ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বজমিন

নাগোর্নো-কারাবাখ থেকে পালাচ্ছে মানুষ

মানবজমিন ডেস্ক

(২ মাস আগে) ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ২:৩৬ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৯:৪১ পূর্বাহ্ন

mzamin

নাগোর্নো-কারাবাখ থেকে পালাচ্ছে জাতিগত আর্মেনিয় শরণার্থীরা। একজন দু’জন নয়। হাজার হাজার আর্মেনিয়ান পালিয়ে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহে বিরোধপূর্ণ এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে আজারবাইজান। এর প্রেক্ষিতে সেখান থেকে কমপক্ষে ৬৫০০ মানুষ পালিয়ে গেছে। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান ঘোষণা দিয়েছেন, এই লড়াইয়ে যারা গৃহহীন হবেন, তাদের জন্য তিনি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এ ঘোষণার পরই বাসস্থান ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। 

আজারবাইজানের অভিযানকে ওই অঞ্চলে জাতিনিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এই জাতিনিধন চলছে এখনও। এ বিষয়ে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। 

অন্যদিকে আজারবাইজানের যুক্তি তারা জাতিগত আর্মেনিয়ানদের সমান অধিকার দিয়ে জাতিভুক্ত করতে চায়।

বিজ্ঞাপন
নার্গোনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে লড়াই শুরুর পর প্রথমবারের মতো মঙ্গলবার ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় আলোচনায় বসার কথা আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের দূতদের।

টেকসই শান্তি চুক্তিতে পৌঁছার জন্য উভয় পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। 

ওদিকে কারাবাখের প্রধান শহর স্টেপানাকার্টে একটি পেট্রোল স্টেশনে বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ২০০ মানুষ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী তেঘাম স্টেপানিয়ান। অন্যদিকে আর্মেনিয়া সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থী মানুষের দীর্ঘ লাইন পড়ে গেছে। দেখা দিয়েছে জ্যাম। তাদের একজন বলেছেন, মাতৃভূমির জন্য পুরোটা জীবন দিয়ে দিয়েছি। এর চেয়ে যদি তারা আমাকে মেরে ফেলতো, তাহলে সেটা আরও ভাল হতো।

ভেরোনিকা নামে একজন বিবিসিকে বলেছেন, দ্বিতীয়বারের মতো তিনি শরণার্থী হতে চলেছেন। প্রথমবার শরণার্থী হয়েছিলেন ২০২০ সালের যুদ্ধের সময়। গোরিস এলাকায় জনতার ভিতর। কাছাকাছি একটি থিয়েটারকে বানানো হয়েছে রেডক্রসের অফিস। তাতিয়ানা ওগানেসিয়ান নামে একজন ডাক্তার বলেছেন, যেসব মানুষ আমাদের কাছে আসছেন, তারা নিঃশেষিত, অপুষ্টিতে ভোগা এবং মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মানুষ হতাশ। কিন্তু চিকিৎসদের কাছে কিছুই নেই বলে গোরিস এলাকার একজন প্রবীণ নারী জানালেন। 

পাশের কোরনিদজোর গ্রামে শরণার্থীরা বলছেন তারা আজারবাইজানের শাসনের অধীনে নিরাপদ থাকবেন না। তাই আর হয়তো তাদের ঘরে ফিরে যাওয়া হবে না। এ অবস্থায় রোববার আর্মেনিয়া সরকার একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শত শত শরণার্থীর জন্য এরই মধ্যে সরকারি তহবিল ব্যবহার করে বাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে তারা কতদিন পর্যন্ত বা কি পরিমাণ মানুষকে আশ্রয় দিতে পারবেন সে পরিকল্পনা পরিষ্কার করেনি সরকার।

 

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

মহাসচিবের মুখপাত্রের ব্রিফিং/ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না জাতিসংঘ

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট/ বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে চলছে সহিংস দমন–পীড়ন

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status