অর্থ-বাণিজ্য
টেকসই পোশাক শিল্প গড়তে ঢাকায় বসছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ১২ মার্চ ২০২৩, রবিবার, ৭:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:১২ পূর্বাহ্ন
: বাংলাদেশে টেকসই পোশাক উৎপাদনের সুযোগ ও সম্ভাবনা বিষয়ে আগামী ১৬ই মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও প্রদর্শনী। সম্মেলনে বিভিন্ন সেশনে আলোচনা করবেন দেশি-বিদেশি ৬০ জনেরও বেশি আলোচক। এ ছাড়া অংশ নেবে ২০টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের আয়োজনে সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের এই চতুর্থ সংস্করণের সম্মেলনে আলোচ্যসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে সার্কুলারিটি, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, ক্লাইমেট অ্যাকশন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে অগ্রযাত্রা ও মানবাধিকার বিষয়ক ডিউ ডিলিজেন্স ইত্যাদি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফ্যাশন সোর্সিং কার্যনির্বাহীদের কাছে সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন হিসেবে বিবেচিত। চতুর্থ সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের বক্তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং সাবেক বিজিএমইএ সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সাবের হোসেন চৌধুরী।
এ ছাড়া বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের প্রধান ও রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, বিজিএমইএ সভাপতি এবং জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক হাসান, আন্তর্জাতিক শ্রম সস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটি আইনেনসহ আরও অনেকে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম ২০২৩-এ পোশাক প্রস্তুতকারক, সরকারি কর্মকর্তা এবং নীতিনির্ধারক, গ্রিন ফাইন্যান্স নিয়ে কাজ করা পেশাদার, মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ, সবুজ উৎপাদন ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ফ্যাশন সাসটেইনেবিলিটি এবং সোর্সিং দল এবং ফ্যাশন সাপ্লাই চেইনে কাজ করা এনজিওদের একই ছাদের নিছে নিয়ে এসেছে। যাতে করে সবাই কিভাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের যাত্রা আরও টেকসই হয় সে বিষয়ে দিক নির্দেশনামূলক আলোকপাত করতে পারেন।
তারা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পরিবেশবান্ধব সবুজ পোশাক কারখানার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশে^ শীর্ষস্থানীয় হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে। বিশে^র সর্বোচ্চ সংখ্যক লিড সনদপ্রাপ্ত সবুজ কারখানা রয়েছে বাংলাদেশে। গত দশকে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতে পোশাক শিল্প ব্যাপক কারখানা নিরাপত্তা কর্মসূচি নিয়েছিল, যার ফলে বাংলাদেশ বিশে^র অন্যতম নিরপদ পোশাক শিল্পের দেশ হিসাবে সুনাম অর্জন করেছে।
সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের আয়োজক মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, প্রত্যেক বড় ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর নিকট আলোচনার বিষয় এখন একই, আর সেটি হল 'নেট জিরো’ লক্ষ্য পূরণের জন্য আমরা কীভাবে আমাদের কার্বন নিঃসরণ কমাতে পারি। তিনি বলেন, কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং সাসটেইনিবিলিটি পারফরমেন্সে ভালো করার বিভিন্ন চ্যলেঞ্জগুলো ও পন্থা নিয়ে দিক নির্দেশনামূলক আলোচনা ও মতবিনিময় করার একটি কার্যকর ক্ষেত্র তৈরি করেছে সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম। আর এ কারণেই এ সম্মেলন সবার কাছে এতটা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, পরিবেশগত সমস্যাগুলোর দিকে নজর দেয়ার পাশাপাশি, সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম ২০২৩ পোশাক শ্রমিকদের মজুরি এবং অধিকারসহ বিভিন্ন সামাজিক বিষয় নিয়ে আলোকপাত করার সুযোগ তৈরি করেছে। আর এ বিষয়গুলি আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।