অর্থ-বাণিজ্য
রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থতায় জরিমানা কমানোর প্রস্তাব
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) ৯ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার, ৪:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ অপরাহ্ন
আইনে শাস্তি ও জরিমানার বিধান অতিরিক্ত কঠোর করা হলে অনেক ক্ষেত্রেই তা প্রায়োগিক জটিলতার সৃষ্টি করে এবং স্বাভাবিক ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হয়। সে কারণে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২-এ জরিমানা ও সুদের হার সহনীয় করার লক্ষ্যে বাজেটে নতুন প্রস্তাব আনা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাব আকারে বলেন, নির্ধারিত তারিখের মধ্যে মূসক বা টার্নওভার কর দাখিলপত্র পেশ না করার ব্যর্থতা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ ‘১০ হাজার টাকা’ হতে হ্রাস করে ‘৫ হাজার টাকা’ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি। ভ্যাট ফাঁকি, ব্যর্থতা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে আরোপিত জরিমানার পরিমাণ জড়িত রাজস্বের ‘সমপরিমাণ’-এর পরিবর্তে ‘অন্যূন অর্ধেক এবং অনূর্ধ্ব সমপরিমাণ’ করার প্রস্তাব করছি।
এ ছাড়া করদাতাগণের অনিচ্ছাকৃত ভুলের ক্ষেত্রে জরিমানা আরোপ না করা এবং বন্ধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করার মধ্যবর্তী সময়ে দাখিলপত্র পেশ না করা হলে জরিমানা আরোপ না করার বিধান সংযোজন করার প্রস্তাব করছি।
প্রস্তাবে তিনি আরো বলেন, আপিল কমিশনারেট, আপিলাত ট্রাইব্যুনাল এবং উচ্চ আদালতে আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে আরোপিত জরিমানা ব্যতিরেকে শুধু দাবীকৃত করের অংশবিশেষ জমা প্রদানের বিধান করার জন্য প্রস্তাব করছি। আপিলাত ট্রাইব্যুনালে নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠান আপিল দায়ের করতে না পারলে মেয়াদ আরো ৬০ দিন বর্ধিত করার বিধান সন্নিবেশকরণের প্রস্তাব করছি। বকেয়া মূসক আদায়ের ক্ষেত্রে সুদ আরোপের সময়সীমা সর্বোচ্চ ২৪ মাস করার প্রস্তাব করছি।