দেশ বিদেশ
বন্ধুর জীবন বৃত্তান্তে ছবি বসিয়ে চাকরি, টাকা হাতিয়ে উধাও
স্টাফ রিপোর্টার
৯ জুন ২০২৩, শুক্রবারহেলাল উদ্দিন আহমেদ। নাম পরিচয় গোপন করে হয়ে ওঠেন জাহাঙ্গীর আলম। তার স্কুলের সহপাঠি জাহাঙ্গীর আলমের শিক্ষাগত সনদপত্র, জন্ম সনদ এবং বায়োডাটা কৌশলে সংগ্রহ করে সেখানে নিজের ছবি যুক্ত করেন। ২০১৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বরে তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের অফিসার (সেলস অ্যান্ড বিপণন) পদে নিয়োগও পান তিনি। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত প্লাস্টিক সামগ্রী বিভিন্ন দোকান, অফিস ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে ১৯ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করে উধাও হয়ে যান তিনি। এ ঘটনায় বুধবার রাতে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গতকাল এ তথ্য জানান পিবিআই-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবু ইউসুফ।
তিনি বলেন, ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সালের ৯ই মে পর্যন্ত তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড কোম্পানিতে অফিসার (সেলস এন্ড বিপণন) পদে কর্মরত ছিলেন মো. হেলাল উদ্দিন। কোম্পানিটিতে নিজের প্রকৃত নাম পরিচয় গোপন করে মো. জাহাঙ্গীর আলম এর শিক্ষাগত সনদপত্র, জন্ম সনদ এবং বায়োডাটায় মো. হেলাল উদ্দিন তার নিজের ছবি যুক্ত করে তানজিম প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেড এর অফিসার (সেলস অ্যান্ড বিপণন) পদে নিয়োগ পান। জাহাঙ্গীর আলম নাম ধারণ করেই কোম্পানিটিতে কাজ করে আসছিলেন। এ সময় হেলাল উদ্দিন প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত প্লাস্টিক সামগ্রী বিভিন্ন দোকান, অফিস ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে ১৯ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করে অফিসে জমা না দিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যান। এই ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম হোসেন ২০২১ সালেই মামলা করেন।
আবু ইউসুফ বলেন, মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর দেখা যায়, যার কাগজপত্র ব্যবহার করা হয়েছে তিনি প্রকৃতপক্ষে মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং হেলাল উদ্দিনের স্কুল জীবনের সহপাঠী। তিনি বর্তমানে ভোলার চর মোতাহার আলিম মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে চাকরি করছেন। তারা পাশাপাশি এলাকায় বসবাস করার সুবাদে কৌশলে হেলাল উদ্দিন তার বন্ধু জাহাঙ্গীর আলমের অজান্তেই শিক্ষাগত সনদপত্র, জন্ম সনদ, ইউনিয়ন পরিষদের সনদপত্র ও বায়োডাটার ফটোকপি সংগ্রহ করে রাখে। সেই কাগজ দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করেন তিনি। আসামির বিরুদ্ধে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে চাকরি করে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বুধবার রাতে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।