বিশ্বজমিন
বাংলাদেশে দুর্নীতি প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নির্বাচিত ব্যক্তিদেরকে আইন ও আর্থিক বিধিবিধান মেনে চলার আহ্বান
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বুধবার, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৪৩ অপরাহ্ন

নির্বাচিত কর্মকর্তারা যাতে বাংলাদেশে দুর্নীতির বিষয়ে দেশের আইন এবং আর্থিক বিধিবিধানগুলো মেনে চলেন তা নিশ্চিত করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ২০শে ফেব্রুয়ারি নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান। তার কাছে বাংলাদেশের দুর্নীতি, বিশেষ করে সাবেক একজন মন্ত্রীর সম্পদের বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি। তিনি জানতে চান- ব্লুমবার্গে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। তাতে বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীর দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি ওপেন সিক্রেট বলা হয়েছে।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মন্ত্রিপরিষদের সাবেক অন্যতম সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী বৃটেনে এবং যুক্তরাষ্ট্রে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই সম্পদের মূল্য ২০ কোটি পাউন্ড, যা বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের শতকরা এক ভাগের সমত্যুল। অনেক ঘটনার মধ্যে এটি হলো মাত্র একটি ঘটনা। বিশ্বব্যাপী সরকারের জবাবদিহিতা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ বিষয়টিকে কিভাবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র? মুশফিকের এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, এসব রিপোর্টের বিষয়ে আমরা অবহিত। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করি নির্বাচিত সব কর্মকর্তা যেন দেশের আইন ও আর্থিক বিধিবিধান মেনে চলেন তা নিশ্চিত করতে হবে।
পাঠকের মতামত
এধরনের বিবৃতি হিরো আলমের মিউজিক ভিডিওর মতো মনে হয় এখন। অরুচি ধরে গেছে!
বিএনপিকে উদ্দেশ করে অনেক নসিয়ত করেছেন কেউ কেউ।আপনারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে হাতে চুড়ি পড়তে পারেন।বিএনপি অনেক জেল জুলুম সহ্য করে রাজনীতি করে। আজ আওয়ামী লীগ শত অপকর্ম করলেও এদেশের মানুষ কোন কথা বলে না।ভারতের প্রায় ৪/৫ লাখ লোক চাকুরী করে, অথচ লাখ লাখ ছেলে মেয়ে বেকার। শুধু মাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য ভারতের হতে বাংলাদেশ কে তুলে দিয়েছে। উন্নয়ন এর গালগল্প শুনিয়ে দেশের বারোটা বাজাইছে আওয়ামী লীগ।
নির্বাচিত কর্মকর্তারা যাতে বাংলাদেশে দুর্নীতির বিষয়ে দেশের আইন এবং আর্থিক বিধিবিধানগুলো মেনে চলেন তা নিশ্চিত করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ২০শে ফেব্রুয়ারি নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান। তার কাছে বাংলাদেশের দুর্নীতি, বিশেষ করে সাবেক একজন মন্ত্রীর সম্পদের বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি। তিনি জানতে চান- ব্লুমবার্গে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। তাতে বাংলাদেশের শাসক গোষ্ঠীর দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি ওপেন সিক্রেট বলা হয়েছে। এর জন্য জন্য দায়ী আপনারা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করুন,ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিন সব ঠান্ডা হয়ে যাবে।এসব ক্রিমিনালদের জায়গা আপনারা দেন কেন!!
আমার প্রশ্ন নির্বাচিত বলতে কাহাদের বুঝানো হয়েছে।
বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলো ঘরের খবর পরকে বলে পরের কাছে নালিশ জানিয়ে যা করেছে তা হলো, একটা স্বৈরাচার ঘরানার দলকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌছে দিয়েছে। যদি এসব না করে নিজেদের শক্তি সামর্থ্য প্রয়োগ করতো, তাহলে এতো বড় কিছু হতো না। যাদের আমরা স্বৈরাচার বলতেছি, তারা স্বৈরাচারিতা প্র্যাক্টিস করার স্বপ্ন পর্যন্ত দেখতে পেতো না।
বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র শব্দ চয়নের খেলায় মেতে উঠেছে। এখানে অপরাধী আর মজলুম সবার সাথে তাঁরা নিবিড় যোগাযোগ করে যা তাদের দ্বিমুখী নীতি বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।