বিশ্বজমিন
'আমরা অবাধ নির্বাচনের পক্ষে আছি, আমরা অ্যাকশন নিতে প্রস্তুত'
মানবজমিন ডেস্ক
(৬ মাস আগে) ২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৯:০৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশিদের ব্যাপারে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে বুধবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশের জনগণ একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে নিজেদের নেতৃত্ব বাছাই করুক। মূলত এ কারণেই নতুন এই ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার ব্রিফিংয়ের শুরুতেই বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বিবৃতিটি পড়ে শোনান মিলার। এরপরই উপস্থিত সাংবাদিকরা এ নিয়ে প্রশ্ন করেন। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু করতেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি ‘সিগন্যাল’ যে আমরা কেবল অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা সমর্থন করবো। এক্ষেত্রে যেকোনো ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত আমরা।
তবে এমন নীতি ঘোষণার অর্থ কি মিলারের কাছে তা জানতে চান এক সাংবাদিক। এর উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশিদের একটি সংকেত দেয়া যে আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা মনে করি এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আরেক সাংবাদিক মিলারের কাছে প্রশ্ন করেন যে, বাংলাদেশের সুশীল সমাজসহ রাজনৈতিক দলগুলো একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছে।
এর জবাবে মিলার বলেন, আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা তার এই সমর্থনকে উল্লেখ করে বলতে চাই আজকে যে বিধিনিষেধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে তা নির্বাচনের এই প্রক্রিয়াগুলোকে বাস্তবায়ন করারই অংশ। বাংলাদেশে যেন এমন নির্বাচন হয় যাতে জনগণ তাদের পছন্দমতো নেতৃত্বকে বেছে নিতে পারে, সেজন্য এই বিধিনিষেধ।
তিনি আরও বলেন, যেসকল বিষয়গুলো বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মানবাধিকারকে খর্ব করেছে সেগুলো নিয়ে আমরা উদ্বেগ জানিয়ে দিয়েছি। প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুতে এক সাংবাদিক মিলারকে প্রশ্ন করেন যে, তাহলে কি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আসলে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি? উত্তরে মিলার বলেন, না, এটি কেবল মাত্র একটি সংকেত। আমরা এখনও কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করিনি, তবে আমরা যদি নির্বাচনে হস্তক্ষেপের কোনো কিছু দেখতে পাই তাহলে আমরা সেটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবো।
সাংবাদিক জানতে চান, তাহলে এখন যা ঘোষণা করা হলো এটিকি শুধুমাত্র প্রতীকী কিনা? উত্তরে মিলার ‘হ্যা’ বলেন। আজ কোনো নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা নেই। ওই সাংবাদিক তাকে আবার প্রশ্ন করেন, যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে একটি ঘোষণা এসেছে, এর মানে কি বাংলাদেশের নির্বাচনে কারচুপি কিংবা অনিয়ম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে? এটি কি কোনো ভাবে বাংলাদেশ সরকার ও এর প্রধানমন্ত্রীর জন্য সতর্ক সংকেত?
উত্তরে মিলার বলেন, না, এটি শুধুমাত্র একটি সংকেত যে আমরা বাংলাদেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করি। এবং যারা এর পথে বাধা হবে তাদেরকে দায়বদ্ধ করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। এটি সব সংস্থার জন্যও একটি সংকেত যে আমরা কিন্তু মনোযোগ দিয়ে দেখছি।
পাঠকের মতামত
Where is BAL activist TULIP ??
২০১৪/২০১৮ এর জাতীয় নির্বাচন এবং বিগত স্থানীয় সরকার নির্বাচন গুলোকে সামনে রেখেই সরকার বিরোধীরা অবাধ নির্বাচনের জন্যই আন্দোলন করছেন। চলমান সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ট হবে কারণ এই নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হবেনা। আমিরিকা বলছে, জাতীয় নির্বাচন অবাধ না হলে তারা একশনে যাবে অর্থাৎ আগে নির্বাচন হয়ে যাবে তারপর একশনে যাবে। অবাধ না হলে তখন বাংলাদেশের সংবিধানে পুনঃনির্বচনের বিধান আছে কি?
মন্তব্য করুন
বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন
বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত
সিভিকাস মনিটরের রিপোর্ট/ বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের স্থান ‘ক্লোজড’, নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ অনুমোদনের আহ্বান, রাজবন্দিদের মুক্তি দাবি
ব্রিফিংয়ে জন কিরবি/ বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র, পিটার হাস সম্পর্কে রাশিয়ার অভিযোগ ডাহা মিথ্যা
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিং/ অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]