অর্থ-বাণিজ্য
ডলার সংকট সমাধানে বিলাসী পণ্য আমদানি ৬ মাস বন্ধ করা উচিত
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৯ জুন ২০২২, রবিবার
আমদানি ব্যয় সুরক্ষা ও ডলার সংকট মোকাবিলায় অন্তত ৬ মাসের জন্য বিলাসবহুল পণ্য আমদানি বন্ধ করে দেয়া উচিত বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। শনিবার অনলাইন প্ল্যাটফরমে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের ওপর পর্যালোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওয়েবিনারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ। আতিউর রহমান বলেন, ৬ মাসের জন্য বিলাসবহুল পণ্য আমদানি বন্ধ করা উচিত। ৬ মাসের জন্য বিদেশি ফুল আমদানি বন্ধ করলে কি ঘর সাজবে না? ৬ মাস ওডি গাড়ি না আসলে কি ঢাকায় গাড়ি চলবে না। এমন কিছু বিলাসবহুল পণ্য রয়েছে ছয় মাস বন্ধ থাকলে দেশের সমস্যা হবে না। পাচার করা অর্থ ফেরতের সুযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা অ্যান্ডমন্ড, এপিজি’র সদস্য। অবাধে এরূপ সুযোগ দেয়া হলে আমরা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবো। তাই ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে ঢালাওভাবে সুযোগ দেয়া যাবে না। কর আদায়ের পথ সহজ করার প্রস্তাব দিয়ে সাবেক গভর্নর বলেন, প্রত্যক্ষ করের পরিমাণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। কর কাঠামোগত ডিজিটালাইজেশন করা, করের আওতা বৃদ্ধি করা ও কর কাঠামোর সংস্কার কীভাবে করা যায়, সেটা ভাবা দরকার। অনেক সময় মামলাজটে হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আটকে যায়, সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ ঘটানো যায় সেটি দেখতে হবে। অন্যদিকে মামলার বিকল্প পথ অর্থাৎ এডিআরের মাধ্যমে সমাধানকে গুরুত্ব দিতে হবে। মোট কথা, কর ব্যবস্থাপনা বিকেন্দ্রীকরণ, কর আদায়ের ডিজিটালাইজেশন, সংস্কার ও জনশক্তির উন্নতি প্রয়োজন। আয়কর রিটার্ন নিয়ে পরিষ্কার ধারণা দেয়া দরকার। কর আদায় কীভাবে সহজ করা যায় সেই পথ খুঁজতে হবে। এনবিআর’র সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, ডলারের সংকট কাটিয়ে উঠতে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি বন্ধ করা উচিত। কিছুদিনের জন্য হলেও বন্ধ করা উচিত। রেগুলেটরি ডিউটি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। কারণ এক শ্রেণির হাতে অঢেল টাকা রয়েছে, তাদের দাম বাড়িয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। তিনি বলেন, কেমন করে বাস্তবায়ন হবে, তার ওপর নির্ভর করবে বাজেটের সাফল্য। আমাদের উচিত সম্পূরক বাজেটের আলোচনা করা। কি করেছি, কি করতে পারিনি সেটা দেখতে হবে। দেশে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি করতে হবে। মানবসম্পদ উন্নয়নে কাজ করতে হবে।