বিশ্বজমিন
বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি পুনর্ব্যক্ত স্টেট ডিপার্টমেন্টের
মানবজমিন ডেস্ক
(৩ মাস আগে) ৬ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার, ১:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ করে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি পুনর্ব্যক্ত করেছে দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট। সোমবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডেপুটি মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে গণতন্ত্রের ব্যাপ্তি এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমসহ সকলেই আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হওয়ার আকাঙ্খা প্রকাশ করেছেন। এই আকাঙ্খা বাস্তবায়নেই যুক্তরাষ্ট্র কয়েক সপ্তাহ আগে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এর আওতায় বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তাসহ, সরকার কিংবা বিরোধিদল অথবা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য যারা দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা করা হবে তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
একই ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আরও একটি প্রশ্ন পান ভেদান্ত প্যাটেল। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যান যে চিঠি দিয়েছেন তা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে কিনা তা জানতে চান ওই সাংবাদিক। জবাবে প্যাটেল বলেন, আমি নির্দিষ্ট করে কোনো চিঠির বিষয়ে কথা বলবো না এবং তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করবো না। কংগ্রেসের সঙ্গে চিঠিপত্রের বিষয়টি আমরা গোপন রাখি। কিন্তু বিস্তৃতভাবে আমি বলতে পারি যে, গত বছর বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা হয় বেদান্ত প্যাটেলকে। প্রশ্নে বলা হয় যে, সম্প্রতি বাংলাদেশের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ছিল বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। স্বল্প ব্যবধানে শাসক দলের প্রার্থী এই নির্বাচনে হেরে গেছে। এছাড়া প্রধান দুই প্রার্থীই এই নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু বিরোধী দল বিএনপি দাবি করেছে যে, মূলত মার্কিন ভিসা নীতির কারণেই এই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। এ নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
জবাবে প্যাটেল বলেন, আমি অন্য কোনো দেশের নির্দিষ্ট কোনো নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে চাই না। আমি শুধু এটাই বলবো যে, আমরা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের প্রচার এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পাঠকের মতামত
গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টে মন্তব্য চাওয়া অবান্তর
* “Have you considered those who were asked to accept judgement from Allah’s Book? When they are asked to accept judgement from Allah’s Book, some of them turn their backs and walk away!” (Qur’an 3:23) * “Mankind was a single community, then Allah sent Prophets to bring good news and warning, and with them He sent the Book with the Truth, to judge between people in the disagreements. It was only those to whom it was given who disagreed about it after clear verses had come to them, because of rivalry between them. So by His leave Allah guided the believers to the truth they had differed about: Allah guides whoever He wills to a straight path.” (Qur’an 2:213). It was assured by God will bless those who will perform the good deeds around the world. Which religion they bear, it's not a question. Who will save humanity will get the blessing + Bangladeshi conscious peoples gratitude always reserve for them.
আমেরিকা বিশ্বের সকল মানুষের ধর্ম ও বিশ্বাসের মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলা অব্যাহত রাখছে। সীমাহীন ধন্যবাদ পাওনা আমেরিকা সরকারের। এটি নিদ্বিধায় বলা যায় আমেরিকার এই মানবতার বানী গোটা দুনিয়ার জন্য ইতিবাচক অর্জন জমা করুক। গোটা দুনিয়ার স্বৈরদানবরা গ্যাড়াকলে পড়ে দেশ ধ্বংসের বার্তা থেকে সরে আসুক। BBC Documentary India: The Modi Question এই আমেরিকাই মোদিকে একদিন প্রতিহত করেছিল তার নামেদাগে গুজরাট অপকর্মের কারণে। তাকে বলা হয় গুরাটের কসাই। সে ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে কেন? গুজরাটে জলজ্যান্ত তরতাজা মানুষগুলোকে কসাই মোদি কমপক্ষে ২,০০০ মুসলিম নিধনের সাক্ষাৎ কারিগর। এরাই আবার গণতন্ত্র কপচায় মুসলিম পিটিয়ে হত্যা করে। শিখ, হিন্দু জনগােষ্ঠীর নিচু বর্ণও তাদের হাতে নিহত হয় আবার সময়ে তারা হয় সংখ্যালঘু নিধনের হাতিয়ার। সাম্প্রতিক ভারতের মোদিজ কুয়েশ্চন একই ধারাবাহিকতার ফসল মাত্র। মুসলিম বলে কোন কথা নেই যে বা যারাই এদের হাতে অন্যায়ভাবে নিহত হবে সেটিই হত্যা অপরাধের বোঝা তাদের ঘাড়ে তুলে নিবে। গণতন্ত্র নামধারী ভারতের অপকর্মের প্রামাণ্য দলিল গোটা বিশে^র জানা। হাসিনা তাকেই দাদাগিরির সব অর্জন তুলে দিয়ে ক্ষুদ্র দেশটি ধ্বংসের লীলাখেলা বানিয়েছে। বিনিময়ে তাকে শুধু গদিতে রাখতে হবে। কত নীচ মানসিকতা হলে এমন হতে পারে। মহাপুরুষেরা অন্যের তরে নিজেকে বিলিয়ে দেন আর সংকীর্ণরা শুধু নিজের কপট স্বার্থের কারণে গোটা দেশ বিক্রি করে দেয়, বর্গা দিয়ে দেয়। এখানে যে বর্গ নেয় সে যেমন অপরাধি যে বর্গা দেয় সেও সমান অপরাধী। কার বড় কারণ এ জমির মালিক সে নয়। একজন দাসী কখনোই মালিকের সম্পত্তি বর্গা দিতে পারে না, বিক্রি করতে পারে না কোন আদানী মোদিনীর কাছে।