বিশ্বজমিন
এমআরআই বলে দেয় লং কোভিড কি ক্ষতি করছে
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার, ৪:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৫ অপরাহ্ন

নতুন এক গবেষণা বলছে, যেসব মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর ‘লং কোভিড’ নিয়ে জীবনযাপন করছেন তাদের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর কতটা ক্ষতি হচ্ছে তা ধরা পড়বে এমআরআই স্ক্যানে। এতে দেখা যাবে ফুসফুস, ব্রেন ও কিডনির মতো গুরুত্বপূর্ণ অন্য অঙ্গে কোনো অস্বাভাবিকতা আছে কিনা। স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুণ নিশ্চয়তা দিয়ে এই এমআরআই স্ক্যান রোগী সম্পর্কে পরিষ্কার তথ্য দেয়। গবেষকরা বিশ্বাস করছেন এই অসুস্থতার ভয়াবহতার সঙ্গে এর একটি যোগসূত্র আছে। তাই আশা করা হচ্ছে লং কোভিড বা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তার যে রেশ শরীরে দীর্ঘদিন থেকে যায় তার অধিক কার্যকর চিকিৎসায় এই গবেষণা সহায়তা করবে।
এই গবেষণা তথ্য প্রকাশ হয়েছে ল্যানচেট রেসপিরেটরি মেডিসিন-এ। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর মারাত্মক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এমন ২৫৯ জন রোগীর ওপর এই গবেষণা করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ছাড় দেয়ার ৫ মাস পর তাদের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর এমআরআই স্ক্যান করে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। যাদের কখনো করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হয়নি এমন ৫২ জনের একটি গ্রুপের ওপর তাদের পরীক্ষালব্ধ তথ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য আছে। সবচেয়ে বড় প্রভাব দেখা গেছে ফুসফুসে। এক্ষেত্রে এমআরআই স্ক্যানে কমপক্ষে ১৪ গুন বেশি অস্বাভাবিকতা দেখা গেছে। ব্রেনে তিনগুণ অস্বাভাবিকতা দেখা গেছে। কিডনিতে দ্বিগুন। তবে হার্ট ও লিভারে উল্লেখযোগ্য কোনো পার্থক্য পাওয়া যায়নি।
এই গবেষণায় নেতৃত্ব দানকারী ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের ড. বেটি রমন বলেছেন, এটা পরিষ্কার যে- যারা লং কোভিড লক্ষণ নিয়ে বেঁচে আছেন তাদের কিছু অঙ্গ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। তাদেরকে হাসপাতাল থেকে ছাড় দেয়ার ৫ মাস পরে আমরা ফুসফুস, ব্রেন এবং কিডনিতে অধিক পরিমাণে অস্বাভাবিকতা দেখতে পেয়েছি। এই তুলনা করা হয়েছে যাদের কখনোই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হয়নি তাদের সঙ্গে।
এই গবেষণার নাম দেয়া হয়েছে ফোসপ-কোভিড গবেষণা। এতে গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন বুকে অস্বাভাবিকতা, কফ আটকে এক রকম অস্বাভাবিকতা। এমনও হতে পারে যাদের ওপর গবেষণা করা হয়েছে পুরো পরিবর্তিত অবস্থার জন্য সবার জন্য লং কোভিড দায়ী নয়। ইউনিভার্সিটি অব লিস্টারের প্রফেসর ক্রিস ব্রাইটলিং এই গবেষণার নেতৃস্থানীয়। তিনি বলেছেন, বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন রকম লক্ষণের বিষয়টি বুঝার জন্য বিস্তৃত এই গবেষণা করা হয়।