বাংলারজমিন
চায়ের সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনায় ‘হলুদ ফাঁদ’ প্রযুক্তি
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
৮ মে ২০২৩, সোমবারনিরাপদ চা উৎপাদনে চায়ের সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় ইয়েলো স্টিকি ট্র্যাপ বা আঠালো হলুদ ফাঁদ প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন। পরবর্তীতে প্রযুক্তিটির মাঠপর্যায়ে ভ্যালিডেশন ট্রায়াল সম্পন্ন করেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক। বর্তমানে চায়ের পোকামাকড় বিশেষ করে থ্রিপ্স দমনে বাংলাদেশের ডানকান, ফিনলে, ইস্পাহানীসহ অনেক চা বাগানেই প্রযুক্তিটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে চা বাগানে উপকারী পোকামাকড় সংরক্ষণের পাশাপাশি রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার কমানো ও তৈরি চায়ে কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ হ্রাস বা নির্মূল করা সম্ভব। রোববার সকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টিম বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত “টেকসই ও নিরাপদ চা উৎপাদনে ইয়েলো স্টিকি ট্র্যাপ বা আঠালো হলুদ ফাঁদ” শিরোনামে একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ পরিদর্শন করেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) এর পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. ইসমাইল হোসেন-এর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিটিআরআই’র সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্ভাবনী উদ্যোগটির বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বিটিআরআই’র কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সিলেট বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান শেষে বিটিআরআই’র প্রদর্শনী প্লটে স্থাপিত ইয়েলো স্টিকি ট্র্যাপ বা আঠালো হলুদ ফাঁদ প্রযুক্তিটি সরজমিন পরিদর্শন করেন।