বিশ্বজমিন
ভারতে বাংলাদেশি যুবতীকে গণধর্ষণ, ১১ বাংলাদেশি অভিযুক্ত
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২১ মে ২০২২, শনিবার, ৮:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:১৬ অপরাহ্ন
ভারতে বাংলাদেশি এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগে কথিত ১১ বাংলাদেশি অভিবাসীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। ব্যাঙ্গালোরের এক আদালত এই রায় ঘোষণা করেছে। এতে ১১ জনের মধ্যে ৭ জনকে দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। গত বছর ১৮ই মে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে রামমূর্তি নগরের কনকনগরে। ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ফলে ঘটনার ভয়াবহতায় তা জাতীয় পর্যায়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ তথ্য তালাশে নামে। তিন দিনের মধ্যে পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে। একজন নারীসহ মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ডিসিপি (পূর্ব) ড. বীমাশঙ্কর এস গুলেড বলেন, দ্রুত বিচারের জন্য এ ঘটনার তদন্ত করা হয় ঝড়ো গতিতে।
ডিসিপি (ক্রাইম) এসডি সারানাপ্পা এই তদন্ত তদারকি করেছেন। তিনি বলেন, ধর্ষিতা একজন বাংলাদেশি। তিনি বেআইনিভাবে বসবাস করছিলেন। তাকে খুঁজে পাওয়া যায় কেরালায়। তিনি প্রথমদিকে ঘটনা স্বীকারে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন। বিচার পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন না। কিন্তু পুলিশ তাকে বুঝিয়ে আয়ত্তে আনে। বিচারকের সামনে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। শেষ পর্যন্ত স্পর্শকাতর এই মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। ১০০ দিনের মধ্যে বিচার হয়েছে।
মামলায় মোট ৪৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তিন মাসেরও কম সময়ে তা সম্পন্ন হয়েছে। এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় হয়েছে চান মিয়া ওরফে সবুজ, মোহাম্মদ রিফাকদুল ইসলাম ওরফে হৃদয় বাবু, মোহাম্মদ আলামিন হোসেন ওরফে রাফসান মন্ডল, রকিবুল ইসলাম ওরফে সাগর, মোহাম্মদ বাবু শেখ, মোহাম্মদ ডালিম, আজিম হোসেনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তানিয়া খানকে দেয়া হয়েছে ২০ বছরের জেল। অন্যদিকে মোহাম্মদ জামালকে দেয়া হয়েছে ৫ বছরের জেল। এর বাইরে দু’জনকে ফরেনার্স এক্টের অধীনে ৯ মাসের জেল দেয়া হয়েছে।