অর্থ-বাণিজ্য
দেশে কোনো সিন্ডিকেট থাকতে পারবে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, রবিবার, ৬:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৪২ অপরাহ্ন

মজুতদারি শক্ত হাতে দমন করা হবে জানিয়ে নতুন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা করতে চাই। রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রথম অফিস করতে এসে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো সিন্ডিকেট থাকতে পারবে না। কেউ কোনো কারসাজি করে বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। কোনো ভয়ভীতি এটা না। এদেশে যারা ব্যবসা করেন সবাই দেশপ্রেমিক। আমরা বিশ্বাস করি তারা মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। আমাদের দায়িত্ব থাকবে তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মধ্যে নিয়ে আসা। বিশেষ করে যারা আমাদের এসেনশিয়াল (জরুরি) পণ্যগুলো নিয়ে কাজ করে। তেল, চিনি, লবণ এ ধরনের পণ্য নিয়ে যারা কাজ করে তারা যেন স্বচ্ছতা জবাবদিহির সঙ্গে কাজ করে এটা আমরা নিশ্চিত করবো।
তিনি বলেন, কৃষিতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষিতে আমরা অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছি। চাল, ভেজিটেবল, মাছ, ডিম, মুরগি কোনো কিছুতে আমাদের ঘাটতি নেই। কিন্তু বাজার ব্যবস্থাপনা, স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা করতে চাই। উৎপাদক বা আমদানিকারক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে সরবরাহের সময় কমিয়ে আনতে চাই। সরবরাহ যদি ভালো থাকে তাহলে কেউ বাজারে কারসাজি করার সুযোগ পাবে না এবং কেউ উচ্চমূল্যে বিক্রি করারও সুযোগ পাবে না।
টিটু বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো কিছু উৎপাদন করে না, আমদানিও করে না। বাজার ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে, ভোক্তা যাতে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা পায় সেটা নিশ্চিত করা হলো আমাদের কাজ।
তিনি বলেন, কেউ কারসাজি করার চেষ্টা করলে আমরা শক্ত হাতে দমন করবো। বিশেষ করে মজুতদারি। আমরা দেখি রমজান এলেই কিছু ব্যবসায়ী, আমি ব্যবসায়ী বলবো না তাদের, অসাধু কিছু গোষ্ঠী তারা ব্যবসার নামে এই অপকর্মগুলো করে। মজুতদারি আমরা শক্ত হাতে দমন করবো। আমাদের সব ডিপার্টমেন্ট এ বিষয়ে সচেতন থাকবে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সহজলভ্য করা। যাতে সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। আমরা এবছরের শুরু থেকে স্মার্ট বাজার সিস্টেম চালু করতে চাই। যাতে উৎপাদনকারী থেকে ভোক্তা, আমদানিকারকদের থেকে ভোক্তা- এর মধ্যে যেন কোনো হস্তক্ষেপ না থাকে। আপনারা জানেন অনেক পণ্যের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করতে হয়। আমাদের কাজ শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। এটার নিশ্চয়তা দিতে পারি।
টিসিবির পণ্য নেয়া এক কোটি পরিবারকে কবে নাগাদ স্মার্ট কার্ড দিতে পারবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আশা করছি জুনের মধ্যে কার্ড দিতে পারবো। তার জন্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে না। এখন যে তালিকা আছে সেটা ধরেই দেবো।
তিনি বলেন, যারা বাজারে উৎপাদক, আমদানিকারক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে যারা কোনো রকমের হস্তক্ষেপ করবে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবো। যারা কৃত্রিম সংকট, মজুতদারি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। তবে যারা ভালোভাবে ব্যবসা করবে তাদের সহযোগিতা করবো। তাদের আস্থা নিয়ে কাজ করতে চাই।
টিটু বলেন, ভারত থেকে আমাদের পণ্য আমদানি করতে হয়, তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমাদের সুবিধামতো পিয়াজ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় যেসব পণ্য ভারতে থেকে আসে সেগুলো আমদানিতে একটু সহজ করা হবে বলে আশা করছি। একই সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করে যাবো।
সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবেন- জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি সিন্ডিকেট শব্দের সঙ্গে অভ্যস্ত না। দেশে কোনো সিন্ডিকেট থাকতে পারবে না। আমি পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করেছি। তখন কোনো সিন্ডিকেট, মজুতদার কোনো কারসাজি করতে পারেনি। এখানেও আমরা সফল হবো। ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মধ্যে কাজ করতে হবে। আমাদের যথেষ্ট সুযোগ আছে, তাদের অনুরোধ করবো, তাদের নিয়ে বসবো। আমরা তাদের বলবো স্বচ্ছতা, জবাবদিহির সঙ্গে ব্যবসা করলে আমরা তাদের সহযোগিতা করবো। কিন্তু কোনো রকম কারসাজি করে, সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করলে আমরা শক্তহাতে ব্যবস্থা নেবো।
তিনি বলেন, কোনো ব্যবসায়ীর স্বার্থ রক্ষার জন্য নয় জনস্বার্থে কাজ করবো। সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে সেই কাজ করবো। ভোক্তাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমাকে একটু সময় দেন।
পাঠকের মতামত
পাইকারী আড়ৎ গুলোতে ১টি করে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প তৈরি করে দিন এবং তাদেরকে নিয়ন্ত্রনের দায়িত্ব দিয়ে দিন তাহলে সব মামা খালু লাইনে চলে আসবে।
This gentleman this statement is a clear picture that he will create more and more syndicate in this country so that his team can suck more and more blood from common people which they deserve
পাবলিক খায় এমন বুলি দিয়া লাভ নাই, সামনের রোজায়ই দেখা যাবে বুলির ফলাফল
Syndicate and the Minister will co-exist. He can't eradicate the syndicate.
আগে ব্রয়লার মুরগির দাম কমান দেখি। পরে বাকি গুলো দেখবো।
সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত যেই হোক না কেন তাকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে পারলে আপনার সফলতা সুনিশ্চিত।
ভূমি মন্ত্রী জাবেদ সাহেব একই কথা বলেছিলেন। এরপরের খবর সবার জানা।
অল্প সময়ে কোটিপতি হওয়ার তোড়ে সবাই ব্যস্ত। দীর্ঘদিনের অসুস্থ প্রতিযোগীতা দমন সম্ভবপর হবে না। এর চেয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক এসেনশিয়াল (জরুরি) পণ্যের জন্য স্থানীয় ডিলার এবং ডিলারদের সরবরাহের জন্য আমদানীকারক/সরবরাহকারী নির্দিষ্ট করে দেওয়া হোক। সরকারি মূল্যের বাহিরে যাতে বিক্রি করতে না পারে তার জন্য ভোক্তা অধিকার দপ্তরের শাখা প্রশাখা বৃদ্ধি করা হোক।
উদ্দেশ্য মহৎ। তবে পণ্যের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকা সত্বেও কিছু দ্রব্যের দাম কমছেনা। এটা অবশ্যই বাজার ব্যর্থতা এবং সরকারের ব্যর্থতা। বাজার ব্যবস্হপনায় গোষ্ঠী স্বার্থ দেখা যাবেনা। এখানে বাণিজ্য, কৃষি, খাদ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে।
ক্ষমতায় বসে সবাই সব বলে কিন্তু কাজে ফাঁকি।সিন্ডিকেট তো ওনার বসেরা তা কি তিনি ভুলে গেছেন ?
চেষ্টা করে যান দ্রব্য মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে আনতে পারলে তাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।