বিশ্বজমিন
সমকামী পরিচয় দিলেও পেতে হবে সাজা, উগান্ডায় নতুন আইন
মানবজমিন ডেস্ক
(২ মাস আগে) ২২ মার্চ ২০২৩, বুধবার, ২:৪৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

নিজেকে সমকামী হিসেবে পরিচয় দেয়াকেও শাস্তিমূলক অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করেছে উগান্ডা। দেশটির পার্লামেন্ট এরইমধ্যে আইনটি পাস করা হয়েছে। একইসঙ্গে সমলিঙ্গের সম্পর্কের শাস্তি আরও কঠিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে দেশটিতে। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
খবরে জানানো হয়, উগান্ডাসহ আফ্রিকার ৩০টিরও বেশি দেশে সমকামী সম্পর্ক নিষিদ্ধ। তবে মঙ্গলবার পাস হওয়া নতুন আইন অনুযায়ী, নিজেকে সমকামী দাবি করাও এখন উগান্ডায় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। ফলে দেশটিতে কেউ যদি এখন নিজেকে লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল বা ট্রান্সজেন্ডার দাবি করে তাহলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। উগান্ডার এমন আইন পাসের নিন্দা জানিয়ে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে একজন ছাড়া সবাই সমকামিতার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। এ আইনের সমর্থকরা বলছেন, সমকামীদের প্রচারণা বন্ধে আইন কঠিন করা অত্যন্ত জরুরি ছিল। এসব পশ্চিমা সংস্কৃতি আফ্রিকার রক্ষণশীল এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে হুমকির মুখে ফেলেছে। পার্লামেন্টে পাস হওয়ার পর আইনটি বাস্তবায়নে এখন প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের দরকার পড়বে।
মুসেভেনি বর্তমান আইন সম্পর্কে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি। তবে দীর্ঘকাল ধরেই তিনি সমকামীদের অধিকারের বিরোধিতা করছেন। এর আগে ২০১৩ সালে তিনি সমকামিতাবিরোধী আইন চালু করেন। সেসময় পশ্চিমা দেশগুলো এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল। তবুও সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি মুসেভিনি। ৭৮ বছর বয়সী এই নেতা একাধিকবার জানিয়েছেন যে, সমকামিতা নিষিদ্ধ নিয়ে পশ্চিমাদের চাপকে তিনি গুরুতর মনে করেন না। তবে তিনি পশ্চিমা দাতা এবং বিনিয়োগকারীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চান।
আইনপ্রনেতা ডেভিড বাহাটি পার্লামেন্টে বলেন, আমরা যা করছি তাদের আমাদের ঈশ্বর খুশি হবেন। আমাদের শিশুদের ভবিষ্যত রক্ষা করার জন্য বিলটি জরুরি ছিল। এটি আমাদের জাতির সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করবে। কারও উচিৎ নয় আমাদের ব্ল্যাকমেইল করা কিংবা ভয় দেখানো।
পাঠকের মতামত
ধন্যবাদ উগান্ডাবাসীকে।
সত্যি কারের আল্লাহর প্রেমিক দেশ ওদেশের নেতারা
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মাথা ব্যাথা কেন? তাদের দেশের জনগণ ভোট দিয়েছে সমকামিতার বিরুদ্ধে। সে হিসাবে আইন করা হয়েছে। তাতে তাদের সমস্যা কোথায়? তারা আবার গণতন্ত্রের কথা বলে। এখানে ও তো গণতান্ত্রিকভাবেই পাশ হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট বরং একটা ভোট ছাড়া বাকি সব ভোট এর বিরুদ্ধে গিয়েছে। সে হিসাবে আইন পাশ হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মাথা ব্যাথা কেন? এখন থেকেই বুঝতে হবে যে তারা আসলে নোংরামি প্রচার করতে চায়। যেহেতু এগুলা (সমকামিতা) ইসলামে কঠোর নিষিদ্ধ তাই তারা সহ্য করতে পারছে না। তারা ইসলামের বিরুদ্ধে লাগতেই হবে। ইসলাম যা বলে তারা ঠিক তার উল্টোদিকে। এটাই মূল কথা। অথচ ইসলাম ই হচ্ছে একমাত্র মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম। এর মধ্যে রয়েছে মানুষের ইহকালীন কল্যাণ এবং পরকালীন কল্যাণ। সামাজিক সৌন্দর্য, রুচিশীলতা, সুন্দর পরিবেশ।
পশু ও সমকামী হয় না । কিন্ত সভ্যতার ধ্বজাধারী মানবাধিকার কমিশন এই আইনের নিন্দা করল, আমেরিকার তল্পিবাহক তাই । পশুর চেয়ে ও অধম যারা তারাই কেবল সমকামিতার সমর্থক হতে পারে ।
চমৎকার সিদ্ধান্ত।
একটি অমুসলিম দেশ হয়েও (মুসলিমের সংখ্যা ১৩.৭%) ওগান্ডা যা করতে পেরেছে তা অন্যকোন মুসলিম দেশ করতে পারছেনা। একমাত্র ইসলামেই সমকামিতার কঠোর শাস্তি রয়েছে। কিন্তু আমাদের মত মুসলিম দেশগুলো যেন সমকামিনতা আর নাস্তিক্যবাদকেই মডার্ণ মনে করে তার দিকেই ঝুকছে। সাবাস উগান্ডা।