অর্থ-বাণিজ্য
মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি চায় রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৫ আগস্ট ২০২৩, শনিবার, ৭:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৪০ অপরাহ্ন

ব্রয়লার মুরগি, গরু ও খাসির মাংসসহ সব ধরনের পণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি চেয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। একইসঙ্গে যে-সব অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার রাজধানীর ইস্কাটনে পুলিশ কনভেনশন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। এসময় সংগঠনের সভাপতি মো. ওসমান গনিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। একইদিনে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ৩৫তম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের (বর্ধিত) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি এবং মহাসচিব ইমরান হাসান পুনঃনির্বাচিত হন।
ইমরান হাসান বলেন, সারা বিশ্বের বাজার পরিস্থিতি একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আমরাও এ ক্রান্তিকালের বাহিরে নই। এর মধ্যে বাংলাদেশের রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারা ব্যবসায় টিকে থাকতে পারছে না। আমরা এখনও সরকারের কোনও উদ্যোগ দেখতে পাইনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মাছ, মাংস, ডিম, আলু, পিয়াজসহ বাজারে বেশিরভাগ পণ্যের দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে। চড়া দ্রব্যমূল্য উস্কে দিচ্ছে মূল্যস্ফীতিকে। মূল্যস্ফীতির কষাঘাতে পিষ্ট হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত কয়েক মাস ধরে ৮ শতাংশের বেশি হারে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। গত জুন মাসেও মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯.৭৪ শতাংশ। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে রেস্তোরাঁ খাতে। বেশিরভাগ রেস্তোরাঁর দৈনিক বিক্রি অনেকাংশে কমে গেছে। এ অবস্থায় কার্যকর বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তাই গরু-ছাগল ও পোল্ট্রি ফার্মের মুরগির মাংস আমদানি করার অনুমতি দিতে হবে।
হোটেল রেস্তোরাঁয় ৩০ শতাংশ বিক্রি কমেছে বলে দাবি করে সংগঠনটির মহাসচিব বলেন, এজন্য টিসিবির মাধ্যমে রেস্তোরাঁ খাতে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপণ্য বিতরণের দাবি করছি। এই অর্থনৈতিক সংকটকালে রেস্তোরাঁ খাত টিকিয়ে রাখতে ট্যাক্স ছাড়ের পাশাপাশি ট্যাক্সের হার কমানোর প্রস্তাব করছি। একই সাথে ট্যাক্স আদায়ের নামে মাঠ পর্যায়ে কিছু অসাধু কর্মকর্তার দ্বারা হয়রানি থেকেও নিস্তার চাচ্ছি।
পাঠকের মতামত
এখন গরিবের কাছে মাছ-মাংস আমাবস্যার চাঁদ হয়ে উঠেছে। আমদানির বিকল্প নেই।
আমদানির অনুমতি দিবে না। কারণ তখন সিডিকটের মাধ্যমে জনগণের পকেট কেটে, চুরি, ডাকাতি করে আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করতে পারবে না। সরকার, আমলা, ব্যবসায়ী মিলে জনগণের পকেট মেরে চলেছে। তাই সরকার আমদানির অনুমতি দিবে না। রেস্তোরা মালিকদেরকে অনুমতি দিলে সরকারের অসুবিধা কোথায়? অসুবিধা এক জায়গায়। আর সেটা হলো চুরি বন্ধ হয়ে যাবে। পকেট মারা বন্ধ হয়ে যাবে?
মুক্ত বাজার অরথনিতি যদি হয় তাহলে ভোক্তা যেখানে ভালো পণ্য কম দামে পাবে সেখান থেকে পণ্য কিনবে। সকল বাজার উম্মুক্ত থাকবে সেই প্রতিযোগিতা যে টিকে থাকবে সেই ব্যবসা করবে বাকিরা বেরিয়ে যাবে। জন গনের স্বার্থ রক্ষা না করে পড়িয়া দের স্বার্থ রক্ষা করা কোন গ্নতান্ত্রিক সরকার কাজ নয় !!!
আমদানীতে কার অসুবিধা..... পাশ্ববর্তি সব দেশে তুলনায় আমরা অনেক বেশী দাম দিয়ে মাংস কিনছি ....কার স্বার্থে আমাদের নিরামিষ ভোজি হতে বাধ্য করছে?
চেতনাধারীদের ছত্রছায়ায়/ব্যর্থতায় অসাধু সিন্ডিকেটের কারনে দেশের মানুষের কষ্ট হচ্ছে।
Govt.should agree to import.
আমদানির কোন বিকল্প নাই শুধু রেস্তোরাঁ নয় সাধারণ মানুষও মাংস কিনতে পারছেনা উচ্চ মূল্যের কারণে।
মন্তব্য করুন
অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরও পড়ুন
অর্থ-বাণিজ্য সর্বাধিক পঠিত
বেশি মূল্যে ডলার কেনাবেচা/ ১৩ ব্যাংকের ব্যাখ্যা চাইলো বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকে দুই অর্থনীতিবিদ/ ব্যাংক ও রাজস্ব খাত এভাবে চলতে পারে না

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]