বিশ্বজমিন
প্রটোকল ছাড়া নিজের গাড়িতে এলেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি, চমক দেখাতে চান তিনিও
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার, ১২:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:১১ পূর্বাহ্ন
চমক দেখাতে চান পাকিস্তানের নতুন প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসা। একইসঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন হাতে। সুপ্রিম কোর্ট (প্রাকটিস অ্যান্ড প্রসিডিউর) অ্যাক্ট, ২০২৩ নিয়ে পাকিস্তানে বিচারবিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে একরকম ঠাণ্ডা লড়াই রয়েছে। কারণ, এই আইনের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির সুয়োমোটো ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। ক্ষমতা থেকে যাওয়ার আগে এই আইনের সংশোধনী বাতিল করে গেছেন সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল। তার দেয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে পিটিশন করা হয়েছে। আজ সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে সেই পিটিশনের শুনানি করার কথা নতুন প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসার।
এই বেঞ্চে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের ১৫ জন বিচারপতির সবাই থাকবেন। প্রধান বিচারপতি এদিন কোনো প্রটোকল ছাড়া ব্যক্তিগত গাড়িতে পৌঁছেছেন সুপ্রিম কোর্টে। স্টাফদের তিনি বলেছেন, সমস্যা সমাধানের আশায় সুপ্রিম কোর্টে আসেন জনগণ। ভিজিটরদের সঙ্গে অতিথির মতো আচরণ করবেন। তিনি আরও বলেন, বিচারের দরজা উন্মুক্ত থাকা উচিত। উপরন্তু আজ সোমবার যে শুনানি হওয়ার কথা তা তিনি সরাসরি সম্প্রচারের অনুমোদন দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।
এতে বলা হয়, পূর্ণাঙ্গ এই কোর্টে থাকবেন প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসা। এছাড়া বাকি বিচারকরা হলেন সরদার তারিক মাসুদ, ইজাজুল আহসান, সৈয়দ মানসুর আলি শাহ, মুনিব আখতার, ইয়াহিয়া আফ্রিদি, আমিনুদ্দিন খান, সাঈদ মাজাহার আলি আকবার নাকভি, জামাল খান মান্দোখেল, মুহাম্মদ আলি মাজহার, আয়েশা এ. মালিক, আতহার মিনাল্লাহ, সৈয়দ হাসান আজহার রিজভি, শাহিদ ওয়াহিদ ও মুসাররাত হিলালি। শুনানি শুরুর আগে পূর্ণাঙ্গ কোর্টের মিটিং হয়েছে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট (প্রাকটিস অ্যান্ড প্রসিডিউর) অ্যাক্ট, ২০২৩ এই আইন বাস্তবায়নের ওপর সুপ্রিম কোর্টের আট সদস্যবিশিষ্ট বেঞ্চ ১৩ই এপ্রিল স্টে অর্ডার দেয়। জুনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট (রিভিউ অব জাজমেন্টস অ্যান্ড অর্ডারস) অ্যাক্ট ২০২৩ এবং সুপ্রিম কোর্ট (প্রাকটিস অ্যান্ড প্রসিডিউর) অ্যাক্ট, ২০২৩ নিয়ে পাকিস্তানের এটর্নি জেনারেল মানসুর উসমান আওয়ানের সঙ্গে আলোচনা হয় যে, পার্লামেন্ট এই দুটি আইনকে সুসংগত হিসেবে দেখতে পারে। তারপর সাবেক প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিায়াল জানান, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত যেকোনো লেজিসলেশন নেয়ার সময়ে শীর্ষ আদালতকে বিবেচনায় নেয়া উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের।