অর্থ-বাণিজ্য
গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ টাকা কেন, প্রশ্ন এফবিসিসিআই সভাপতির
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(২ মাস আগে) ২৩ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১:৫৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৪ পূর্বাহ্ন

গরুর মাংসের দাম নিয়ে প্রশ্ন তুলে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, আরব দেশ দুবাই, সেখানে আমদানি করার পরও গরুর মাংসের কেজি ৫০০ টাকা। তাহলে আমাদের কেন ৭৫০ টাকায় কিনতে হবে?
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই বোর্ড রুমে এক মতবিনিময় সভায় এ প্রশ্ন তোলেন তিনি। পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুত, সরবরাহ, বাজার পরিস্থিতি ও বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভা হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্রয়লার মুরগি এখন ২৮০ টাকা। এখন যদি সরকার মনে করে আমদানি করলে দাম কম পড়বে, তাহলে আমদানি করবে।
তিনি বলেন, দুবাইয়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা। কিন্তু দুবাইয়ে গরু উৎপাদন হয় না। তারা আমদানি করে যদি ৫০০ টাকা দিতে পারে তাহলে আমারা উৎপাদন করে কেন এত দামে কিনবো?
এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, এখন গরু ও পল্ট্রির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। দেশীয় এ খাত বাঁচাতে এতদিন মাংস আমদানি বন্ধ ছিল। এখন যদি তারা সঠিক মূল্যে গরুর মাংস ও ব্রয়লার মুরগি দিতে না পারে তাহলে আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলবো, বাজার ঠিক রাখতে আমদানির অনুমতি দেয়ার জন্য। আমদানি করলে যদি বাজারে দাম কমে যায়, তাহলে আমদানি করতে হবে। মানুষ যদি ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে না পারে, তাহলে ইন্ডাস্ট্রির কথা চিন্তা করে লাভ নেই।
মো. জসিম উদ্দিন জানান, এবার চাহিদার তুলনায় বেশি খেজুর আমদানি করা হয়েছে।
এবার রোজায় সরকার বাজার মনিটরিংয়ে কঠোর রয়েছে জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, কোনো বাজারে বেশি মূল্য রাখা হলেই কিন্তু বাজার কমিটি বাতিল করবে সরকার। একইসঙ্গে দাম বেশি নেওয়া প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হবে। আমরা চাই না রোজায় দাম বেশি নেয়ার কারণে কোনো ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল হোক বা কাউকে আটক করা হোক।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের সমস্যা থাকতে পারে, তবে সমস্যাটি আমাদের জানাবেন। আশা করব, আপনারা কেউ বেশি মুনাফা করবেন না।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, এম এ মোমেন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ও নিত্যপণ্যের ব্যবসা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতাসহ বাজার কমিটির সভাপতিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, কেউ যদি অযৌক্তিকভাবে পণ্যের দাম বাড়ায় তাহলে লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হবে।
পাঠকের মতামত
I bought biff 2 k.g 1600/=Eid purpose .
পাশ্ববতী দেশ গুলোকে বাংলাদেশী বাজার পাইয়ে দিতে এবং দেশের ডেইরি শিল্প ধ্বংস করতে ব্যাবসায়িক সমিতি দালাল হিসেবে কাজ করছে ... পশুখাদ্যের দাম কমিয়ে দেয়া হোক, আমদানি শুল্ক তুলে দেয়া হোক তাহলে দেশ বাচবে.. কৃষক বাচবে... দেশর মানুষের কর্মসংস্থান হবে .. জয় বাংলা
এফবিসিসিআই হচ্ছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন এদের কথা কে শুনবে?
চট্টগ্রামে গরুর মাংস কেজি ৯০০৳। সপ্ন সুপার শপে প্রিমিয়াম গরুর মাংস কেজি ১০৫০৳
যে দেশের রাজনীতি ব্যাবসায়ীদের হাতে সে দেশে মগের মুল্লুক ছাড়া আর কিছু আসা করা যায় না। মন্ত্রী ভিসিটে আসলে রাস্তা ঘাট এভরিথিং ক্লিন করা হয় যাবার পরে কি হয় কখনো কি ওই সব মন্ত্রীগণ খবর রেখেছেন। দরকার নেই রাখার কারণ বেগম পাড়ায় সবার অবস্থা দৃঢ় আছে। জনগণের কথা কেউ ভাবে না কেউ না। তাতে যদি ব্রয়লার মুরগি ২৮০০/- টাকা ও হয় তাতে কারো কিছু যায় আসে না।
Bangladesh is now like failure country there is no control all sectors are like this.
যদি সঠিক মূল্যে গরুর মাংস ও ব্রয়লার মুরগি সহ প্রয়োজণীয় নিত্যপন্য দ্রব্য না পাওয়া যায় তাহলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচিৎ বাজার ঠিক রাখতে আমদানির অনুমতি দেয়ার জন্য। আমদানি করলে যদি বাজারে দাম কমে যায়, তাহলে আমদানি করতে হবে। মানুষ যদি ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে না পারি, তাহলে দেশীয় ইন্ডাস্ট্রির কথা চিন্তা করার দরকার কি?।
"এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্রয়লার মুরগি এখন ২৮০ টাকা"!!! আরে ভাই আপনারা লিখেন এক, আর বাস্তবতা ভিন্ন! এইতো সেদিন এক সপ্তাহও হয়নি সিলেটের "স্বপ্ন" ব্যাবসায় চেইনের উপশহর শাখা থেকে ব্রয়লার মুরগীর দাম দিতে হলো ৩৫০ টাকা কেজি দরে। আসলে আমাদের দেশে ব্যাবসায়ীদের স্বেচ্ছাচার বন্ধ করার মতো কারো বুকের পাটা আছে বলে অবস্থা দৃষ্টে মনেতো হয়না !!!
Here in Dubai good quality Pakistani beef between AED 18 to 20 per KG . & in India west Bengal price is below 300 Indian rupees per KG. Then in Bangladesh why per KG BDT 800 above. Seems it is like " Moger Mulluk ."
৭৫০ টাকা কোন জেলায় মাংসের কেজি জানিনা ব্রাহ্মমন বাড়িয়া ৯০০ টাকায় করে ২ কেজি ১৮০০ কিনেছি ২২/০৩/২০২৩