শেষের পাতা
ঐতিহাসিক ‘বদর’ দিবস আজ
আতিকুর রহমান নগরী
২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবারআজ ১৭ই রমজান। ২য় হিজরির এই দিনে মহানবী (সা.)’র নেতৃত্বে সাহাবায়ে কেরামের ৩১৩ জনের একটি মুজাহিদ বাহিনী বদর প্রান্তরে উপস্থিত হন। ইসলামের ইতিহাসে যাকে জঙ্গে বদর বা বদর যুদ্ধ নামে অভিহিত করা হয়েছে। ইসলামের ঐতিহাসিক এ যুদ্ধের এই দিবসকে আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে ইয়াওমুল ফুরক্বান বলে ঘোষণা করেছেন। মদিনা শরীফ থেকে প্রায় ষাট মাইল পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রের নাম বদর। তখনকার দিনে পানির প্রাচুর্য থাকায় স্থানটির গুরুত্ব ছিল অত্যধিক। এখানেই তাওহীদ ও কুফুর-শিরকের মধ্যে সর্বপ্রথম সংঘর্ষ ঘটে দ্বিতীয় হিজরির ১৭ই রমজানুল মোবারক মোতাবেক ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দের ১১ই মার্চ, শুক্রবার। ‘আরব জাতির ইতিহাস’ গ্রন্থে বলা হয়েছে বদরের যুদ্ধ ছিল ইসলামের ইতিহাসে প্রথম প্রকাশ্য বিজয়।
এ ছিল এক আশ্চর্যজনক দৃশ্য। মুসলিম শরীফে বর্ণিত, রাসুল (সা.) তখন খুবই ভারাক্রান্ত অবস্থায় ছিলেন। দু’হাত তুলে তিনি আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করছিলেন আর বলছিলেন, ‘হে আল্লাহ! হে রাব্বুল আলামীন! তুমি আমার সঙ্গে যে ওয়াদা করেছো তা আজ পূরণ করো।
হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, মহান আল্লাহ তাঁর ওয়াদা পূরণ করবেন। আপনি উঠুন।-বুখারি, কিতাবুল মাগাজি।
অবশেষে আত্মিক প্রশান্তিসহকারে তিনি এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন, যার অর্থ ‘অতিসত্বর বাহিনী পরাজিত হবে এবং পলায়ন করবে।’-বুখারি, কিতাবুল মাগাজি
এই যুদ্ধে আত্মোৎসর্গ ও জীবনবাজির সর্বাধিক বিস্ময়কর দৃশ্য ছিল। উভয় দল মুখোমুখি হলে দেখা গেল, স্বয়ং আদরের কলিজার টুকরো সন্তানরাই তলোয়ারের সামনে। হযরত আবু বকর (রা.)-এর ছেলে যুদ্ধক্ষেত্রে অগ্রসর হলে তিনি তলোয়ার হাতে বের হন।-সিরাতুন নবী, শিবলি নুমানি, ১ম খণ্ড।
উতবা ময়দানে অবতরণ করলে তার ছেলে হুযায়ফা (রা.) তার মোকাবিলায় বের হন। হযরত উমর (রা.)-এর তলোয়ার এই যুদ্ধে আপন মামার রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল।-ইবন হিশাম, ১ম খণ্ড। পরিশেষে, মুসলিম সৈন্যদের হাতে বিজয় ধরা দেয়।
ওগো বিশ্বজাহানের অধিপতি বদর যুদ্ধে তুমি মুসলিমদের বিজয় দান করেছিলা, বদর দিবসে তোমার কাছে ফরিয়াদ রইলো ফিলিস্তিনিদের বিজয় দান করো।
বদরের আদর্শ মুস্ লিম রা ভুলে গেছে তাই গাজায় নিরাপরাধ মানুষ মারা যাচ্ছে আর মুস্ লিম বিশ্ব হা করে চেয়ে দেখছে ।