বিশ্বজমিন
গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিনের রিপোর্ট কার্ড
‘ডি গ্রেড’ পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
মানবজমিন ডেস্ক
(২ মাস আগে) ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৪:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:২৭ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিনের র্যাংকিংয়ে গভর্নর হিসেবে ‘ডি গ্রেড’ পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ১৯৯৪ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গভর্নরদের গ্রেডিং করে আসছে ম্যাগাজিনটি। মূলত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হারের সুরক্ষা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সুসংহত করার মতো বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করেই এই গ্রেডিং করা হয়। এসব বিষয়ে যে গভর্নর যত ভালো করেন, তিনি তত ভালো গ্রেড পান।
ম্যাগাজিনটির ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিবেশী দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ ‘এ প্লাস’ গ্রেড পেয়েছেন। এটিই ম্যাগাজিনটির ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড’-এর সর্বোচ্চ গ্রেড। আরও এ+ পেয়েছেন সুইজারল্যান্ড ও ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। দেউলিয়াত্ব ও মূল্যস্ফীতিসহ ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কার গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহে পেয়েছেন ‘এ মাইনাস’ গ্রেড। দেশটিকে সংকট থেকে তুলে আনতে তার ভূমিকার কথা বলা হয়েছে ওই রিপোর্ট কার্ডে।
১০১টি গুরুত্বপূর্ণ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের সর্বশেষ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, প্রতিবেশী নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মহাপ্রসাদ অধিকারী পেয়েছেন ‘বি মাইনাস’ গ্রেড আর পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জামিল আহমদ পেয়েছেন ‘সি মাইনাস’।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, কোভিড-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে টাকার অবমূল্যায়ন হয় সাড়ে ৯ শতাংশ।
পাঠকের মতামত
অযোগ্য লোকদেরকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসিয়ে দেওয়ার ফলাফল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সাহেবকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। শেখ হাসিনার ইশারায় সবকিছু চলছে। এরা সবাই শেখ হাসিনার সহযোগী। বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে প্রতিটি জায়গায় শেখ হাসিনার লোক বসানো আছে। সবাই আরাম-আয়েশে সবকিছু চেটেপুটে খাচ্ছে। শেখ হাসিনার পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরের মহারথীরা আরও আগ বাড়িয়ে এই সরকারকে শর্তহীনভাবে সাপোর্ট করে যাচ্ছে। সবাই মিলেমিশে একাকার হয়ে সবকিছু চেটেপুটে খেয়ে শেষ করে দিচ্ছে।
সৌভাগ্য বলতে হবে 'F' Grade পাননি।
এত বড পরযায় ক্রমিক ব্যর্থ লুটপাটের সরকারের সংগি যারাই বাংলাদেশ ব্যাংকের গত পনেরো বৎসর দায়িতব্য পালন করেছেন প্রত্যেকের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। চিন্তা করে দেখুন যে দেশের রিজার্ভ গত ২০২১ এও আটচল্লিশ বিলিয়ন ডলার এর উপর ছিলো সেখানে গত দুই বৎসরে আঠাশ বিলিয়ন ডলার এরা ইউক্রেন যুদ্ধ আর বহির বিশ্বের অস্তিতিতিশিল অবস্তার দোহাই দিয়ে লুটপাট করে পাচার করে দিয়েছে , কত দুরত মেগা লুটপাট করলে পরে রিজার্ভ বিশ বিলিয়নে নামিয়ে আনে এবং যে ডলার ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতেও সরকারি রেট পচাশি টাকা ছিলো (যদিও কৃত্রিম ভাবে দেশের অর্থনীতি ভালো দেখানোর জন্য) তা আজ এক বৎসরের মাথায় একশত বিশ টাকায় যেয়ে পৌছেছে তাও কার্ব মার্কেটে ডলার পাওয়া যায় না তাহলে প্রবাসিরা যে মাসে দুই বিলিয়ন ডলার এর কাছা কাছি দেশে পাঠান এবং বস্ত্রশিলপ রপ্তানির বৈদেশিক মুদ্রার বিলিয়ন ডলার কোথায় যায় ? কেন আমাদের প্রবাসিরা এই লুটেরা ডাকাতদের কাছে কষ্টারজিত অর্থ পাঠাবেন ? আমি কোন হিসাব মেলাতে পারি না ।পরবাসে যারা কঠোর পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করেন তারা বর্তমান বাংলাদেশের নূতন মুক্তিযোদধা এবং এদের রক্ত চুষে খাচ্ছে একদল হায়না।
