ঢাকা, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

অর্থ-বাণিজ্য

জাল টাকা কারবারির সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন

অনলাইন ডেস্ক

(৯ মাস আগে) ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার, ১:০৮ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ পূর্বাহ্ন

mzamin

দেশে জাল টাকা প্রতিরোধ ও এ-সংক্রান্ত অপরাধের বিচারের জন্য ‘জাল মুদ্রা প্রতিরোধ আইন, ২০২৩’ নামে নতুন একটি আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। খসড়া আইনে বলা হয়েছে, জাল টাকা সংক্রান্ত অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। পাশাপাশি এমন অপরাধ সংঘটনের মাধ্যমে অর্জিত সম্পত্তির দ্বিগুণ বা এক কোটি টাকা পর্যন্ত- যেটি বেশি, সে পরিমাণ জরিমানা করা হবে। এ সম্পর্কিত গুজব ছড়ালে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধানও রাখা হয়েছে।


নতুন আইনের বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, বর্তমানে দণ্ডবিধি-১৮৬০ এর ৪৮৯(ক)-(ঘ) ধারা এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর ২৫(ক) ধারা অনুযায়ী জাল নোটসংক্রান্ত অপরাধের বিচার হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪-এ এক্ষেত্রে শাস্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। তবে এতে কী ধরনের অপরাধের কী শাস্তি হবে, তা সুনির্দিষ্ট করা হয়নি। একইভাবে দণ্ডবিধি-১৮৬০ অনুযায়ী, এ-সংক্রান্ত অপরাধের শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। এক্ষেত্রেও শাস্তির বিধানগুলো সুনির্দিষ্ট নয়।


তাই জাল নোট সংক্রান্ত মামলার বিচার সুচারুভাবে সম্পাদন সম্ভব হয় নয় বলে জানান কর্মকর্তারা। তা ছাড়া বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ ধরনের অপরাধের পরিধি বেড়েছে। তাই অপরাধের নতুন নতুন ধরন সংযোজন করে অপরাধের ধরন অনুযায়ী শাস্তি সুনির্দিষ্ট করে এক্ষেত্রে একটি আলাদা নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে খসড়া প্রকাশ করে অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা হয়েছে। খুব শিগগির এটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপনের পাশাপাশি অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।


এই আইনে বলা হয়েছে, সাত ধরনের অপরাধ করলে অপরাধী সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এর মাধ্যেম অর্জিত সম্পত্তির দ্বিগুণ মূল্যের সমপরিমাণ বা এক কোটি টাকা পর্যন্ত, যেটি বেশি সেই অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অর্থ অনাদায়ে অতিরিক্ত পাঁচ বছর কারাদণ্ড ভোগ করবেন।

অপরাধগুলো হচ্ছে– মুদ্রা জালকরণ বা জ্ঞাতসারে মুদ্রা জালকরণ প্রক্রিয়ার যে কোনো অংশ সম্পাদন করা, কোনো মুদ্রা জাল জানা সত্ত্বেও তা মজুত, কেনাবেচা, ব্যবহার, গ্রহণ কিংবা অন্য কোনোভাবে তাকে আসল মুদ্রা বলে ব্যবহার বা লেনদেন করা, মুদ্রা জালকরণ কার্যে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে অথবা জালকরণ কাজে ব্যবহার করা হবে জানা সত্ত্বেও কোনো যন্ত্র, হাতিয়ার, উপাদান বা সামগ্রী প্রস্তুত করা বা প্রস্তুত প্রক্রিয়ার কোনো অংশ সম্পাদন করা, কেনাবেচা, ব্যবহার, সরবরাহ, আমদানি-রপ্তানি, মেরামত, বহন, হেফাজত বা নিজের দখলে রাখা, জাল মুদ্রা তৈরি সংক্রান্ত পদ্ধতি উদ্ভাবন বা তথ্য আদান-প্রদান, জাল মুদ্রা তৈরি সংক্রান্ত ফাইল, অডিও ও ভিডিও ক্লিপ ইত্যাদির হার্ডকপি কিংবা সফটকপি দখলে রাখা, জাল মুদ্রা বিদেশ থেকে দেশে বা দেশ থেকে বিদেশে সরবরাহ বা পরিবহন বা পাচার করা এবং ব্লিচড বা টেম্পার্ড বা মিসম্যাচড মুদ্রা কেনাবেচা, ব্যবহার বা লেনদেন বা বহন বা দখলে রাখা। 

অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অর্থ-বাণিজ্য সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status