দেশ বিদেশ
হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় হিরো আলমের প্রার্থিতা বাতিল
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
৪ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার
হলফনামায় স্বাক্ষর নেই। নেই সম্পদের বিবরণ। এরপর দলীয় প্রার্থীর ফরম পূরণ করলেও দলের নামের জায়গায় লিখেছেন প্রযোজ্য নয়। ফলে তিনি স্বতন্ত্র না দলীয় প্রার্থী দ্বিধায় পড়েন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে উভয়পক্ষের কথোপকথন শেষে হিরো আলমের প্রার্থিতা বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। গতকাল বগুড়ার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার সময় এই ঘোষাণা দেয়া হয়। হিরো আলম এবার বাংলাদেশ কংগ্রেসের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পরপরই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেট দুনিয়ার আলোচিত এই কনটেন্ট ক্রিয়েটার। তিনি বলেন, আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হবে এটাই স্বাভাবিক। এর আগেও একাধিকবার আমার মনোনয়পত্র বাতিল করেছিল প্রশাসন। এবারো করেছে। আমি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো এবং প্রার্থিতা ফিরিয়ে আনবো।
আমি ভোটের মাঠে আছি, থাকবো। হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, আশরাফুল হোসেন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হয়েও মনোনয়নপত্রে নিজেকে স্বতন্ত্র দাবি করেছেন। সেই ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে মোট ভোটারের এক শতাংশ সমর্থন ফরমও তিনি জমা দেননি। মনোনয়ন পত্রের হলফনামায় আশরাফুল হোসেন সম্পদের বিবরণী জমা দেননি। এ ছাড়াও তিনি মনোনয়নের হলফনামাতে স্বাক্ষর করেননি। এজন্য আশরাফুল হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলো। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশ উঠিয়ে আশরাফুল হোসেন আগামী ৫-৯ই ডিসেম্বরে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে ১লা ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফেরত না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্টের আদেশে তিনি নির্বাচনে ফিরে আসেন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বগুড়া-৪ আসনে একতারা প্রতীকে ৮৩৪ ভোট কম পেয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাসদের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিমের কাছে হারেন তিনি।