দেশ বিদেশ
চালের বস্তায় দাম-জাত লেখা বাধ্যতামূলক কার্যকর ১৪ই এপ্রিল থেকে
স্টাফ রিপোর্টার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বৃহস্পতিবারচালের প্রতি বস্তায় দাম ও জাত লেখা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। আগামী ১৪ই এপ্রিল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। গতকাল খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে- চালের প্রতিবস্তা সরবরাহের আগে উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। এই তথ্যগুলো ছক মোতাবেক লিখতে মিলারদের নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে মিল গেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে। সকল জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ খাদ্য পরিদর্শকরা এটি নিশ্চিত করতে পরিপত্রে নির্দেশনা দেয়া হয়। এর ব্যত্যয় ঘটলে ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন-২০২৩’ এর ধারা ৬ ও ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তারা নিতে পারবেন। আগামী ১৪ই এপ্রিল থেকে এই নির্দেশনা অবশ্যিকভাবে পালন করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলা পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে- বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা অকস্মাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে-অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধান, চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজারমূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই চাল বাজারজাতকরণের কথা উল্লেখ করা হয়।