দেশ বিদেশ
প্রভাষক থেকে প্রতারক, জাপান পাঠানোর নামে ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ
স্টাফ রিপোর্টার
১ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবারপেশায় তিনি ছিলেন একজন প্রভাষক। পরে শিক্ষকতা পেশা বদলে হয়ে উঠেছেন প্রতারক। জাপানে পাঠানোর নামে প্রতারণার অভিযোগে মো. সাইদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার শেষে এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। তিনি ওয়েসিস নেটলিংক লিমিটেড (OASIS Net Link Ltd) নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জাপানে পাঠানোর নামে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ জনের কাছ থেকে ৭৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সাইদুল। গ্রেপ্তার সাইদুল মেহেরুন্নেছা গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক ছিলেন। অধ্যাপনা করেছেন ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজেও। কিন্তু তিনি এখন প্রতারণা মামলার আসামি। গতকাল তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
তিনি মানবজমিনকে বলেন, সাইদুল ওয়েসিস নেটলিংক লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসডব্লিউ (SSW) এবং টিআইটিপি (TITP) ক্যাটাগরিতে ওয়ার্কিং ভিসায় জাপানে লোক পাঠানো হয় বলে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। অথচ তার প্রতিষ্ঠান শুধু জাপানি ভাষা শিক্ষা দেয়ার জন্যই লাইসেন্সপ্রাপ্ত। জাপানে পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রেশন, ভিসা প্রসেসিং ফি, মেডিকেল ফিসহ অন্যান্য খরচ বাবদ জনপ্রতি এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত নিতেন সাইদুল।
এভাবে ৫০ জনের কাছ থেকে ৭৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। টাকা পাওয়ার দুই মাসের মধ্যেই তাদের জাপানে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নানা তালবাহানা শুরু করে। ভুক্তভোগীরা মিরপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলে গ্রেপ্তার করা হয় সাইদুলকে। ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, সাইদুল একসময় শিক্ষকতা করতেন। তিনি ২০০৫ সালে মেহেরুন্নেছা গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। এরপর যোগ দেন ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজে। সেখানে তিনি সহযোগী অধ্যাপক ও রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে ব্যবসায় নামেন। কয়েকটি ব্যবসায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর তিনি এই প্রতারণার পথ বেছে নেন। তার বিরুদ্ধে এর আগেও ৩টি মামলা রয়েছে।