বাংলারজমিন
ঝিনাইদহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়
মানবজমিন-এ সংবাদ প্রকাশের পর নিয়োগ পেলেন সেই ৮২ জন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
১৪ অক্টোবর ২০২৩, শনিবারমানবজমিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে ঝিনাইদহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে তিনটি পদে ৮২ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বহু জটিলতা কাটিয়ে মৌখিক পরীক্ষার প্রায় সাড়ে চার মাস পর এই নিয়োগপত্র প্রদান করা হলো। পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক এবিএম শরীফুল হক এ খবর নিশ্চিত করেন। এর আগে এই নিয়োগ নিয়ে একাধিকবার দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করা হয়। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক, পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যায়নি। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ঝিনাইদহ পরিবার পরিকল্পনা অফিস ৮২জন প্রার্থীর নামে নিয়োগপত্র ইস্যু করেন। দীর্ঘদিন পর নিয়োগ পত্র হাতে পেয়ে এফডব্লিউএ, এফপিআই ও আয়া পদের চাকরি প্রত্যাশীরা অবশেষে হতাশা থেকে রেহায় পেলেন।
এদিকে দীর্ঘদিন পর চাকরি প্রত্যাশীরা নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ঝিনাইদহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সাবেক উপ-পরিচালক ডা. জাহিদ আহমেদ। তিনি বলেন, তার সময়ে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। একটি দুর্নীতিবাজ চক্র এই স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কলুষিত করার জন্য মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছিল। জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে এফডব্লিউএ পদে ৬৭ জন, এফপিআই পদে ৭ জন ও আয়া পদে ৮জন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে কালীগঞ্জের শিবনগর গ্রামের সাইদ হাসান জানান, খুব আনন্দ লাগছে নিয়োগপত্র পেয়ে। আমার মতো অন্যরাও চাকরিতে যোগদান করতে পারবে জেনে আমরা সবাই খুশি। কোটচাঁদপুরের নওদা গ্রামের সোহাগ মোস্তফা ও চণ্ডীপুর গ্রামের হারুন অর রশিদ বলেন, যারা চাকরি পেয়েছেন তারা সবাই নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমরা কোনো টাকা দিয়ে চাকার পায়নি। মেধার ভিত্তিতে আমরা চাকরি পেয়েছি। অথচ অহেতুক মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্বিত করা হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক এবিএম শরীফুল হক বলেন, ক’দিন আগেই নিয়োগপত্র ইস্যু করে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের চিঠি পাওয়ার পরই নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়েছে।