বিশ্বজমিন
ডনাল্ড লু ফের দৃশ্যপটে
মানবজমিন ডেস্ক
(৯ মাস আগে) ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, রবিবার, ৬:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:২৬ অপরাহ্ন
রোহিঙ্গা সংকট ও মিয়ানমারে চলমান অস্থিরতা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতকে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডনাল্ড লু। সম্প্রতি তিনি ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘ইউএস ইনস্টিটিউট অব পিস’ (ইউএসআইপি)-এ বক্তব্য রাখেন। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে স্টেট ডিপার্টমেন্ট, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল ও পেন্টাগনের অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। সেসময়ই তিনি বলেন, মিয়ানমার পরিস্থিতির সহসাই উন্নতি হচ্ছে না। এ কারণে বাংলাদেশ ও ‘সম্ভবত ভারতের জন্যও’ যে শরণার্থী সংকট ও নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি হচ্ছে তা সামনে আরও গভীর হতে পারে। হিন্দুস্তান টাইমসের এক রিপোর্টে এ খবর দেয়া হয়েছে।
ডনাল্ড লু বলেন, আমি বাংলাদেশ ও সেখানে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বার্মায় চলমান অস্থিরতা এই অঞ্চলের জন্য কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে অনেক সময় ব্যয় করেছি। ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার জন্য ঢাকা যে উদারতা দেখিয়েছে তাকে সমর্থন দিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে। অসাধারণ এই উদারতা দেখার জন্য আমি বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির কক্সবাজার পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। আমি এসব শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলোর একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছাও প্রত্যক্ষ করেছি। এরপরই লু উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, তবে বার্মার পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হচ্ছে না। এতে করে বাংলাদেশ ও সম্ভবত ভারতের জন্যও শরণার্থী সংকট ও নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এই সমস্যা সামনে আরও গভীর হতে পারে। এ নিয়ে আমাদের চোখ খোলা রাখতে হবে এবং এই অঞ্চলে বাংলাদেশ ও ভারতের মতো আমাদের অংশীদারদের সমর্থন করতে হবে, যাতে করে তারা তাদের দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীলতা বাড়তে না দিয়ে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারে।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ছাড়াও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের আরও নানা ইস্যু নিয়ে কথা বলেন লু। তিনি শ্রীলঙ্কার প্রশংসা করার পাশাপাশি মালদ্বীপকে চীনের ফাঁদ সম্পর্কে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, বেইজিং যদি অন্য কোনো দেশের সঙ্গে সত্যিকারের প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতো, তাহলে তারা মালদ্বীপের মূল্যবান অংশীদার হতে পারতো। লু ভারত মহাসাগর এলাকায় ভারতের নেতৃত্বের বিষয়টি মেনে নিয়ে দেশটির সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
শ্রীলঙ্কা প্রসঙ্গে লু বলেন, মাত্র দেড় বছর আগেও শ্রীলঙ্কা সংকটে ডুবে ছিল। রাস্তায় দাঙ্গা হচ্ছিল। খাদ্য ও পেট্রোলের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছিল। এরপর বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের বাড়ি দখলে নিলো এবং তার পুলে সাঁতার কাটলো। কিন্তু এখন যদি আপনি শ্রীলঙ্কা যান, দেখবেন এটি পুরো আলাদা একটি দেশ। মুদ্রা এখন স্থির, পণ্য ও জ্বালানির দামও স্বাভাবিক। লু বলেন, বন্ধুদের থেকে সাহায্য পেয়েই শ্রীলঙ্কা এভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে। ভারত ও অন্য কিছু দেশ গিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ঋণ সহায়তা দিয়েছে। যার ফলে শ্রীলঙ্কা তার সব থেকে কঠিন সময়েও গুরুত্বপূর্ণ আমদানিগুলো অব্যাহত রাখতে পেরেছিল। ইউএসএইড সেসময় শত শত মিলিয়ন ডলারের কৃষি পণ্য, সাড় ও বীজ সরবরাহ করেছে। যাতে কৃষকরা তাদের নিজেদের ফসল নিজেরা উৎপাদন করতে পারে।
বাংলাদেশ এখন আর লুটপাট মডেলের উন্নয়নের ভার সইতে পারছেনা বলে সমগ্র বাংলাদেশ একটি লু হাওয়ায় অপেক্ষায় আছে। দে লাড়া দে, তছনছ করে দে বাকশালি ক্ষমতার মসনদটি!
This guy was exposed in Pakistan by Imran Khan. Now he is exposed in Bangladesh. We should protest all his visits.