বিশ্বজমিন
ডেইলি মেইলের রিপোর্ট
সিঁড়ি থেকে গড়িয়ে পড়লেন ক্যান্সার আক্রান্ত পুতিন
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ৩ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৫ পূর্বাহ্ন
নিজের সরকারী বাসভবনের সিঁড়ি থেকে গড়িয়ে পড়ে গেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্যান্সারের প্রভাবেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান তিনি। একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বৃটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল। এছাড়া অন্য পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতেও প্রচারিত হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর থেকেই ৭০ বছর বয়স্ক পুতিনের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে চলেছে। তার স্বাস্থ্যের এই অবনতি স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। এরইমধ্যে গত বুধবার তিনি সিঁড়ি থেকে পড়ে গেলেন। পুতিনের নিরাপত্তারক্ষীরাই নাকি ওই টেলিগ্রাম চ্যানেলের কাছে এই ঘটনা ফাঁস করে দিয়েছে। তিনি সিঁড়ির প্রায় পাঁচটি ধাপ নিচে পড়ে যান এবং গড়িয়ে পড়তে থাকেন। এই ধাক্কায় তিনি সেখানে ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে মলত্যাগ’ করে ফেলেন বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল। ঘটনাটি পুতিনের দেহরক্ষীদের সামনেই ঘটেছে।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো পুতিনের নানা রোগের কথা প্রচার করছে। পুতিন ক্যান্সারসহ আরও অনেক কঠিন রোগে আক্রান্ত বলে শীর্ষ গণমাধ্যমগুলোতে খবর প্রকাশিত হয়েছে। দাবি অনুযায়ী, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনালের ক্যান্সারে ভুগছেন পুতিন। হজম প্রক্রিয়া নিয়েও গুরুতর অসুস্থতা রয়েছে তার। রাশিয়া এমন রিপোর্টের পক্ষে-বিপক্ষে কোনো মন্তব্য করেনি কখনও। সিড়ি থেকে পড়ে যাওয়ার খবর প্রচারের পরেও প্রকাশ্যে এসেছেন পুতিন। বৃহস্পতিবারই তরুণ বিজ্ঞানীদের একটি কনফারেন্সে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। সেখানে তাকে সুস্থই লাগছিল দেখে।
পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো পুতিনের নতুন ভিডিও প্রকাশিত হলেই তা বিশ্লেষণ করে তার অসুস্থতার দাবি তুলছে। ডেইলি মেইল বলছে, পুতিন যখন প্রকাশ্যে আসছেন তখন তাকে দুর্বল দেখাচ্ছে। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে এক আলোচনার সময় তার হাত কাপতে দেখা গেছে। সেসময় পুতিন পারকিনসনে আক্রান্ত বলে খবর প্রচারিত হয়েছিল। এছাড়া তার বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারে আক্রান্তের খবরও শোনা গেছে গত নয় মাসে।
এছাড়া তিনি প্রায়ই কয়েক দিনের জন্য প্রকাশ্যে আসা বন্ধ করে দেন। ২০১৫ সালে তিনি ১০ দিনের জন্য গোপনে ছিলেন। ২০১৭ সালে প্রায় ৮ দিন পুতিন কোথায় ছিলেন জানা যায়নি। ২০১৮ সালেও ২ দিন গোপনে ছিলেন তিনি।