অর্থ-বাণিজ্য
ঢাকায় একটি পরিবারের খাবারে ব্যয় মাসে ২২ হাজার ৬৬৪ টাকা: সিপিডি
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(২ মাস আগে) ২৭ মার্চ ২০২৩, সোমবার, ১২:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৬ পূর্বাহ্ন

রাজধানী ঢাকায় চার সদস্যের একটি পরিবারের খাবারের পেছনে প্রতি মাসে খরচ হচ্ছে ২২ হাজার ৬৬৪ টাকা। আর খাদ্যতালিকা থেকে মাছ-মাংস বাদ দিয়ে ছোট করলে ব্যয় দাঁড়ায় ৭ হাজার ১৩১ টাকা। কিন্তু নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের যে আয় তা দিয়ে খাদ্যপণ্য কিনে টিকে থাকা কঠিন।
সোমবার ‘জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ সিপিডি'র সুপারিশমালা’ শীর্ষক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সংলাপে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এসব তুলে ধরেন।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, গত বছর রাজধানীতে চার সদস্যের একটি পরিবারের খাবারের পেছনে প্রতি মাসে খরচ ছিল ১৮ হাজার ১১৫ টাকা। আর খাদ্যতালিকা থেকে মাছ-মাংস বাদ দিয়ে ছোট করলে ব্যয় দাঁড়িয়েছিল ৫ হাজার ৬৮৮ টাকা।
সিপিডি জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে পণ্যের দাম বাড়ছে, তার চেয়েও বেশি হারে বাড়ছে দেশের স্থানীয় বাজারে পণ্যের দাম। বিশেষ করে চাল, আটা, চিনি, ভোজ্য তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও স্থানীয় বাজারে সেই প্রভাব নেই। অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত পণ্যের দামও কারণ ছাড়া ঊর্ধ্বমুখী। এ ক্ষেত্রে বাজার ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি রয়েছে।
লাগামহীন মূল্যস্ফীতির কারণে অনেকেই খাদ্য ব্যয় কমিয়ে আনতে খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন মাছ-মাংসসহ বিভিন্ন আমিষ।
সংস্থাটি বলছে, বর্তমানে রাজধানীতে বসবাসরত চার সদস্যের একটি পরিবারের মাসে খাদ্য ব্যয় ২২ হাজার ৬৬৪ টাকা। এটাকে রেগুলার ডায়েট বলছে সিপিডি। এখানে ২৫টি খাদ্যপণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মাছ-মাংস বাদ দিলেও খাদ্যের পেছনে ব্যয় হবে ৭ হাজার ১৩১ টাকা।
পাঠকের মতামত
তবে অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থার দরুন দ্রব্যমূল্য দেড় থেকে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষ এবং নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ বেশ কষ্টে আছে।
বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ। জনসংখ্যার ৯০ ভাগের বেশি মুসলিম। মুসলমানদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে কুরআন হাদিসের যে বিধান মেনে চলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তার সাথে জুলুমের দুরতম কোন সম্পর্ক নেই। ইনসাফ ও মানবাধিকারের ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয়েছে কুরআন হাদিসের বিধানে। কিন্তু, দু:খজনক হলেও সত্য বাংলাদেশের মুসলিম ব্যবসায়ীরা জনগণকে জিম্মি করে যখন তখন খেয়াল খুশি মতো জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। অথচ, অমুসলিম অনেক দেশ মানবাধিকার ও ইনসাফের দিক থেকে আমাদের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত। আমরা বিশ্ব বাজারে দাম বাড়ার অজুহাতে আমাদের বাজারে দাম বাড়িয়ে দিতে দেরি হয়না। কিন্তু, বিশ্ব বাজারে জিনিসপত্রের দাম যখন কমে তখন আমারা কমাতে চাইনা। মুরগী, ডিম, চাল, ডাল, তেল, চিনি, গুঁড়ো দুধ, মাছ, মাংস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এমনকি ওষুধের বাজারও বিশেষ কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিয়ন্ত্রণ করছে। সরকার এবং ভোক্তা অধিকার পরিষদ কার্যত এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। নৈতিকতা এই রমজান মাসেও তলানিতে এসে দাঁড়িয়েছে। অথচ, আমরা মুসলিম! বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত রহমাতুল্লিল আলামীন মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমরা অনুসারী শুধু মুখে মুখে, কিন্তু কাজেকর্মে আমরা জুলুমের রাজত্ব কায়েম করেছি। কিন্তু, দুচোখ বন্ধ হয়ে গেলে সর্বশক্তিমান আল্লাহ সকল কাজকর্মের দ্রুত হিসাব গ্রহণ করবেন। "ইসলাম আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন–জীবন বিধান। যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল, তারা এ দ্বীন থেকে সরে গিয়ে যেসব বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেছে, সেগুলো অবলম্বনের এছাড়া আর কোন কারণই ছিল না যে, প্রকৃত জ্ঞান এসে যাওয়ার পর তারা নিজেদের মধ্যে পরস্পরের ওপর বাড়াবাড়ি করার জন্য এমনটি করেছে। আর যে কেউ আল্লাহর হেদায়াতের আনুগত্য করতে অস্বীকার করে, তার কাছ থেকে হিসেব নিতে আল্লাহর মোটেই দেরী হয় না।" সূরা আলে-ইমরান, আয়াত:১৯।
Tug of war. যে টিকতে পারবে থাকবে যখন পারবে না ফিরে যাবে গ্রামে । এছাড়া অন্য পথ দেখি না ।