অর্থ-বাণিজ্য
ব্যাগেজ রুলে ধ্বংস হচ্ছে সোনার ব্যবসা
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, রবিবার, ৭:০৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:১৬ পূর্বাহ্ন

বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা বিনা শুল্কে ১০০ গ্রাম সোনার অলংকার আনছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ব্যক্তিগত ব্যবহারের নামে আনা এই অলংকার বেশিরভাগই বিক্রি করে দিচ্ছেন যা ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহার বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)।
সংগঠনটির দাবি, ব্যাগেজ রুলের এ অপব্যবহারের কারণে দেশের জুয়েলারি শিল্প ধ্বংস হচ্ছে। স্থানীয় কারিগররা কর্মহীন হয়ে পড়ছেন। পাশাপাশি প্রবাসী শ্রমিকদের রক্তে ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এমন অবস্থায় দেশে ডলার সংকটের এই সময়ে বিনা শুল্কে সোনার অলংকার আনার ক্ষেত্রে সরকারের কড়া নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করছে বাজুস।
রোববার রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটি শপিংকমপ্লেক্সের বাজুস কার্যালয়ে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগ্লিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্ট আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ সব কথা বলেন।
বাজুসের সহ-সভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগ্লিং অ্যান্ড ল এনফোরসমেন্টের চেয়ারম্যান রিপনুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগ্লিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল উদ্দিন, কমিটির সদস্য শাওন সাহা, মো. দিদারুল আলম প্রমুখ।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুয়েলারি শিল্পের ঐতিহ্য, ব্যবসায়ীক সুনাম ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সার্বিক দিক বিবেচনা করে গত ২৪ জুন অলংকার ক্রয়-বিক্রয় ও বিপণন নির্দেশিকা-২০২৩ প্রণয়ন করেছে বাজুস। এতে ব্যাগেজ রুলের আওতায় আনা সোনা ও অলংকার ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাজুসের নির্দেশনা হলো— বিক্রেতার পাসপোর্টের মূল কপি থেকে নিজ দায়িত্বে ফটোকপি করে রাখতে হবে।
বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি থেকে নিজ দায়িত্বে উভয় পাশের ফটোকপি রাখতে হবে। প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে সোনা ক্রয় করতে হবে। এয়ারপোর্টে ডিক্লেয়ারেশন বা ট্যাক্সের আওতায় থাকলে ট্যাক্স প্রদানের ডকুমেন্ট (মূল কপি) সংরক্ষণ করতে হবে।
পাঠকের মতামত
ব্যাগেজ রুলে ব্যবসা ধ্বংস হচ্ছে? তাহলে তো দাম কমার কথা। কিন্তু প্রত্যেক মাসেইতো দাম বাড়ছে।
এরা ধান্দাবাজ। এরা সুদী। এরা জনগন কে নকল স্বর্ণ দিয়ে ধোকা দেয়। এরাই স্বর্ণ চোরাকারবারি। এরাই শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দেশে স্বর্ণের বার আনে এবং আনায়। এদের অধিকাংশ ই অবৈধ অর্থ পাচরের সাথে জড়িত। এদের কে আইনের আওতায় আনা হোক। এদের সম্পত্তির হিসাব নেওয়া হোক। এটা করতে পারলে সরকার জনগনের দোয়া পাবে।
চাল ডাল পেঁয়াজ আলুর মানুষ বেশি দামে কিনলেও সঠিক জিনিসটাই কিনতে পারে, কিন্তু স্বর্ণ কেনার পর তা বিক্রি করতে গেলে সেটা আর ফেরত নিতে চায় না, কারণ পুরাটাই ভেজাল, এ ব্যাপারে সরকারের কঠোর নীতি প্রনয়ন ও কড়া নজরদারি দরকার, এরা বাজারে বসে সবার সামনেই মানুষের সাথে ডাকাতি করতেছে, এদের বিচারের আওতায় আনা দরকার,
ভেজাল শিল্প ...কত পার্সেন্ট সঠিক স্বর্ণ কিনতে পাই ...!? ভেজাল দুইনাম্বারির মহাউৎসব .... চেঞ্জ করতে গেলেই বুজা যাই কামডা করলো কি ! ....তারচেয়ে বিদেশী গোল্ড দুনিয়ার সব যায়গায় মূল্যায়ন করে ....সঠিক ভাবে ...
যারা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছে, তাদের বিরুদ্ধে এদের কোন কথা নেই। এরা সবাই টাকা পাচার কারি। আমরা প্রবাসীরা দুই বছর, তিন বছর পরে একবার দেশে আসি সবাই তো আর সব সময় স্বর্ণ নিয়ে আসতে পারে না, এখন যতো দোষ প্রবাসীদের। তোমারা অবৈধ স্বর্ণের ব্যবসা কর, বিদেশে টাকা পাচার কর, বিদেশে ব্যবসা করো, সেই ব্যাপারে কোন আলোচনা নাই , এখন সমস্যা সব প্রবাসীদের ব্যাগেজ রুলের। তোমাদের স্বরন রাখা উচিৎ প্রবাসীদের টাকায় দেশ চলে।
দেশে এক দোকানের গোল্ড অন্য দোকানে বিক্রি করতে গেলে দাম মেলেনা...এর মানে তো পরিষ্কার....Singapore mustafa center এ গোল্ড তিরাশি হাজার টাকা প্রতি ভরি...দেশে এক লক্ষ এগারো হাজার টাকা...মানুষ কেন আনবে না!!!