বিশ্বজমিন
পিটার হাসের নিরাপত্তা উদ্বেগ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কূটনীতিকদের নিরাপত্তা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ, প্রয়োজনে আরো নিষেধাজ্ঞা
মানবজমিন ডেস্ক
(২ মাস আগে) ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:২৭ অপরাহ্ন

ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা উদ্বেগ নিয়ে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, কূটনীতিকদের সেফটি ও সিকিউরিটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, প্রয়োজন অনুসারে যেকারো বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। তার কাছে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি জানতে চান, বাংলাদেশে চ্যানেল ২৪ টিভিকে একটি সাক্ষাৎকারে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার নিরাপত্তা, শুধু তারই নয়, এমনকি বাংলাদেশে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার এ উদ্বেগের বৈধতা আছে, একেবারেই আছে। কারণ, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের ওপর বেশ কয়েকটি হামলা প্রত্যক্ষ করেছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কি এই উদ্বেগকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন?
তার এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বা এর কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমি বিস্তারিত আলোচনা করতে চাই না। আমি এটা বলবো যে, অবশ্যই আমাদের কূটনীতিকদের নিরাপত্তা আমাদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। ভিয়েনা কনভেনশন অব ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স অনুযায়ী, প্রতিটি দেশই সব কূটনৈতিক মিশনকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাধ্য। এর কোনো কর্মকর্তার ওপর হামলা প্রতিরোধে সব রকম কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য।
তার কাছে আরও জানতে চাওয়া হয়, সরকারপন্থি মিডিয়া, যারা শাসকগোষ্ঠীকে ‘মনস্টার’ হতে সাহায্য করেছে, তারা সহ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কি আরও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র? ঢাকায় দূতাবাস থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, আপনারা মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে আরও ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা চিন্তা করছেন- আসলে ওইসব মিডিয়া হলো প্রপাগান্ডা মেশিন...।
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ঘোষণা করছি না। পর্যালোচনা করবো এই মঞ্চ থেকে আমরা যা বলেছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কর্তৃত্বের অধীনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল, বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য- যাকেই আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দেয়ার জন্য দায়ী অথবা জড়িত মনে করবো তার বিরুদ্ধেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ২৪ শে মে আমরা ভিসা নীতি ঘোষণার সময় যেমন পরিষ্কার করেছি, তখন যেমন আমরা আমাদের পলিসি ঘোষণা করেছি, তাতে বলেছি সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা নয়। আমরা পলিসি ঘোষণার সময় বলেছি, যাকেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত বা জড়িত বলে আমরা মনে করবো, এমন যেকোনো বাংলাদেশির ওপর এই নীতি প্রয়োগ করা হবে। যখন আমরা বিশ্বাস করবো যথার্থ, তখনই অন্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আমরা ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবো।
