বিশ্বজমিন
রাশিয়া থেকে তেল আমদানিতে ৬০ ডলার দাম নির্ধারণ
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ৩ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৫ পূর্বাহ্ন
রাশিয়া থেকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলার দাম নির্ধারণ করেছে জি৭ এবং এর মিত্র দেশগুলো। আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল সরবরাহে ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এর আগেই পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার তেল আমদানিতে দাম নির্ধারণের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালো।
বিবিসি জানিয়েছে, আগামী ৫ই ডিসেম্বর কিংবা তার সামান্য আগেপড়ে এই দামে তেল কেনা কার্যকর হবে। এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সব দেশের সম্মতির প্রয়োজন ছিল। পোল্যান্ড প্রথমে এতে বাধা দিয়েছিল। তারা আরও কম দামে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করতে চায়। তবে দেশটিকে আশ্বাস দেয়া হয় যে, বাজারমূল্য থেকে রাশিয়ার তেলের দাম সবসময় ৫ শতাংশ কম রাখা হবে। ফলে শুক্রবার দেশটি সম্মতি দেয়।
গত সেপ্টেম্বরেই রুশ তেলের দাম নির্ধারণের ঘোষণা দেয় জি৭। মূলত বাজারে তেলের সরবরাহ অব্যাহত রাখা এবং মস্কোকে এ থেকে লাভ করতে না দেয়া উভয় উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতেই এই কৌশল হাতে নেয় পশ্চিমারা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রথমে ৬৫ থেকে ৭০ ডলারের মধ্যে এই দাম রাখতে চেয়েছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো রাশিয়ার তেলের মূল্যসীমা নির্ধারণ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই তর্ক-বিতর্ক করছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে রাশিয়ার তেল বিক্রি থেকে আয় হ্রাস করা। রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা ৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী তেলের দামের বৃদ্ধি রোধ করাও এর লক্ষ্য। এই চুক্তি, পশ্চিমা বীমা ও সামুদ্রিক পরিষেবা ব্যবহার করে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেবে। তবে সেক্ষেত্রে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি অর্থ দেয়া যাবে না।
জি-৭ এর এক শীর্ষ কর্মকর্তা এর আগে বলেন, তেলের এই নির্ধারিত দাম ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের সক্ষমতাকে সীমিত করবে। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে চীন, ভারতসহ যেসব দেশ রাশিয়া থেকে তেল কিনছে, তারা বিপাকে পড়বে। কেননা, তেল পরিবহনের ক্ষেত্রে জাহাজের অধিকাংশ বিমাকারী ইউরোপ ও বৃটেনভিত্তিক। শুক্রবার আন্তর্জাতিক বাজারে রাশিয়ার ক্রুডের দাম ছিল ৬৪ ডলার প্রতি ব্যারেল।