দেশ বিদেশ
হেফাজত আমীরের সঙ্গে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
৩১ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবারচট্টগ্রামে এসে হেফাজতে আমীরসহ তিন শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হেফাজত আমীর আল্লামা মহিববুল্লাহ বাবুনগরীর পরিচালনাধীন ফটিকছড়ির বাবুনগর মাদ্রাসায় আসেন। সেখানে তিনি হেফাজত আমীরের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করেন। পরে তিনি মাদ্রাসা ঘুরে দেখেন। এদিকে হেফাজত আমীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফটিকছড়ির নানুপুর মাদ্রাসায় যান। সেখানে তিনি মাদ্রাসাটির পরিচালক ও হেফাজতের নায়েবে আমীর সালাহউদ্দিন নানুপুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তিনি প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করেন। এরপর হেফাজতের আঁতুড়ঘর বলে পরিচিত হাটহাজারী মাদ্রাসায় যান।
হাটহাজারী মাদ্রাসায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা ইয়াহইয়ার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তিনি প্রয়াত হেফাজত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও শায়খুল হাদীস মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামীর কবর জিয়ারত করেন। এরপর সাড়ে ৭টায় মাদ্রাসা ত্যাগ করেন। এদিকে হঠাৎ কেন হেফাজত নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে চট্টগ্রামে আসলেন জানতে চাইলে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ৪ঠা জানুয়ারি থেকে বাবুনগর মাদ্রাসার মাহফিল।
তবে হেফাজতের একটি বিশ্বস্ত সূত্র মানবজমিনকে বলেন, সরকার বেশকিছু দিন হেফাজতকে গুরুত্ব দেয়নি। তবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই তারা হেফাজত নেতাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে কারাগারে থাকা বেশ কয়েকজন নেতাদের মুক্তি দিয়েছে। সর্বশেষ ঢাকায় ওলামা মাশায়েখ সমাবেশ শেষে হেফাজত মহাসচিবসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। সেখানে তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বেশ কয়েকটি দাবি-দাওয়া দিয়েছেন। সেইসব দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গ্রিন সিগন্যাল জানাতে আমীরসহ হেফাজতের শীর্ষ ৩ নেতার সঙ্গে দেখা করতে চট্টগ্রামে এসেছেন। পাশাপাশি কয়েকটি কওমি মাদ্রাসার জন্য বিশেষ বরাদ্দেরও ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর আগমন নিয়ে জানতে চাইলে হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস নদভী বলেন, মন্ত্রী আল্লামা মহিববুল্লাহ বাবুনগরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই বাবুনগর মাদ্রাসায় এসেছেন। পাশাপাশি নানুপুর ও হাটহাজারী এসেছেন। এখানে অন্য কোনো কারণ নেই।
পাঠকের মতামত
হেফাজতের ডাকে কেউ ভোট দেয়া না দেয়া নির্ভর করেনা। হেফাজত হচ্ছে দলমত নির্বিশেষে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। জামায়াত শিবির গায়ে পড়ে হেফাজতী হতে চেয়েছিল, গুনগান গেয়ে প্রচুর প্রচারণায়ও চালিয়ে ছিল। হ্যায়রে কপাল পোড়ার দল, এরা জানেনা ওলামায়ে দেওবন্দ জীবন গেলেও উসুল ত্যাগী নয়। ফলে এক পর্যায়ে জামায়াত শিবির ব্যর্থ হয়ে হেফাজতকে সরকারের দালাল বানানোর চেষ্টা লিপ্ত হয়। মোদি বিরোধী আন্দোলনে জামায়াত শিবির ছিলনা, ১১৬ জন ওলামায়ে দেওবন্দের বিরুদ্ধে নাস্তিক মুরতাদের অভিযোগ এবং সরকারের গ্রেপ্তার অভিযানে জামায়াত শিবির একটু স্বস্তি বোধ করেছিল, নাই মামার চাইতে কাণা মামাই ভাল। যাইহোক, হেফাজতে ইসলাম শাপলা চত্বর ভূলে যায় নাই, ভূলে যায় নাই কওমী মাদ্রাসার উপর প্রশাসনের অনৈতিক খবরদারী এবং স্থানীয় আওয়ামী নেতাদের জুলম। আলেম ওলামাদেরকে মুক্তি না দিলে কঠোর কর্মসূচি দিয়ে মাঠে আসবে এই ঘোষনা হেফাজতে ইসলাম আগে থেকেই দিয়ে রেখেছে। বর্তমানে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক আন্দলন দিন দিন তিব্র হচ্ছে, সরকারের ভয় হল, হেফাজতের নিরবতার অর্থ বিলিন হয়ে যাওয়া নয়, এক আহমদ সফি/বাবুনগরী না থাকিলেও উনারা লক্ষ আহমদ সফি/বাবুনগরীর জন্ম দিয়ে গিয়েছেন, ২০১৩ সালের ক্ষোভ নিয়ে হেফাজত যদি মাঠে আসে তখন সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীরা হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবেনা এবং আরেকটি শাপলা চত্বর ঘটানোর ক্ষমতাও সরকারের নাই। তাই সরকার বিরোধী আন্দলনের বেগ কমাতেই সরকার হেফাজত নেতাদের পায়ে চুম্বন দেয়া শুরু করেছে। কেউ যদি মনেকরে ভোট বক্সের আশায় সরকার হেফাজতের সাথে দহরমহর করছে সেটি মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়, হেফাজতের সাথে সম্পৃক্তরা আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে তো দূরের কথা থুথু মারিয়াও নিজেদের মূল্যবান সময় নষ্ট করবেনা কারণ ভোট দেয়া মানেই হচ্ছে জালেম মোদি, মূর্তি, বহুরূপী এবং নাস্তিক মুরতাদকের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দেয়া, হাশরের ময়দানে যার জবাব দিতে হবে।
মন্তব্য করুন
দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন
দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত
তানজিম সাকিবের স্ট্যাটাস/ পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত
মৌলভীবাজারে জাতীয় পার্টির সম্মেলন সম্পন্ন / ‘আমরা আওয়ামী লীগে নেই, বিএনপিতেও নেই

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]