পাঠকের মতামত
মিলার ভাই, গুড আফটারনুন। আপনাকে বুঝানোর ভাষা জ্ঞান আমার নাই। তবুও বলি পিটার হাস আর দূত দের নিয়ে ভাবলেন, ভালো কথা, কিন্তু ৯৪% মানুষ পুরো ঝুঁকিতে আছেন !!! এদের জন্য বেশি ভাবতে হবে। আশা করি কঠিন ভাবনা ভাববেন ৯৪% কে মুক্ত করার জন্য। ধন্যবাদান্তে, আমি পোস্ট দাতা
শক্ত পদক্ষেপ দরকার।
অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে থাকা সৈরাচারের কারনে পুরো দেশ বিপদে আছে। এমনটা হওয়া মোটেই কাম্য নয়।
বিশ্ব মোড়ল মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশস্থ দুতাবাস প্রধান পিটার ডি হাস সহ কর্মকর্তারা যদি নিরাপত্তা ঝুকিতে থাকে তার মানে বাংলাদেশের সরকারের সমালোচক রাজনৈতিক দল ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠান সংস্থা গুলি কি পরিমান অনিরাপদ অবস্থানে আছে তা সহজেই অনুমেয়। বন্য রক্তখেকো হিংস্র হায়েনার দল আওয়ামীলীগ সভ্য সমাজের সমস্ত নিয়ম নৈতিকতা আইন শৃংখলা মানবতাকে গিলে খেয়ে এক দানবীয় শাসনের সূচনাগার বানিয়েছে প্রিয় বাংলাদেশকে। এখানে সামাজিক অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক নৈতিক মানবিক বাক ব্যাক্তি জীব জৈবের কোন নিরাপত্তা নেই। গত দেড় দশকের আওয়ামী রাষ্ট্রশাসন সভ্যতা বিবর্জিত এক নৈরাজ্যের ইতিহাস গণতন্ত্রের কবর রচনার ইতিহাস খুন গুম হত্যা হামলা মামলা গ্রেফতার এর ইতিহাস লুটপাট দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি দলদাসের ইতিহাস, মাদক নেশা ধর্ষণ অপবাদ অপমান অসম্মান বেইজ্জতির ইতিহাস, লাম্পট্য বেহায়পনা নির্লজ্জতা বেলেল্লেপনার ইতিহাস। সুস্থ্য সুন্দর নির্মল জীবনের শত্রু আওয়ামীলীগ এখন সমস্ত দুনিয়ার আতংক বিশ্বের শংকা। এদের প্রতিরোধ প্রতিহত করা প্রতিটা মনুষ্য প্রজাতির আদম সন্তানের প্রথম কর্ম হওয়া এখনি উচিত।
নালিশ করার দরকার নেই। কুটনৈতিকরাই ভোক্তভোগী প্রমাণ, এ অবৈধ সরকার কিভাবে বাকী দেশবাসীর সাথে অনাচার করছে এ তার উত্তম নমুনা। জাতির প্রতিটি মেধাবীর নাম ধরে ধরে অপনামে কুৎসিত মানসিকতায় ডাকা তাদের স্বভাবের অংশ। বেছে বেছে সারা দেশ থেকে দুর্বৃত্ত জমা করে তারা দেশ চালাচ্ছে। প্রতিটি সেক্টর ওদের দখলে। কি পুলিশ, কি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল সর্বত্র তাদের অবাধ বিচরণ। পুলিশ ঐ জঙ্গিদল নিয়েই দেশ শাসনে অভ্যস্ত। তারা সব কাজ সমাধা করে, ভোটও তারাই সারে। কাউকে বুথে গিয়ে ভোট দিতে হয় না। মানুষ ভোট দিতে যায় না। অতীতে গিয়ে দেখেছে গেলে শুনতে হয় ভোট হয়ে গেছে। এ জাতি ভোট দেয়া ভুলে গেছে। এক যুগের উপর ওদের আক্রমণের তীব্রতা বেড়েছে, জনতারা পড়ে পড়ে মার খাচ্ছে, লড়ছে, মরছে।
একটি মাত্র একগুয়ে অবৈধ দুর্বৃত্ত সরকারের কারণে আজ দেশবিদেশ জুড়ে তোলপাড় চলছে। সরকার মূলত কোনভাবে বৈধও নয়। তার দলবলের চোটপাট প্রমাণ করে কত অধঃপতিত অমার্জিত বণ্য তাদের অর্জন। কথায় কথায় ‘হামসে বড়া কৌন হায়’ ছাড়া তাদের কোন অর্জন নেই। কুটনৈতিক পাড়াতে এসব দুর্বৃত্তায়নও নতুন নয়। ডেন মজিনা, মর্সিয়া বার্নিকাট, পিটার ডি হাসকে যা মুখে আসে তাই তারা বলে। শুধু এরাই নয় জাতির কোন মেধাবীর মূল্যায়ন তারা করার দরকার বোধ করে না। কথায় বলে ব্যবহারে বংশের পরিচয়। তারা ব্যবহারে তাদের পরিচয় এভাবে জানান দেয়। এসব দুর্বৃত্তায়নের বিচার হয়নি এবং সব সময়ই তা হয়েছে এই অপরাধীদের দুর্বৃত্তঘেরা সময়।
এটা আওয়ামী লীগের সরকারের প্রাপ্য ছিলো
USA very well knows who is Mushfiqul Fazal Ansari. That is why their replies are nothing new.
