ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বজমিন

গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিনের রিপোর্ট কার্ড

‘ডি গ্রেড’ পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর

মানবজমিন ডেস্ক

(২ মাস আগে) ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৪:২২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৫:২৭ অপরাহ্ন

mzamin

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিনের র‌্যাংকিংয়ে গভর্নর হিসেবে  ‘ডি গ্রেড’ পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ১৯৯৪ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গভর্নরদের গ্রেডিং করে আসছে ম্যাগাজিনটি। মূলত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হারের সুরক্ষা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সুসংহত করার মতো বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করেই এই গ্রেডিং করা হয়। এসব বিষয়ে যে গভর্নর যত ভালো করেন, তিনি তত ভালো গ্রেড পান। 

ম্যাগাজিনটির ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিবেশী দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ ‘এ প্লাস’ গ্রেড পেয়েছেন। এটিই ম্যাগাজিনটির ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড’-এর সর্বোচ্চ গ্রেড। আরও এ+ পেয়েছেন সুইজারল্যান্ড ও ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। দেউলিয়াত্ব ও মূল্যস্ফীতিসহ ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কার গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহে পেয়েছেন ‘এ মাইনাস’ গ্রেড। দেশটিকে সংকট থেকে তুলে আনতে তার ভূমিকার কথা বলা হয়েছে ওই রিপোর্ট কার্ডে।

১০১টি গুরুত্বপূর্ণ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের সর্বশেষ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, প্রতিবেশী নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মহাপ্রসাদ অধিকারী পেয়েছেন ‘বি মাইনাস’ গ্রেড আর পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জামিল আহমদ পেয়েছেন ‘সি মাইনাস’।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, কোভিড-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।  ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে টাকার অবমূল্যায়ন হয় সাড়ে ৯ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন
ডলার সংকটে হিমশিম খেতে থাকেন পণ্য আমদানিকারকরা। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যমূল্য ব্যাপক মাত্রায় বাড়তে থাকে। মূল্যস্ফীতিও হয়ে ওঠে লাগামহীন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা কমতে থাকায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামোগত দুর্বলতা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের ৬০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের কারণে মূল্যস্ফীতির মতো বাহ্যিক ধাক্কার মুখে নাজুক অবস্থানে পড়ে যায় বাংলাদেশ।

পাঠকের মতামত

অযোগ্য লোকদেরকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসিয়ে দেওয়ার ফলাফল।

MK. Mamun Mirza
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১২:০২ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সাহেবকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। শেখ হাসিনার ইশারায় সবকিছু চলছে। এরা সবাই শেখ হাসিনার সহযোগী। বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে প্রতিটি জায়গায় শেখ হাসিনার লোক বসানো আছে। সবাই আরাম-আয়েশে সবকিছু চেটেপুটে খাচ্ছে। শেখ হাসিনার পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরের মহারথীরা আরও আগ বাড়িয়ে এই সরকারকে শর্তহীনভাবে সাপোর্ট করে যাচ্ছে। সবাই মিলেমিশে একাকার হয়ে সবকিছু চেটেপুটে খেয়ে শেষ করে দিচ্ছে।

শওকত আলী
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার, ১১:৪১ অপরাহ্ন

সৌভাগ্য বলতে হবে 'F' Grade পাননি।

Milon Azad
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৮:৫৫ অপরাহ্ন

এত বড পরযায় ক্রমিক ব্যর্থ লুটপাটের সরকারের সংগি যারাই বাংলাদেশ ব্যাংকের গত পনেরো বৎসর দায়িতব্য পালন করেছেন প্রত্যেকের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। চিন্তা করে দেখুন যে দেশের রিজার্ভ গত ২০২১ এও আটচল্লিশ বিলিয়ন ডলার এর উপর ছিলো সেখানে গত দুই বৎসরে আঠাশ বিলিয়ন ডলার এরা ইউক্রেন যুদ্ধ আর বহির বিশ্বের অস্তিতিতিশিল অবস্তার দোহাই দিয়ে লুটপাট করে পাচার করে দিয়েছে , কত দুরত মেগা লুটপাট করলে পরে রিজার্ভ বিশ বিলিয়নে নামিয়ে আনে এবং যে ডলার ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতেও সরকারি রেট পচাশি টাকা ছিলো (যদিও কৃত্রিম ভাবে দেশের অর্থনীতি ভালো দেখানোর জন্য) তা আজ এক বৎসরের মাথায় একশত বিশ টাকায় যেয়ে পৌছেছে তাও কার্ব মার্কেটে ডলার পাওয়া যায় না তাহলে প্রবাসিরা যে মাসে দুই বিলিয়ন ডলার এর কাছা কাছি দেশে পাঠান এবং বস্ত্রশিলপ রপ্তানির বৈদেশিক মুদ্রার বিলিয়ন ডলার কোথায় যায় ? কেন আমাদের প্রবাসিরা এই লুটেরা ডাকাতদের কাছে কষ্টারজিত অর্থ পাঠাবেন ? আমি কোন হিসাব মেলাতে পারি না ।পরবাসে যারা কঠোর পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করেন তারা বর্তমান বাংলাদেশের নূতন মুক্তিযোদধা এবং এদের রক্ত চুষে খাচ্ছে একদল হায়না।

Musa Amin
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৪:০৫ অপরাহ্ন

দয়া করে বৈদেশিক মুদ্রা বিভাগ কে বছরের 365 দিনই চালু করুন এতে রেমিটেনস আসা অনেক বৃদ্ধি পাবে। যেখানে ডিজিটাল লেনদেন সারা বছর ২৪ ঘন্টা সার্ভিস দেয় সেখানে ব্যাংক দিয়ে থাকে সপ্তাহে মাত্র ৩০ ঘন্টা। আর ডিজিটাল লেনদেনের বেশীরভাগই এদেশে আসে না। এটাই রেমিটেনস কম আসার বড় কারন।

