বিশ্বজমিন
বাইডেন, ট্রাম্পকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান মিট রমনির
মানবজমিন ডেস্ক
(১১ মাস আগে) ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১২:৪১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২১ অপরাহ্ন
নতুন প্রজন্মের কাছে রাজনীতি ছেড়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিনেটর ও সাবেক প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী মিট রমনি। আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা এরই মধ্যে ঘোষণা করেছেন জো বাইডেন ও ট্রাম্প। প্রাথমিক পর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে। এমন সময় মিট রমনি তাদেরকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানালেন। অবসরে যাওয়া নিয়ে নিজের পরিকল্পনার বিষয়ে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ আহ্বান জানান। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
মিট রমনি বলেছেন, তিনি আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নেননি। কারণ, রাজনীতি নতুন প্রজন্মের নেতাদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। উল্লেখ্য, মিট রমনির বয়স এখন ৭৬ বছর। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের গভর্নরসহ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ২০ বছর ধরে সক্রিয়। কয়েক বছরে রিপাবলিকান দলের এই প্রথম সারির নেতা প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছেন। মিট রমনি ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সিনেট সদস্য আছেন। এরপর তিনি আর নির্বাচন করবেন না বলে জানিয়েছেন। বুধবার বিকেলে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন, এখন বয়স হয়েছে। বয়সই তাকে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। তিনি বলেন, আরও এক দফা যদি নির্বাচন করে নির্বাচিত হই তাহলে আমার বয়স হবে ৮০র কোটার মাঝামাঝি। খোলামনে বলছি, এটা হলো নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের সময়। নির্বাচনে লড়াই করবো না বলেই আমি লড়াই থেকে সরে যাবো না।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি চান রিপাবলিকান দলে আরও যুব শ্রেণির মানুষ যুক্ত হোন। তারা অফিস চালান। ভোট করুন। তরুণ প্রজন্মকে স্থান দিলে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি দলই ভাল করবে। বিবিসির এক প্রশ্নের জবাবে মিট রমনি বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ট্রাম্প যদি সরে দাঁড়ান তাহলে এটা হবে নতুন প্রজন্মের জন্য বড় একটি বিষয়। এখন বাইডেনের বয়স ৮০ বছর। ট্রাম্পের ৭৭। তারাই এখন পর্যন্ত ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যথাক্রমে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানের ফ্রন্টরানার।
২০১২ সালে মিট রমনিকে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনীত করেছিল রিপাবলিকান পার্টি। তবে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে হেরে যান। এর ৬ বছর পর তিনি ইউটাহ রাজ্যের দুটি সিনেট আসনের একটিতে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালেও তিনি প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তাতে সফল হননি। ২০২০ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসিত করা হয়। এতে তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। একমাত্র রিপাবলিকান হিসেবে তিনিই দলের বিরুদ্ধে গিয়ে ভোট দিয়েছেন।