দেশ বিদেশ
মর্মান্তিক
প্রবাসী স্বামীর লাশ বাড়িতে আসার ৫ মিনিটেই হৃদরোগে স্ত্রীর মৃত্যু
ফেনী প্রতিনিধি
৩০ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার
প্রবাসী স্বামী জামাল উদ্দিন (৪৭) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালদ্বীপে মৃত্যুর পর লাশ বাড়িতে আসার ৫ মিনিটেই হৃদরোগে স্ত্রী খোদেজা বেগমের মৃত্যু হয়। বাবার পর মায়ের মৃত্যু দেখে বড় ছেলে মো. আজাহার (১৮) ও ‘হৃদরোগে’ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদনগর ইউনিয়নের চর কালিদাস গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অল্প সময়ের ব্যবধানে বা-মাকে হারিয়ে এতিম হওয়া দুই সন্তান নিয়ে এলাকাজুড়ে চলছে শোকের মাতম। নিহতদের স্বজনদের বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, বিয়ের কয়েক বছর পর পরিবারের সচ্ছলতার আশায় ১৪ বছর আগে মালদ্বীপে পাড়ি জমান জামাল উদ্দিন। প্রবাসে থাকা অবস্থায় ছুটিতে তিন-চারবার বাড়িতে এসেও ঘুরে যান। গত ২৩শে জুন প্রবাসী জামাল উদ্দিন হৃদ?রোগে আক্রান্ত হয়ে মালদ্বীপে মারা যান। নানা চেষ্টা-তদবিরের পর মঙ্গলবার মরদেহ দেশে আনা হয়। রাত নয়টায় তার মরদেহ ফেনীর ফরহাদনগর ইউনিয়নের চর কালিদাস গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। প্রবাসী জামাল উদ্দিনের ভাগিনা রবিউল হক বলেন, জামাল উদ্দিনের লাশ বাড়িতে পৌঁছানোর পর পরই স্বামীর লাশ দেখে নির্বাক হয়ে যান স্ত্রী খোদেজা বেগম। এ সময় ৫ মিনিট পরই স্ত্রী খোদেজা (৩৮)ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে দ্রুত তাকে ফেনী জেনারেল হাসপতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাবার পর মা’র মৃত্যু দেখে বড় ছেলে মো. আজাহারও ‘হৃদরোগে’ আক্রান্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। রাতেই তাকে ফেনী ডায়াবেটিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রতিবেশী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আজাহারকে হাসপাতালে ভর্তির পর মা খোদেজার মরদেহ ঘরে রেখে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে বাবা জামালের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। একটু সুস্থ হলে সকালে ছেলেকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এনে গতকাল বেলা ১১টার দিকে বাবার কবরের পাশে মা খোদেজা বেগমকেও কবর দেয়া হয়। এর আগে স্বজনদের সঙ্গে দুই ছেলেও মায়ের জানাজায় অংশ নেন। বিকালে ফের আজাহার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।