বিশ্বজমিন
পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তে দুর্নীতির প্রমাণ মেলেনি: এনএবি
মানবজমিন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার, ১২:৪৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকারের সম্পদ সংক্রান্ত কথিত দুর্নীতির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হয়েছে। এতে অভিযোগের কোনো ‘মেরিট’ পাওয়া যায়নি। ফলে অভিযোগ ক্লোজ করে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার ন্যাশনাল একাউন্টেবলিটি ব্যুরো (এনএবি) এ বিষয়টি পরিষ্কার করেছে।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারকের বেঞ্চ ২-১ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকারি পদের অধিকারীদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ বা দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা পুনরুদ্ধার করে চালু করতে নির্দেশ দেয়। এই ধারাটি এনএবির আইন সংশোধন করে প্রত্যাহার করা হয়েছিল আগে। আদালতের ওই রায়ের পরই এনএবি জানায় আনোয়ারুল হক কাকারের বিরুদ্ধে সম্পদ সংক্রান্ত কোনো ঘটনার যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
তারা জানিয়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুদৃঢ় কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি রেকর্ডে। তাই এনএবি সংশোধনীর সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। এনএবি সূত্র বলেছেন, দুর্নীতি বিরোধী এই সংগঠনটি কোয়েটায় সম্পদ সংক্রান্ত একটি অভিযোগের তদন্ত করেছে। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। ফলে ‘মেরিটের’ ভিত্তিতেই তদন্ত বাদ দেয়া হয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র বলেছেন, আনোয়ারুল হক কাকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দেয়ার আগেই এসব বিষয়ে ফয়সালা হয়েছে।
তবে সুপ্রিম কোর্ট ২-১ সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ের ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি তদন্তের মুখে পড়তে পারেন। সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল। অন্য দু’জন বিচারক হলেন মানসুর আলি শাহ এবং ইজাজুল আহসান। তারা পিটিআই প্রধান ইমরান খানের আবেদনকে গ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
এনএবির ১০টি সংশোধনীর মধ্যে ৯টিকে বাতিল ঘোষণা করেছেন। তবে বিচারক মানুসুর আলি শাহ এ ঘটনায় ভিন্নমত দিয়েছেন। ৫০ কোটি রুপির কম মূল্যের ঘুষ সংক্রান্ত সব মামলা পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং সরকারি পদের অধিকারীর বিরুদ্ধে এসব মামলা ওই সংশোধনীর অধীনে ক্লোজ করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ইমরান খানের আপিলের ফলে যে রায় এসেছে তাতে এনএবির সংশোধনী প্রশ্নের মুখে পড়েছে।