ঢাকা, ৫ অক্টোবর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অর্থ-বাণিজ্য

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমলো

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

(২ মাস আগে) ২৩ জুলাই ২০২৩, রবিবার, ৯:৫৬ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৯:২২ পূর্বাহ্ন

mzamin

আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) নিয়মে দেশে বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৩৪৪ কোটি (২৩.৪৪ বিলিয়ন) ডলার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ৯৮৫ কোটি ডলার (২৯.৮৫ বিলিয়ন) ডলার।

রোববার এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।

বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে রিজার্ভ গণনায় আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬) পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। সারা বিশ্বে বহুল প্রচলিত কাঠামো অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক গঠিত বিভিন্ন তহবিলের অর্থ রিজার্ভের বাইরে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বিমানের জন্য প্রদত্ত ঋণ গ্যারান্টি, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মুদ্রা বিনিময় এবং পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেয়া ঋণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এছাড়া ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আমানত এবং নির্দিষ্ট গ্রেডের নিচে থাকা সিকিউরিটিতে বিনিয়োগও বাদ দেয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আইএমএফের পদ্ধতিতে ১০ দিন আগে অর্থাৎ ১৩ই জুলাই রিজার্ভ ছিল ২৩.৫৬৯ বিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২৯.৯৭৩ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ১০ দিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমলো প্রায় ১২ কোটি ডলার।

প্রসঙ্গত, আমদানি ব্যয়সহ বিভিন্ন ব্যয় মেটাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকে বিভিন্ন সোর্স থেকে রিজার্ভ হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রা আসে। এরমধ্যে রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ের একটি অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়।

বিজ্ঞাপন
এ ছাড়া বৈদেশিক ঋণের অর্থও সরাসরি রিজার্ভে যুক্ত হয়। গত সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রা আসা ও যাওয়ার পর ১২ কোটি ডলার কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে।
 

পাঠকের মতামত

Actually, the foreign reserve is going to down day by day because of govt corruption and very soon this country will reach that place where now srilanka is there. Common people are suffering now and very soon it will be more and more

Tanweir
১ আগস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার, ৫:৫৪ পূর্বাহ্ন

দেশ বাদ দিয়ে শাসকের পক্ষে কাজ করলে সে দেশের জনগণের সমর্থন হারাতে হয় ফলে সে দেশে যুক্তরাষ্ট্রর বিনিয়োগ ঝুকিতে পড়ে। শাসকের পক্ষে কাজ করলে সেই শাসক একসময় ফেসিষ্টে পরিণত হয়, জনগণের উপর স্টিম রোলার চালাতে থাকে, গণতন্ত্র আর মানবাধিকারকে নির্বাসনে পাঠায়, গুম খুনের মত জঘণ্য অপরাধ অবলিলায় করতে থাকে, বাংলাদেশই তার উতকৃষ্ট প্রমাণ। মিটিং মিছিল করা দুরে থাক বিএনপির নেতাকর্মীদের তাদের অফিসের সামনে পর্যন্ত দাড়াতে দেয়া হতোনা। রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপির অনেক নেতাকে অসংখ্যবার তাদের অফিসের সামনে থেকে পুলিশ টেনে হেছড়ে তুলে নিয়ে গেছে, অপরাধ অফিসের সামনে দাড়িয়েছিল। আমলীগ ইতিহাসের নিকৃষ্ট ফ্যাসিষ্টে পরিণত গত ১৪ বছর তা এদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। এদেশে এই পর্যন্ত এককভাবে সরকার বিরোধী আন্দোলন বিএনপিই করেছে এবং সফল হয়েছে। বিএনপি এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বে ছিল। তখন আলীগ আর জামাত এরশাদের সংসদে ছিল। বিএনপির নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলনে পতনের আগে আগে জামাত আর আমলীগ এরশাদের সংসদ থেকে পদত্যাগ করে রাজপথে আসতে বাধ্য হয়। যারা ভাবছেন বিএনপিকে দিয়ে সরকার পতন সম্ভব হবে কিনা তারা ইতিহাস ভূলে গেছেন।

Tulip
২৪ জুলাই ২০২৩, সোমবার, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

ঘুন বাহির থেকে না খেয়ে ভিতর থেকে খায়। যখন কোন জুলুম বাজ সরকার বেপরোয়া অবস্থানে চলে যায় তখন যেহেতু জনগণ বাহির থেকে কিছু করতে পারে না তখন প্রকৃতির বিধানে ঘুন ভিতর থেকে খায় এই সরকারের ও হয়েছে তাই। এভাবে কমতে কমতে রিজার্ভ শুন্যের কোঠায় চলে আসলে তখন তার সমস্ত বাহিনীর সম্মিলিত শক্তি ও হয়ে যাবে জিরো। তখন ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দরকার হবে না এমনিতেই ক্ষমতা ছেড়ে পালাবে।

A R Sarkar
২৩ জুলাই ২০২৩, রবিবার, ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন

অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অর্থ-বাণিজ্য সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status