ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার, ৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অর্থ-বাণিজ্য

রিজার্ভ কমে এখন ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

(৪ মাস আগে) ২ মে ২০২৩, মঙ্গলবার, ১০:১৬ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৪:৩৮ অপরাহ্ন

mzamin

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় দেশের রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার কোটি ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। আমদানি দায় মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির কারণে গত সোমবার ৩১ বিলিয়ন থেকে ৩০.৯৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমদানি বিল মেটাতে ব্যাংকগুলোকে প্রতিদিন প্রায় ৬ কোটি ডলার বিক্রি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোর কাছে ৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে গত এক বছরে রিজার্ভ কমেছে ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা বাবদ একসঙ্গে শত কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে। তখন রিজার্ভ আরও কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, এক বছর আগে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪ হাজার ৪০৬ কোটি ডলার। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩০.৯৩ বিলিয়ন ডলারে। গত মার্চের শেষে রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ১১৪ কোটি ডলার। গত এক মাসের হিসাবে রিজার্ভ কমেছে ৮ কোটি ডলার। ধারণা করা হয়েছিল রোজা ও ঈদ উপলক্ষ্যে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে।

বিজ্ঞাপন
এতে রিজার্ভও কিছুটা বাড়বে। কিন্তু এবার রোজা ও ঈদে রেমিট্যান্স প্রবাহ খুব বেশি বাড়েনি। একই সঙ্গে রপ্তানি আয়েও নেতিবাচক অবস্থা। এদিকে রোজা উপলক্ষ্যে আমদানি বেড়েছে। সব মিলে রিজার্ভ কমেছে।

এদিকে সদ্য বিদায়ী মাস এপ্রিলের শুরুতে আশা জাগিয়েছিল রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের পুরো সময়ে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার বা ১৮ হাজার ১৩ কোটি টাকার বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। গত ২০২২ সালের একইমাস (এপ্রিল) এসেছিল ২০১ কোটি ডলার, সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৩ কোটি ডলার কম এসেছে। আবার চলতি বছরের মার্চ মাসে এসেছিল ২০১ কোটি ৭৬ লাখ ডলার, সে হিসাবে গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলেও প্রায় ৩৩ কোটি ডলার কম এসেছে।

সূত্র জানায়, আগামী নভেম্বরে মিলবে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ। এর আগে চলতি মাসের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের বাজেট সহায়তার অর্থ বাবদ ৫০ কোটি ডলার মিলতে পারে। তখন রিজার্ভ কিছুটা বাড়বে।
গত মার্চে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় মিলে আয় হয়েছে ৬৬২ কোটি ডলার। এর বিপরীতে আমদানি খাতে গত ফেব্রুয়ারিতে ব্যয় হয়েছে ৭৭২ কোটি ডলার। ঘাটতি হয়েছে ১১০ কোটি ডলার। এছাড়া বৈদেশিক ঋণের বকেয়া কিস্তি পরিশোধ করতে হচ্ছে এখন। এসব মিলে রিজার্ভের ওপর চাপ আরও বেড়েছে।
 

পাঠকের মতামত

Our country's financial condition is really bad because of govt corruption. Govt and its people are directly involved in illegal money transfers from the country and that is the reason right now the country's financial condition is bad.

Tanweir
২ মে ২০২৩, মঙ্গলবার, ১১:২৮ অপরাহ্ন

only 30B, this is not issue for any political party. They took whatever they can, problem is for ordinary people who is suffering due to increase the expenses everyday. BNP,AWAMI all they made their kingdom in Canada,singapore,Dubai,USA. so we also need to prepare for next Sri lanka or pakistan either you accept or not.....

Mahmudur Rahman
২ মে ২০২৩, মঙ্গলবার, ১০:০৪ অপরাহ্ন

তার চেয়ে কম 0 টা কেটে দিন (3 বিলিয়ন) কম হতে পারে সত্য বলার সাহস আছে!

কবির
২ মে ২০২৩, মঙ্গলবার, ৩:০২ অপরাহ্ন

সমস্যা কোথায়? এক কালে তো মাত্র তিন মিলিয়ন ছিল তখন তো এত ঘনঘন নিউজ করে অস্থির করে তোলা হত না। এই রিজার্ভ থাকা সত্তেও তো বয়ান আর হা হুতাশে আকাশ বাতাস ভারী করে তুলে হয়েছিল এক বছড় আগে- শ্রীলনকা শ্রীলনকা ভাও তুলে। নিশ্চিত থাকুন ইনশাল্লাহ সব ঠিক থাকবে এবং ঠিক আছে।

শামীম
২ মে ২০২৩, মঙ্গলবার, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন

অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অর্থ-বাণিজ্য সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status