অর্থ-বাণিজ্য
‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই প্রস্তাবিত বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ’
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) ১০ জুন ২০২২, শুক্রবার, ৪:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:০৭ অপরাহ্ন

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই প্রস্তাাবিত বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। সংস্থাটি বলছে, প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫.৬ শতাংশের মধ্যে রাখার কথা উল্লেখ করা হলেও তা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরী। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নি¤œ আয়ের জনগোষ্ঠির জন্য রেশনিং ব্যবস্থা জোরদার করা এবং বাজেটে ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা দরে চাল সরবরাহের কথা বলা হয়েছে। এই চালের দর পূর্বের ন্যায় ১০ টাকায় নির্ধারণের প্রস্তাব করছে বিসিআই।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রাজস্ব ঘাটতি ও অর্থায়নসহ অন্যান্য বিষয়গুলো অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। বর্তমান সংকটময় বিশ^ পরিস্থিতে সকল ক্ষেত্রে অপচয় কমিয়ে আনতে হবে। খাদ্য পণ্য উৎপাদন, বিপনন এবং পরিবহন পর্যায়ে অপচয় ও চাদাবজি বন্ধ করা জরুরি। যানযট নিরসন, অতিরিক্ত আলোকসজ্জা না করা ইত্যাদির মাধ্যমে সম্পদ অপচয় কমিয়ে এনে সম্পদের সুষ্ট ব্যবস্থাপনা করা জরুরি।
বিসিআই সভাপতি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি করোনা ও ইউক্রেন সংকটে বিপর্যস্ত, ঠিক এই কঠিন সময়ে আজকের জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নিয়ে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৫.৬ শতাংশ নির্ধারণ করে আগামী র্থ বছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ে এরূপ উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ঘোষিত বাজেট আশাব্যঞ্জক হলেও সুশাসন, যথাযথ মনিটরিং, দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও যথাযথ পরিকল্পনা নিশ্চিত করা না গেলে বাস্তবায়নে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে সরকারকে।