অর্থ-বাণিজ্য
ডিসেম্বর মাসেও রপ্তানি আয় কমেছে
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১১ মাস আগে) ৩ জানুয়ারি ২০২৪, বুধবার, ১২:০০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:২০ অপরাহ্ন
দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস রপ্তানি আয়। বছরের শেষ তিন মাস রপ্তানি আয়ে নেতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি আয় কমেছে ১.০৬ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে মঙ্গলবার প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, গত ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় এসেছে ৫৩০ কোটি ৮০ লাখ ৯০ হাজার ডলার। অন্যদিকে ২০২২ সালে একই সময়ে পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ৫৩৬ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার ডলারের। সে হিসাবে ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় কমেছে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ কোটি ৭১ লাখ ডলার, বা ১.০৬ শতাংশ।
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের অক্টোবরের পর থেকে দেশের রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। চলতি অর্থবছরের (২০২৩–২৪) অক্টোবরে রপ্তানি আয় ছিল ৩৭৬ কোটি ডলার, আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩.৬৪ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে নভেম্বরে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৮ কোটি ডলার, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৬.০৫ শতাংশ।
বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি কমে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে সার্বিক রপ্তানি আয়ে। রপ্তানি পণ্যের প্রায় ৮৫ শতাংশ দখল করে আছে তৈরি পোশাক খাত। জুলাই-ডিসেম্বর এই ছয় মাসে তৈরি পোশাক খাতে কৌশলগত পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়নি। তৈরি পোশাক খাতের জন্য কৌশলগত পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৫৩৮ কোটি ৯০ লাখ ২০ হাজার ডলার। এই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৩৩৯ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার ডলারের পণ্য যা কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭.৮৭ শতাংশ কম।
২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় কমার পাশাপাশি সার্বিক কৌশলগত রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রায়ও ছেদ পড়েছে। গেল ডিসেম্বরের জন্য কৌশলগত রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫৬২ কোটি ১০ লাখ ডলার। কিন্তু পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৫৩০ কোটি ৮০ লাখ ৯০ হাজার ডলার যা কৌশলগত রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫.৫৭ শতাংশ কম।
বিজিএমইএ পরিচালক ও বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বৈশ্বিকভাবে ২০২৩ সাল পোশাক খাতের জন্য ২০২২ সালের মতো এতটা ভালো ছিল না। নতুন বছর (২০২৪ সালে) সার্বিকভাবে আমরা একটু চাপেই থাকবো। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের তৈরি পোশাকের চাহিদা বাড়ার ইঙ্গিতও পাচ্ছি। আমরা যদি অভ্যন্তরীণ সাপ্লাই চেন ঠিক রাখতে পারি আর নতুন পণ্য ও বাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে পারি, তাহলে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারবো।
উল্লেখ্য, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা পণ্য রপ্তানি থেকে আয় করেছিল প্রায় ৫৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ বিলিয়ন ডলার।