বেপরোয়া দুর্দমনীয় আওয়ামী দুষ্কর্ম দুঃশাসন দুর্বৃত্তপনা দুর্নীতি নিয়ে যারাই কথা বলে আওয়ামী অপশক্তি তাদেরই তাদের জাতশত্রু হিসাবে চিহ্নিত করে এদের বিরুদ্ধে বেআইনি অবস্থান গ্রহন করে তাতে কে দেশি কে বিদেশি তা ভাবার ফুরসত নাই। আওয়ামী এই উপজাতের কাছে ন্যায় ন্যায্যের সত্যের কোন মূল্য নাই।এরা সত্যের শত্রু মানবতার শত্রু। এরা দেশকে যেমন তাদের দুষ্কর্ম দুর্বৃত্তায়ণ দিয়ে নরককুন্ডে পরিনত করেছে তেমনি বহির্বশ্বের সভ্য জগতকেও তাদের অপকর্ম দিয়ে অশান্ত করতে চায়। এদের শুধু বাংলাদেশ থেকে নয় সমগ্র দুনিয়া থেকে বিতারণ করতে হবে নয়ত পৃথিবী মানুষের অবাস যোগ্য হয়ে উঠবে।
অবশ্যই বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের এবং সরকারের পক্ষ থেকেই ঝুঁকি আসে। আমেরিকানদের বলবো এ জন্য জনগন দায়ী নয় এবং জনগনকে যেন কোন প্রকার হয়রানি করা না হয়। আপনারা যদি পারেন সরকারের নিদির্ষ্ট ব্যাক্তিদের স্ক্রু টাইট করুন। তাদের উপর সরাসরি ভ্রমনসহ তাদের এবং তাদের ছেলে মেয়েদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করুন।
If it needed, high dose of suppository will be pushed instead of paracetamol. Be aware.....
মার্শা বার্নিকার্ট এর গাড়িতে হামলা ! সিলেটে ব্রিটিশ রাষ্টদূত আনে।য়ার চৌধুরী র উপর হামলা এক ই গেম প্লান ; আনে।য়ার চৌধুরীর উপর হামলা ? ? ? যার দায় বি এন পি র উপর চাপানো ও সফলতা লাভ / / /
Both the USA and the United Kingdom should impose sanctions against the corrupt and hatred spreader ex Judge Shamsuddin Choudhury Manik, a dual citizen of the United Kingdom and Bangladesh. His source of income in buying of UK properties should be investigated.
শিরোনাম ভয়াবহ আতঙ্কভরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ষ্টেড় ডিপার্টমেন্ট দীর্ঘ দিনের রিপোর্টে তথ্য উপাপ্ত আছে। ভিসা নিষেধাজ্ঞা সহ গনতন্ত্র মানবাধিকারের প্রশ্নে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ গুলোর নিষেধাজ্ঞা আসছে। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশের বিতর সমঝোতা হচ্ছে না। সরকারের মন্তব্য অবস্থান পরিস্কার। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সম্প্রদায় মাধ্যমে শিরোনাম হচ্ছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে জাতীয় সংঘ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংঘটনের অবস্থান বাংলাদেশের বিপক্ষে। কি হবে?কি হচ্ছে? দেশের মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত। বাংলাদেশের এই মুহূর্তে দেশ প্রেমিক সকল পক্ষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় সংলাপ প্রযোজন। দেশের স্বার্থে। ক্ষমতাই দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ। কে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন আল্লাহর হকুমের উপর নির্ভরশীল হতে হবে। আমেরিকা বা আন্তর্জাতিক সম্প্রচার নয় বাংলাদেশের অর্থনীতি বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ আলোচনার বিকল্প নেই। কথা হলো কে দায়িত্ব নিবেন???
প্যারাসিটামলে মনে হয় না কাজ হচ্ছে, ডাইরেক্ট এজিথ্রোমাইসিন লাগবে মনে হয়।
মন্তব্য করুন
বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন
বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ দূতাবাসের সতর্কবার্তা/ মার্কিন শ্রমবিষয়ক মেমোরেন্ডামের টার্গেট হতে পারে বাংলাদেশ
ভয়েস অব আমেরিকার রিপোর্ট/ বাংলাদেশে ‘অন্যায্য’ নির্বাচনের প্রস্তুতি
মহাসচিবের মুখপাত্রের ব্রিফিং/ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না জাতিসংঘ
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট/ বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে চলছে সহিংস দমন–পীড়ন

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]