ঢাকা, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, বুধবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অর্থ-বাণিজ্য

সিন্ডিকেট বন্ধ করা সহজ নয়: বাণিজ্য সচিব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

(১ সপ্তাহ আগে) ১৮ নভেম্বর ২০২৩, শনিবার, ৯:৪৮ অপরাহ্ন

সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সিন্ডিকেট বন্ধ করা সহজ নয় বলে দাবি করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তার দাবি, বাস্তবসম্মত কারণেই অনেক কিছু করা যায় না। শনিবার রাজধানীতে কোম্পানি আইন ১৯৯৪ সংস্কার বিষয়ে এক সেমিনারে এই কথা বলেন তিনি।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ- ডিসিসিআই আয়োজিত সেমিনারটি হয় মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ের মিলনায়তনে।

মূল্যস্ফীতির পেছনে বাজার কারসাজির যে অভিযোগ, সে প্রসঙ্গ টেনে বাণিজ্য সচিব বলেন, “সিন্ডিকেট বন্ধ করা সহজ নয়, এটা অনেক বড় বিষয়। এসব নিয়েই বাজার চলে। বাস্তবসম্মত কারণেই অনেক কিছু করা যায় না।” তবে সিন্ডিকেট যেন মাথাচাড়া না দিতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবেও মন্তব্য করেন তিনি।

সেমিনারে কোম্পানি অবলুপ্ত ও একীভূতকরণে আইনি প্রক্রিয়া নির্ধারণসহ বিদ্যমান কোম্পানি আইন সংস্কার করে আধুনিকায়নে একগুচ্ছ প্রস্তাব উঠে আসে।

কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন আইনজীবী রাশনা ইমাম। তিনি বলেন, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী অনেক বিষয়ই সমাধানযোগ্য না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। এতে সময় ও অর্থ খরচ হচ্ছে, বাড়ছে ব্যবসা পরিচালনার খরচ। আইন সংস্কার করলে তা দ্রুত ও সহজেই করে খরচ বাচানো সম্ভব।

বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) এবং মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করে নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেন রাশনা। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও স্বচ্ছতা আনতে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সব কোম্পানির বেলাতেই কোম্পানি সচিব নিয়োগ, তার কাজের পরিধি নির্ণয় করে দেয়া যেতে পারে।’’

একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে গত বছরের অগাস্টে ১৪ টি পরামর্শ দিয়ে বিদ্যমান কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ সংস্কারের আদেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

বিজ্ঞাপন
ওই আদেশের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। সেই রায়ের পরই কোম্পানি আইন সংস্কারের কার্যক্রম শুরু করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

কোম্পানি আইন সংস্কারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘‘যে কোনো আইনেই বেশি মাত্রায় ক্ষমতা দেয়া ও শাস্তি আরোপের মতো বিষয়গুলোতে কঠোরতা দেখানোর প্রয়োজন নেই। এতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।’’

ডিসেম্বরের মধ্যে যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) পুরোমাত্রায় ‘অটোমোশনে’ চলে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, “এটি চালু হলে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন অঞ্চলে আরজেএসসি এর কোনো শাখা স্থাপন করা লাগবে না।”

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং ইন্সটিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ এর সভাপতি আব্দুর রহমান খান বলেন, “কোম্পানি আইন আধুনিক ও যুগোপযোগী হলে ব্যবসা পরিচালনা আরো সহজ হবে।”

আলোচনায় অংশ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হল্টম্যান বলেন, “আধুনিক আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের কোম্পানি আইনের অনেক বিষয়ই সংগতিপূর্ণ নয়।” ব্যবসায়িক বিরোধ সমাধানে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) এর কার্যক্রমকে আরো উৎসাহিত করার পরামর্শ দেন ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার।

পাঠকের মতামত

সিন্ডিকেট বন্ধ করার জ্ঞান গড়িমা না থাকলে মধ্যপ্রাচ্যে এসে প্রশিক্ষন নিয়ে যাও। চোর কখনও চুরি বন্ধ করার পক্ষে থাকেনা। যারা সিন্ডিকেট করে তারাই তো বানিজ্যনিতি প্রনয়ন করে।

শাজিদ
২৩ নভেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৪:৫১ পূর্বাহ্ন

অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অর্থ-বাণিজ্য সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status