দেশ বিদেশ
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কিয়েভের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালালো রাশিয়া
মানবজমিন ডিজিটাল
২৬ নভেম্বর ২০২৩, রবিবারআগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালালো রাশিয়া। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছে, প্রায় ৭৫টি শাহেদ ড্রোন দু’টি দিক থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল- প্রিমর্স্কো-আখতারস্ক এবং কুরস্ক অঞ্চল, রাশিয়া। প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল কিয়েভ শহর। রেকর্ডসংখ্যক ড্রোন হামলা হিসেবে এটিকে বর্ণনা করা হয়েছে। বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনের ছয়টি অঞ্চলজুড়ে ইরানের তৈরি ড্রোনগুলোর মধ্যে ৭১টি আটকাতে পেরেছে- তবে বেশির ভাগ ড্রোন কিয়েভ অঞ্চলে আঘাত হানে। ইউক্রেনের বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী, মোবাইল ফায়ার গ্রুপ এবং ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ইউনিট বিমান হামলা প্রতিহত করার জন্য জড়িত ছিল। একটি কয-৫৯ গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রও ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। কিয়েভ শহরের সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র মাইখাইলো শামানভ বিভিন্ন দিক থেকে রাজধানীর দিকে আসা ড্রোনের বেশ কয়েকটি তরঙ্গ বর্ণনা করেছেন। কিয়েভে থাকা সিএনএন-এর এক প্রযোজক জানান তিনি একাধিকবার ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। শহরের সামরিক প্রশাসন বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলে: ‘বিভিন্ন দিক থেকে প্রচুরসংখ্যক শত্রু ইউএভি কিয়েভে প্রবেশ করছে! অ্যালার্ম বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আপনাকে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার জন্য অনুরোধ করছি!’
শামানভের মতে, এই মাসে কিয়েভে এটি চতুর্থ ড্রোন হামলা। কিয়েভের সোলোমিয়ানস্কি জেলায় অন্তত দুইজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মেয়র ভিতালি ক্লিটসকো।
সোলোমিয়ানস্কি জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে আগুন লেগেছে, যার মধ্যে একটি আবাসিক ভবন এবং অন্যান্য অনাবাসিক প্রাঙ্গণ রয়েছে। তিনি যোগ করেছেন যে সোলোমিয়ানস্কি জেলার একটি পাঁচতলা আবাসিক ভবনের দ্বিতীয় তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ দু’টি আবাসিক ভবনে পড়েছে- একটি ডিনিপ্রোভস্কি জেলায়, অন্যটি হলোসিভস্কি জেলায়।
একটি পৃথক বিবৃতিতে, কিয়েভ শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পপকো বলেছেন, সোলোমিয়ানস্কি জেলায় একটি ড্রোন ভূপাতিত করার পরে একটি কিন্ডার গার্টেন প্রাঙ্গণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয় বলেছে যে, আক্রমণের পর একটি ওভারহেড লাইনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, যার ফলে শহরের কেন্দ্রস্থলে ৭৭টি আবাসিক ভবন এবং ১২০টি স্থাপনা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।
সূত্র: সিএনএন