দেশ বিদেশ
নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী সেলিম হত্যায় ২ জনের যাবজ্জীবন
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
২১ জুন ২০২২, মঙ্গলবারনারায়ণগঞ্জে থান কাপড় ব্যবসায়ী সেলিম হত্যা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে সাজাপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা এলাকার ঝুট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ও তার কর্মচারী ফয়সাল। এ ছাড়া এই মামলায় সোলেমান মিয়া ও আলী হোসেন নামে দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
গতকাল দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাবিনা ইয়াসমিন এই রায় প্রদান করেন। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, রায় ঘোষণার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আদালতের নির্দেশে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকার থান কাপড় ও ঝুট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান চৌধুরী সেলিমের দুই লাখ টাকা আত্মসাৎ করে একই এলাকার ঝুট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ও তার সহযোগীরা। পরবর্তীতে সেলিম পাওনা টাকা ফেরত চাইলে ২০১৯ সালের ৩১শে মার্চ পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার পর লাশ গুম করা হয়। এ ঘটনায় সেলিম নিখোঁজ হলে তার স্ত্রী রেহানা আক্তার রেখা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
নিখোঁজের আটদিন পর ৯ই এপ্রিল পুলিশ মোহাম্মদ আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাটি খুঁড়ে সেলিমের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। পরে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হলে তারা হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জাসমিন আহমেদ বলেন, এই মামলায় আদালত ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই আদালত এই রায় প্রদান করেছেন। তবে আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট নন বলে জানান নিহতের স্বজনরা।
রায় ঘোষণার পর মামলার বাদী ও নিহত সেলিমের স্ত্রী রেহানা আক্তার রেখা ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আসামিরা জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করলো। তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গোডাউন থেকে লাশ উদ্ধার হলো। তারপরেও কেন তাদের যাবজ্জীবন সাজা হলো? আমি তাদের ফাঁসি চাই।