ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অর্থ-বাণিজ্য

মধ্যবিত্ত এখন ত্রিমুখী আক্রমণের শিকার: দেবপ্রিয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

(১ বছর আগে) ১৯ জুন ২০২২, রবিবার, ৩:০৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৪:৫৬ অপরাহ্ন

mzamin

এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড.‌‌ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, মধ্যবিত্ত এখন ত্রিমুখী আক্রমণের শিকার। এগুলো হলো- বৈষম্যমূলক অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূলের দাম বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এই ত্রিমুখী আক্রমণের শিকার মধ্যবিত্তের সুরক্ষায় প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু নাই। পাশাপাশি মধ্যবিত্ত শ্রেণি এই মূহূর্তে রাজনৈতিকভাবে প্রতিনিধিত্বহীন। অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবেও মধ্যবিত্তের অভিভাবক নেই। আর প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটেও মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে।

এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম-এর আয়োজিত 'জাতীয় বাজেট ২০২২-২০২৩: পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কী আছে?' -শিরোনামে আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ড.‌‌ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। রোববার ঢাকার ব্র্যাক সেন্টার ইনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, বাজেটে ভর্তুকিত পরিমাণ বাড়ানো হলেও এর এক বড় অংশ বিদ্যুৎ খাতে চলে যাওয়ায় দরিদ্র ও মধ্যবিত্তরা তেমন সুবিধা পাবেন না। সামাজিক নিরাপত্তা বরাদ্দেও দরিদ্ররা উপেক্ষিত থাকছেন বলে তিনি মনে করেন।

তিনি বলেন, গত এক দশকে গড়ে উঠা মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে আয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার বিষয়ে অবহেলা করা হয়েছে। উপরন্তু মধ্যবিত্তরা কর ফাঁকি দেয় বলে অর্থমন্ত্রী অভিহিত করেছেন। অথচ এই শ্রেণির মানুষের মেধা ও যোগ্যতাকে কতটা ব্যবহার করা হচ্ছে, তাদের প্রতি কতটা সুবিচার করা হচ্ছে তার আলোচনা এই বাজেটে নেই।

এই মধ্যবিত্তরা যে সমস্ত জিনিস ব্যবহার করে যেমন স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র ও রেফ্রিজারেটর- সেগুলোর কর বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বিজ্ঞাপন
দেশের উৎপাদনকারীদের সুরক্ষা দিতে এই ধরনের শুল্ক সুরক্ষা দেয়া হলে ব্যবহারকারী মধ্যবিত্তকেও অন্যভাবে সুবিধা দেয়া উচিত ছিল। বাজেটে এর কোনো প্রতিফলন নেই।

দেবপ্রিয় বলেন, বাজেটে ভর্তুকির পরিমাণ ৫৪ শতাংশ বাড়ানো হলেও এর বড় একটা অংশ চলে যাচ্ছে বিদ্যুত কেন্দ্রের অতিরিক্ত ক্যাপাসিটি চার্জে। সামাজিক নিরাপত্তায় টাকার অঙ্কে বরাদ্দ বাড়লেও জিডিপি ও বাজেটের আকারের তুলনায় কমেছে। সরকারি কর্মকর্তাদের পেনশনের বরাদ্দ বাদ দিলে সামাজিক নিরাপত্তায় প্রকৃত বরাদ্দ প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে।

তিনি বলেন, '৫০০ টাকার ভাতায় একটা পরিবার বা দুস্থ মানুষের কিছুই হয় না। আমরা প্রতিটি সুবিধাভোগীর জন্য ১০০০ টাকা ভাতার প্রস্তাব করেছিলাম। সেটা করা হয়নি। যুবকদের ভাতাও চালু হয়নি। সাধারণভাবে ভাতাও বাড়েনি। ২০১৮ সালে জাতীয় আয়ের অংশ হিসেবে এই মানুষগুলো চার শতাংশের কম ভাতা পেতো। এখন পাচ্ছে ২.১ শতাংশ। পুরো দেশের মাথাপিছু আয় বাড়ল। তাদের কোন বরাদ্দ বাড়ল না। এই মানুষগুলোর অপরাধ কী? হয় মাথাপিছু আয় বাড়েনি, নয়তো এই মানুষগুলোকে বঞ্চিত করা হয়েছে। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বেড়েছে খুবই সামান্য।'

তিনি আরও বলেন, 'সামাজিক সুরক্ষায় সুদ, পেনশন, প্রকল্প সহায়তাসহ এমন অনেক উপাদান আছে যেগুলোর সামাজিক নিরাপত্তায় ব্যয় দেখানো সঙ্গত নয়।'

'সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এ খাতে কোন বরাদ্দ নেই। এ লক্ষ্যে আইনেরও দরকার রয়েছে। এই আইন সামনে রেখে যে বরাদ্দ দরকার তা আমার চোখে পরেনি,' বলেন তিনি।

অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অর্থ-বাণিজ্য সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status