বরইয়ের দাম না বাড়লেই হলো। বরই দিয়ে ইফতারে সওয়াব অনেক
রমযানে খেজুর বিলাসী দ্রব্য নয়।এতো শুল্ক,কর কেনো!
যদি সরকারের ক্ষমতা থাকে এল সি এবং অন্যান্য খরচ এর সাথে ১0 থেকে 15 পার্সেন্ট মুনাফা যোগ করে আমদানি কারকে কে দিয়ে খোলা বাজারে সরকারিভাবে বিক্রি পদক্ষেপ নেওয়া হোক। দেখি সরকার কতটা জনবান্ধব।
৫৩% নানাবিধ কর , তারপর আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরো বিক্রেতার হাত ঘুরে ভোক্তাদের কাছে যাবে,খেজুরের বিকল্প খালি পেটে বরই খেয়ে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে পগাড় পাড় হওয়াই শ্রেয়তর।
টাকা ছাপিয়ে রাষ্টের কর্মচারী দের বেতন দিলে এমনি হয়।
খেজুরের দাম বাড়ার জন্য সরকারের শিল্প মন্ত্রীর সিন্ডিকেট দায়ী.......ভালো করে সঠিকভাবে তদন্ত করলেই এর সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যাবে। না হলে হটাত কেনো এই আহাম্মক মন্ত্রী খেজুরের বদলে বড়ুই দিতে ইফতার করতে বললেন ?? ওনার পূর্ব পুরুষরা মনে হয় বরুই দিয়ে ইফতারি করতেন ?? বাজারের এই সমস্থ পণ্যের দাম বাড়ার ব্যাপারে সরকারি দলের নেতা, এমপি, মন্ত্রীদের বিশাল সিন্ডিকেট দায়ী। এটা বহুল প্রচারিত.......পৃথিবীর অনেক বড় বড় মুসলিম দেশে রমজান, ঈদ এলে জিনিসপত্রের মূল্য কমে যায়, একমাত্র নব্বই ভাগ মুসলিম দেশ বাংলাদেশে হুহু করে বেড়ে যায়। আর ব্যাবসায়ীরা বেশী মুনাফা করার জন্য দিশেহারা হয়ে যায়........প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়, কার আগে কে মূল্য বাড়াবে। এরা মুসলিম মানুষ হিসেবে খুবই জগণ্য, যা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য নেয়ার করা খুব কষ্টকর হয়ে যায়। ব্যাপারটা সরকার প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষন করছি.......