বিশ্বজমিন
মাটির নিচে আটকে পড়া ৪১ শ্রমিককে উদ্ধারে আশার আলো
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২৮ নভেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:২২ অপরাহ্ন
কমপক্ষে ১৭ দিন ধরে মাটির গভীরে টানেলে আটকে আছেন ভারতের উত্তরাখন্ডে ৪১ শ্রমিক। এ সময়ে পৃথিবীর আলো-বাতাসের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে মাত্র কয়েক ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপের মাধ্যমে এন্ডোস্কপিক ক্যামেরা পাঠিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে তাদের সঙ্গে। এর মাধ্যমে তাদেরকে খাবার, পানি, অক্সিজেন সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। সর্বশেষ এন্ডোস্কপিক ক্যামেরার সাহায্যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের সময় দেখা যায়, ভাল আছেন তারা। এদিকে কয়েক দফা ড্রিল করে তাদেরকে উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়। অবশেষে সেখানে ডাকা হয়েছে ‘র্যাট-হোল মাইনারর্স’ টিমকে। তারা সোমবার থেকে নিজেরা ড্রিল করে ওই শ্রমিকদের উদ্ধারে চেষ্টা করছেন। এই টিমে আছেন ২৪ জন সদস্য। তারা সাধারণ উপায়ে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞ। এ জন্য তারা একটি সংকীর্ণ পথ খুঁড়ে সেখান দিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সর্বশেষ দেয়া তথ্যে জানা গেছে, তারা আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছ থেকে মাত্র ৫ মিটার দূরে অবস্থান করছেন। সোমবার তারা টানেলে নিজেদের মতো করে ড্রিলিং করে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।
প্রথমে ড্রিল করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত একটি বিশাল মেশিন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু গত শুক্রবার তাতে বিকট শব্দ হয়। ফলে কর্তৃপক্ষ বিকল্প পন্থা নিয়ে ভাবতে থাকে। এরপর মাটির সোজা উপর থেকে সুড়ঙ্গে যাওয়ার জন্য ড্রিলিং শুরু হয়। তাও কিছুদূর যাওয়ার পর ধাতব পদার্থে আঘাত করে। এতে সে উপায়ও বন্ধ করা হয় সোমবার রাতে। শুরু হয় নতুন অভিযান। ২৫ টন ওজনের একটি মেশিন ৮০০ মিলিমিটারের একটি পাইপ পুশ করার চেষ্টা করে। এই পাইপের মাধ্যমে আটকে পড়া শ্রমিকদের হেলমেট, একটি ইউনিফর্ম, মাস্ক এবং চোখে চশমা পরিয়ে উদ্ধারের পরিকল্পনা আছে। ভারতের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ আতা হাসনাইন বলেছেন, খাড়া নিচের দিকে ড্রিলিং অপারেশন ৩৬ মিটার গভীর পর্যন্ত করা গেছে। এরই মধ্যে ওই অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। তাপমাত্রা নেমে গেছে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ফলে চলমান উদ্ধার অভিযানে এতে বাড়তি ঝামেলা সৃষ্টি করেছে।
ওদিকে মাটির নিচে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় আটকা পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে বাইরের যে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে পাইপের মাধ্যমে, তা ব্যবহার করে তারা বাইরের সঙ্গে কথা বলছেন। দিনে দু’বার সকাল ৯টা থেকে ১১টা এবং বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত টানেল এলাকায় ডাক্তারদের একটি টিমকে রাখা হয়েছে। এ সময়ে আটকে পড়া শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন। সমস্যার চিকিৎসা নিতে পারছেন।