Kamal Hossain
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৭:৪২ পূর্বাহ্ন

ডি মানে ড্যাশিং

Anonimus
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৫:৫৩ পূর্বাহ্ন

আমাদের গভর্নর মহোদয় তার ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করলে দেশের জন্য ভালো হতো। দেশের অর্থনীতির বর্তমান করুন অবস্থার জন্য যে গভর্নর মহোদয় বিরাট দায় আছে সেটা এখন স্পষ্ট হলো। অর্থমন্ত্রীদেরও যদি এরকম রেটিং করা হতো, আমাদের অর্থমন্ত্রীও E অথবা D পেতেন। এখন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে সরকারের চাপাবাজি থেমে যাবে আশা করি। যে সরকারে এতো অযোগ্যদের মিলনমেলা সেটির তাড়াতাড়ি পতন ঘটুক সেই প্রার্থনা করছি।

Andalib
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৪:২৩ পূর্বাহ্ন

প্রতিটি ক্ষেত্রে দলীয়করণ করার ফলে অযোগ্য লোকদেরকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসিয়ে দেওয়ার ফলাফল। পরের বছর আমরা 'ই' পাব

তালুকদার
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ১১:২৮ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে তথ্য নিলে (A+) পাওয়া যেত ।

CT SAYEED
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৯:২১ অপরাহ্ন

রিপোর্টারকে ধন্যবাদ। যেকোনো দেশের আর্থিক খাত বিবেচনায় ব্যাংকিং সেক্টর একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্ণরের পদটিও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অর্জিত স্ট্যাটাস যদি সুখকর না হয় তাহলে সেটা যেন নিদেনপক্ষে আমাদের শিক্ষণীয় বিষয় হয়।

ড. মাহতাব
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৯:১৪ অপরাহ্ন

প্রতিবেশী দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ ‘এ প্লাস’ গ্রেড পেয়েছেন। আরও এ+ পেয়েছেন সুইজারল্যান্ড ও ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।দেউলিয়াত্ব ও মূল্যস্ফীতিসহ ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কার গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহে পেয়েছেন ‘এ মাইনাস’ গ্রেড। প্রতিবেশী নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মহাপ্রসাদ অধিকারী পেয়েছেন ‘বি মাইনাস’ গ্রেড আর পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জামিল আহমদ পেয়েছেন ‘সি মাইনাস’। ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও পাকিস্তান এর চেয়েও পিছনে বাংলাদেশ বাংকের গভরনর- গ্রেড ডি। এই গ্রেড ডি গভর্নর দিয়ে একটা দেশের Financial management, monetary policy management, banking management কোন ভাবেই চলতে পারে না। তাই বাংলাদেশ সরকারের উচিত অবিলম্বে গ্রেড ডি গভর্নর কে সরিয়ে একজন শিক্ষিত, দক্ষ, অভিজ্ঞ লোক কে বাংলাদেশ বাংকের গভর্নর হিসাবে নিয়গ দেওয়া। না হলে দেশটার অরথিনিতি রসাতলে চলে যাবে।

Muhammad Hussain
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৯:০৩ অপরাহ্ন

এই ধরনের ক্ষমতাহীন গভর্নর দের কোন গ্রেডই পাওয়ার যোগ্যতা।

মো: আজিজুল হক
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৭:০৬ অপরাহ্ন

শিরোনামটা হওয়া এভাবে হওয়া উচিত ছিল: "গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিনের রেঙ্কিং-এ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর উত্তীর্ণ হয়েছেন"

জেক
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৪:১৪ অপরাহ্ন

ডি-গ্রেড! তাতেও কম কি? গত দেড় দশকের দুঃশাসনের কবলে দুর্নীতি লুটপাট ব্যাংক দখল নামে বেনামে সরকারী রুই কাতলারা ব্যাংক থেকে বিনা বাধাঁয় হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে, ব্যাংকের রিজার্ভ তারল্য সংকট সীমা অতিক্রম করেছে তারপরও ডি-গ্রেড! সঠিক ব্যাংক ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতার জন্য তো গভর্ণরের গ্রেড হওয়া উচিত ছিল-০।তারপরও দেখা যাবে ডি-গ্রেডের উৎফুল্লতার কোন কমতি নেই বলবে ডি মানে ডেভোলাপ গ্রেড মানে গৌরব।

আলমগীর
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৬:২৮ পূর্বাহ্ন

কিন্তু আমাদের অর্থমন্ত্রী তো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অর্থমন্ত্রী !!

Mokbul Ahmed
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৬:০৩ পূর্বাহ্ন

প্রতিটি ক্ষেত্রে দলীয়করণ করার ফলে অযোগ্য লোকদেরকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসিয়ে দেওয়ার ফলাফল।

দয়াল মাসুদ
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৫:৫১ পূর্বাহ্ন

Fail--final attempt is lost.

Md. Harun al Rashid
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৫:২৪ পূর্বাহ্ন

যেখানে দেশের মাথা থেকে পা অবধি পচন সেখানে কুচকিতে খোসপাচড়া হলেই কি আর না হলেই কি।

Siddq
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৪:৫৮ পূর্বাহ্ন

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

মহাসচিবের মুখপাত্রের ব্রিফিং/ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না জাতিসংঘ

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট/ বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে চলছে সহিংস দমন–পীড়ন

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status