দয়া করে বৈদেশিক মুদ্রা বিভাগ কে বছরের 365 দিনই চালু করুন এতে রেমিটেনস আসা অনেক বৃদ্ধি পাবে। যেখানে ডিজিটাল লেনদেন সারা বছর ২৪ ঘন্টা সার্ভিস দেয় সেখানে ব্যাংক দিয়ে থাকে সপ্তাহে মাত্র ৩০ ঘন্টা। আর ডিজিটাল লেনদেনের বেশীরভাগই এদেশে আসে না। এটাই রেমিটেনস কম আসার বড় কারন।
ডি মানে ড্যাশিং
আমাদের গভর্নর মহোদয় তার ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করলে দেশের জন্য ভালো হতো। দেশের অর্থনীতির বর্তমান করুন অবস্থার জন্য যে গভর্নর মহোদয় বিরাট দায় আছে সেটা এখন স্পষ্ট হলো। অর্থমন্ত্রীদেরও যদি এরকম রেটিং করা হতো, আমাদের অর্থমন্ত্রীও E অথবা D পেতেন। এখন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে সরকারের চাপাবাজি থেমে যাবে আশা করি। যে সরকারে এতো অযোগ্যদের মিলনমেলা সেটির তাড়াতাড়ি পতন ঘটুক সেই প্রার্থনা করছি।
প্রতিটি ক্ষেত্রে দলীয়করণ করার ফলে অযোগ্য লোকদেরকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসিয়ে দেওয়ার ফলাফল। পরের বছর আমরা 'ই' পাব
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে তথ্য নিলে (A+) পাওয়া যেত ।
রিপোর্টারকে ধন্যবাদ। যেকোনো দেশের আর্থিক খাত বিবেচনায় ব্যাংকিং সেক্টর একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্ণরের পদটিও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অর্জিত স্ট্যাটাস যদি সুখকর না হয় তাহলে সেটা যেন নিদেনপক্ষে আমাদের শিক্ষণীয় বিষয় হয়।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ ‘এ প্লাস’ গ্রেড পেয়েছেন। আরও এ+ পেয়েছেন সুইজারল্যান্ড ও ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।দেউলিয়াত্ব ও মূল্যস্ফীতিসহ ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কার গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহে পেয়েছেন ‘এ মাইনাস’ গ্রেড। প্রতিবেশী নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মহাপ্রসাদ অধিকারী পেয়েছেন ‘বি মাইনাস’ গ্রেড আর পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জামিল আহমদ পেয়েছেন ‘সি মাইনাস’। ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও পাকিস্তান এর চেয়েও পিছনে বাংলাদেশ বাংকের গভরনর- গ্রেড ডি। এই গ্রেড ডি গভর্নর দিয়ে একটা দেশের Financial management, monetary policy management, banking management কোন ভাবেই চলতে পারে না। তাই বাংলাদেশ সরকারের উচিত অবিলম্বে গ্রেড ডি গভর্নর কে সরিয়ে একজন শিক্ষিত, দক্ষ, অভিজ্ঞ লোক কে বাংলাদেশ বাংকের গভর্নর হিসাবে নিয়গ দেওয়া। না হলে দেশটার অরথিনিতি রসাতলে চলে যাবে।
এই ধরনের ক্ষমতাহীন গভর্নর দের কোন গ্রেডই পাওয়ার যোগ্যতা।
শিরোনামটা হওয়া এভাবে হওয়া উচিত ছিল: "গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিনের রেঙ্কিং-এ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর উত্তীর্ণ হয়েছেন"
ডি-গ্রেড! তাতেও কম কি? গত দেড় দশকের দুঃশাসনের কবলে দুর্নীতি লুটপাট ব্যাংক দখল নামে বেনামে সরকারী রুই কাতলারা ব্যাংক থেকে বিনা বাধাঁয় হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে, ব্যাংকের রিজার্ভ তারল্য সংকট সীমা অতিক্রম করেছে তারপরও ডি-গ্রেড! সঠিক ব্যাংক ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতার জন্য তো গভর্ণরের গ্রেড হওয়া উচিত ছিল-০।তারপরও দেখা যাবে ডি-গ্রেডের উৎফুল্লতার কোন কমতি নেই বলবে ডি মানে ডেভোলাপ গ্রেড মানে গৌরব।
কিন্তু আমাদের অর্থমন্ত্রী তো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অর্থমন্ত্রী !!
প্রতিটি ক্ষেত্রে দলীয়করণ করার ফলে অযোগ্য লোকদেরকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসিয়ে দেওয়ার ফলাফল।
Fail--final attempt is lost.
যেখানে দেশের মাথা থেকে পা অবধি পচন সেখানে কুচকিতে খোসপাচড়া হলেই কি আর না হলেই কি।
মন্তব্য করুন
বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন
বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ দূতাবাসের সতর্কবার্তা/ মার্কিন শ্রমবিষয়ক মেমোরেন্ডামের টার্গেট হতে পারে বাংলাদেশ
ভয়েস অব আমেরিকার রিপোর্ট/ বাংলাদেশে ‘অন্যায্য’ নির্বাচনের প্রস্তুতি
মহাসচিবের মুখপাত্রের ব্রিফিং/ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না জাতিসংঘ
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট/ বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে চলছে সহিংস দমন–পীড়ন

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]