দেশ বিদেশ
পর্দা নামলো ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার
৪শ’ কোটি টাকার কেনাবেচা ৩৯১ কোটির রপ্তানি আদেশ
স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ থেকে
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বুধবারমাসব্যাপী আয়োজিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বিকাল ৫টায় মেলার স্থায়ী ভেন্যু বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন। এ সময় টিটু বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবার হস্তশিল্পকে বর্ষসেরা পণ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। বাণিজ্যমেলার মাধ্যমে পোশাক শিল্পের পাশাপাশি, লেদার, জুট, ইলেকট্রনিক্সসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। হস্তশিল্পকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী বছর আলাদা প্যাভিলিয়নের ব্যবস্থা থাকবে। যাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হস্ত তৈরি সামগ্রী নিয়ে মেলায় প্রদর্শনী করতে পারে। এবছর মেলা করতে যা ভুল হয়েছে সেগুলো শুধরিয়ে আগামীতে আরও সুন্দর মেলার উপহার দিবো। ২৩ দেশের ব্যবসায়ীরা যাতে মেলায় আসে সেই বিষয়ে বিশেষ নজর দেয়া হবে। যাতে করে আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের দেশের পণ্য আরও প্রসার লাভ করে। এদেশের পণ্য রপ্তানি ঘটিয়ে আমাদের লক্ষ্য ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য পূরণ করা।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান প্রমুখ। এ সময় তপন কান্তি ঘোষ বলেন, মাসব্যাপী মেলায় বিদেশি ব্যবসায়ীরা আসতে চান না। আমরা চিন্তা করছি এই মেলাটিতে ঢাকা বাণিজ্যমেলা নাম দিয়ে আগামীতে ৫ দিনের ভিন্ন একটি আন্তর্জাতিক মেলা আয়োজনের ব্যবস্থা করা হবে। এ সময় এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম সে প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে এফবিসিসিআই’র সার্বিক সহযোগিতা ও পার্টনারশিপের প্রস্তাব দেন। আয়োজকরা মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনা তুলে ধরে জানান, গতবারের চেয়ে ১৫ শতাংশ বিক্রি বেড়ে এবার পণ্য বেচা হয়েছে ৪০০ কোটি টাকার। তাছাড়া গতবারের চেয়ে ১৭.২৫% রপ্তানি আদেশ বেড়ে এবারের মেলা থেকে বিদেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে রপ্তানি আদেশ এসেছে ৩৯১ কোটি ৮২ লাখ টাকার। এবারের মেলায় ৩৫১টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান প্যাভিলিয়ন ও স্টল বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে অংশগ্রহণ করে। মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, হংকং, জাপান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুরের ৯টি স্টল প্যাভিলিয়ন অংশ নেয়। এবছর সেরা স্টল, প্যাভিলিয়ন নির্মাণসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৪১টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।